দাঁত কিড়মিড়ের কারণ, যা করবেন

শেয়ার
দাঁত কিড়মিড়ের কারণ, যা করবেন

ব্রুক্সিজম বা দাঁত কিড়মিড় স্বভাবের কারণে মানুষ তার নিজের অজান্তে দাঁত কামড়ায়। মানুষ জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় দাঁত কিড়মিড় করতে পারে। ব্রুক্সিজমের স্বভাব স্বল্পবিস্তর থাকলে চিকিৎসার দরকার হয় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই অবস্থা থেকে চোয়ালের সমস্যা, মাথা ব্যথা ও দাঁতের ক্ষয় হয়ে থাকে।

উপসর্গ

♦   দাঁত ক্ষয় হয়ে সমান হয়ে যায়, এনামেল উঠে যায় অথবা দাঁত ভেঙে যায়।

♦   দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে দন্তমজ্জায় ঘা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

♦   দাঁত ব্যথা বা শিরশির করতে পারে।

♦   চোয়াল লক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

♦   চোয়াল, ঘাড় বা মুখমণ্ডলে ব্যথা অনুভূত হয়।

♦   কানে কোনো সমস্যা না থাকলেও কান ব্যথার মতো মনে হয়।

♦   দাঁত কিড়মিড় করার সময় বিছানায় থাকা অন্য কারো ঘুমের সমস্যা হয়।

কারণ

দাঁত কিড়মিড় করার কারণ সম্পর্কে কেউ জানে না, তবে ধারণা করা হয় এটা শারীরিক, মানসিক ও বংশগত ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে।

এটা সাধারণত দুই ধরনের হয় :

♦   জাগ্রত ব্রুক্সিজম—দিনের বেলায় হয়।

♦   ঘুমন্ত ব্রুক্সিজম—রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হয়।

মানসিক কারণ

♦   দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, রাগ, হতাশা ইত্যাদি।

♦   আক্রমণাত্মক প্রতিযোগী মনোভাবসম্পন্ন বা হাইপার অ্যাকটিভ ব্যক্তিত্ব।

♦   ঘুমের সমস্যা।

♦   মানসিক রোগের ওষুধের প্রতিক্রিয়া।

 শারীরিক কারণ

♦   দাঁতের অক্লুশন সমস্যা।

♦   বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কানে ব্যথা বা নতুন দাঁত ওঠার প্রতিক্রিয়ার মতো।

♦   বুক জ্বালা করা।

♦   কিছু কিছু ডিস-অর্ডার, যেমন—পারকিনসন্স ডিজিজ।

যেসব অবস্থা এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

♦   স্ট্রেস

♦   শিশুকালে প্রায়ই হয়। আস্তে আস্তে, বয়ঃসন্ধিতে এটা কমে যায়।

♦   ব্যক্তিত্বের ধরন, যেমন—অস্থির, অধিক তৎপর, রাগী, হিংসাত্মক প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাবসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের মধ্যে এটা দেখা যায়।

♦   ধূমপান, চা, কফি, মাদক থেকেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

করণীয়

♦   বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না।

♦   সর্বপ্রথম একজন ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেবেন। পরে তিনি প্রয়োজন অনুসারে ঘুম বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে পারেন।

♦   প্রয়োজনে ডাক্তার একটি মাউথগার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন।

♦   ক্ষেত্রবিশেষে আঁকাবাঁকা দাঁত সার্জারি করে ঠিক করা যায়।

♦   স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য কাউন্সেলিং প্রয়োজন।

♦   কিভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওপরের পাটি ও নিচের পাটির দাঁত চেপে রাখা যায়, দাঁতের ডাক্তার সে পরামর্শ দেন।

♦   পেশিতে ব্যথা হলে তা নিরাময়ের ওষুধ দেওয়া হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে পেশি শক্ত হয়ে গেলে ইনজেকশন দেওয়া হয়।

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. অনুপম পোদ্দার
অধ্যক্ষ
খুলনা ডেন্টাল কলেজ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিফল

আজ ৮ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ৮ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৮ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে অনুকূল পরিবর্তন আসতে পারে। অন্যের সহযোগিতায় আটকে যাওয়া কাজের অগ্রগতি হবে।

প্রিয়জনের জন্য ব্যয় বাড়তে পারে। ফাঁকা সময়টা আপনজনের সঙ্গে কাটান। বিনোদন ও রোমান্স শুভ।

আরো পড়ুন
ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্সে বিশেষ গুরুত্ব পেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের ‘স্বাস্থ্য সংলাপ’

ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্সে বিশেষ গুরুত্ব পেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের ‘স্বাস্থ্য সংলাপ’

 

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো শুভপ্রচেষ্টার অগ্রগতি হবে।

স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। কোনো ব্যতিক্রমী বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে। ইচ্ছাশক্তির জোরে বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো সংবাদে আশাবাদী হবেন।

আর্থিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে আশার সঞ্চার হবে। পরিশ্রম বাড়লেও মানসিক শক্তি থাকবে। কাজে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দক্ষতা দেখাতে পারবেন। গতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যান।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): শুভ কর্ম দিয়ে দিনটি শুরু হবে। কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাগমের সুযোগ আসতে পারে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ পাবেন। দূরদৃষ্টির সঙ্গে অর্থের সদ্ব্যবহার করুন। কল্যাণকর কাজে যুক্ত থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): উৎসাহ ও উদ্যমে অগ্রপথিকের ভূমিকা নিতে পারবেন। আপনার কাজে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন। আর্থিক বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে। ব্যবসায়ীরা নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। পেশাগত ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়বে।

আরো পড়ুন
ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্সে বিশেষ গুরুত্ব পেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের ‘স্বাস্থ্য সংলাপ’

ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্সে বিশেষ গুরুত্ব পেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের ‘স্বাস্থ্য সংলাপ’

 

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ আসতে পারে। অতীতের কোনো ঘটনা মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): কোনো আশা পূরণ হতে পারে। নতুন যোগাযোগের পরিবেশ অনুকূলে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বন্ধুর সহযোগিতা পাবেন। দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে পারবেন। প্রিয়সঙ্গ আনন্দ দেবে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): পেশাগত কাজে সুযোগ বাড়বে। পাওনা আদায়ে কিছুটা অগ্রগতি হবে। কোনো আকর্ষণীয় অফার পেতে পারেন। বুদ্ধি সঠিক পথে পরিচালিত হবে। চারপাশে যাঁরা আছেন তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ান।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কাজকর্মে ভাগ্যের আনুকূল্য পাবেন। প্রত্যাশা পূরণে বাধাবিঘ্ন দূর হবে। আগের তুলনায় মানসিক চাপ কমবে। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন পথ খুলতে পারে। সব কাজ খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে। ভ্রমণ শুভ।

আরো পড়ুন
এশার আগে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করা যাবে?

এশার আগে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করা যাবে?

 

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারেন। কাজে অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন হতে পারে। প্রিয়জনের সমস্যায় উদ্বেগ থাকবে। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। যৌথ কাজে অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা। প্রেম-প্রীতিতে সাফল্য আসবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। সময়ের সঙ্গে চলা আপনার জন্য ভালো হবে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কোনো প্রচেষ্টায় বাধা আসতে পারে। অন্যের সহযোগিতায় আটকে যাওয়া কাজের অগ্রগতি হবে। প্রিয়জনের জন্য ব্যয় বাড়তে পারে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। শরীর ভালো রাখুন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গরমে পানিশূন্যতা তৈরি করবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে পানিশূন্যতা তৈরি করবে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু খাবার আছে, যেগুলো আপনাকে গোপনে ডিহাইড্রেট করতে পারে। যদিও আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিহাইড্রেশনকে পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার ফল হিসেবে মনে করি। তবে কিছু খাবার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য বা অতিরিক্ত লবণের কারণে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সহজ হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।

ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়

কফি, চা ও কিছু কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা হালকা মূত্রবর্ধক। যদিও সকালে এককাপ কফি বা চা উপভোগ করা ভালো, তবে অত্যধিক পান করার ফলে প্রস্রাব বাড়তে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পানের সঙ্গে ভারসাম্য না থাকলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

আরো পড়ুন
গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

 

অ্যালকোহল

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এর মূত্রবর্ধক প্রভাবের কারণে আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যার ফলে শরীরের তরল কমে যায় হয়। তাই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকাই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো।

লবণাক্ত স্ন্যাকস

চিপস, প্রিটজেল ও ক্র্যাকারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে। অত্যধিক লবণ গ্রহণ করলে তা আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলতে পারে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে পানির ক্ষয় বৃদ্ধি করতে পারে। নোনতা নাস্তা খাওয়ার বিষয়ে সচেতন হোন এবং পানি-সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল মাংস, হাঁস-মুরগি ও দুগ্ধজাত পণ্য ইত্যাদি ডিহাইড্রেশনে অবদান রাখতে পারে। প্রোটিন গ্রহণ করলে আপনার শরীর অতিরিক্ত ইউরিয়া তৈরি করে।

এটি একটি বর্জ্য পদার্থ, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে হয়, এর ফলে পানির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।

চিনিযুক্ত খাবার

কেক, কুকিজ ও ক্যান্ডির মতো চিনিযুক্ত খাবারও আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। আপনি যখন প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর এটিকে পাতলা করতে পানি ব্যবহার করে, যা ডিহাইড্রেশনের দিকে নিয়ে যা। তাই হাইড্রেটেড থাকার জন্য তাজা ফল বেছে নিন।

ঝাল খাবার

মসলাদার খাবার আপনার বিপাককে উদ্দীপিত করতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে, যার ফলে ঘাম হতে পারে, যা আপনাকে ডিহাইড্রেট করে। মসলাদার খাবার উপভোগ করার সময় হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করতে ভুলবেন না।

আরো পড়ুন
সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

 

ভাজা খাবার

ভাজা খাবারে লবণ ও চর্বি বেশি থাকে, যা আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। উচ্চ চর্বিযুক্ত উপাদান হজমকেও ধীর করে দিতে পারে। ভাজা খাবার খাওয়া সীমিত করুন এবং শাক-সবজির মতো পানি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।

এ ছাড়া গরমে নিজেকে হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পানি খেতে ভুলবেন না। দুপুর বা প্রচণ্ড রোদে বাইরে বের হওয়া থেকে দূরে থাকবেন। তবেই নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

আরো পড়ুন
ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

 
মন্তব্য

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন
সংগৃহীত ছবি

শরীর সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মুখের লালা বা থুতু নিঃসরণ। একদিকে যেমন খাওয়ার সময় তা সহজে চিবিয়ে গিলে ফেলতে সাহায্য করে, অন্যদিকে তেমনই মুখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে নেই লালা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে লালা নিঃসরণ আরো স্বাভাবিক বিষয়।

তবে কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টা অতটাও সহজ থাকে না।

বরং খাওয়া, ঘুমানো বা অন্যান্য নানা সময়ে সর্বক্ষণ ঝড়তে থাকে লালা। কেন এমন হয়, এটা হওয়া কি স্বাভাবিক, শিশুদের মাত্রাতিরিক্ত লালা নিঃসরণ কখন হয়, তা জানতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

 

কেন লালা নিঃসরণ হয়

  • শিশুদের সাধারণত ছয় মাস বয়সের পর দাঁত ওঠা শুরু হয়।
তখন তারা হাতের কাছে যা পায়, তাই কামড়াতে চায়। এ সময় সুড়সুড় করা বা এক ধরনের অস্বস্তি অনুভব হওয়াটা স্বাভাবিক। জ্বরও আসতে পারে। এই সময়ে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণও হয়ে থাকে।
  • শিশুরা সহজেই ঠাণ্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হয়। এ সময় নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে।
  • স্নায়ুর সমস্যা বিশেষ করে ফেসিয়াল নার্ভ, সেরিব্রাল পালসি, ট্রাইজেমিনাল নার্ভের সমস্যা হলে অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ হতে পারে।
  • আরো পড়ুন
    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

     
    • মুখের মধ্যে কোনো ক্ষত, সাইনাস বা টনসিলে প্রদাহসহ কিছু সংক্রমণ থেকেও অতিরিক্ত লালা পড়ার সমস্যা দেখা যায়। লোভনীয় বা টকজাতীয় খাবার খেলেও লালা বেশি পড়ে।
  • জিভের অস্বাভাবিকতা, ঠোঁট বন্ধ না হওয়া, বদভ্যাস, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, দাঁতের নতুন ফিলিং করানো, এলোমেলো ও ফাঁকা দাঁতের কারণেও লালা পড়তে পারে।
  • এ রকম কিছু হলে ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক কারণ খুঁজে বের করা প্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হয় এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন। মুখের পরিচর্যায় কোনো অবহেলা নয়। নরম টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা ও ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরো পড়ুন
    সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

    সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

     

    সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার
    সংগৃহীত ছবি

    আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল জীবনযাপনের ফলে চুল শুষ্ক, প্রাণহীন ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। আবার অনেকে চুল পড়া ও চুল বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন। এর সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে বায়োটিনের ঘাটতি।

    বায়োটিন ভিটামিন বি৭ নামেও পরিচিত।

    আমাদের চুল, ত্বক ও নখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং হারানো উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। ভালো দিক হলো খাদ্য তালিকায় কিছু বায়োটিনসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করে সহজেই আপনার চুলকে আবার সুস্থ করে তুলতে পারে। কী সেই খাবার, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

    বাদাম ও আখরোট

    বাদাম ও আখরোট কেবল মস্তিষ্কের জন্যই নয়, চুলের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন, ভিটামিন-ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে। প্রতিদিন ৫-৬টি ভেজানো বাদাম ও ২-৩টি আখরোট খান।

    আরো পড়ুন
    গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

    গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

     

    ডিম

    যদি মজবুত ও ঘন চুল পেতে চান তবে ডিম চুলের জন্য উপকারী।

    ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন থাকে। যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ডিমে প্রোটিন ও অ্যামিনো এসিড থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২টি সিদ্ধ ডিম অথবা অমলেট করেও খেতে পারেন।

    অ্যাভোকাডো

    অ্যাভোকাডো একটি সুপারফুড, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চকচকে করতে সাহায্য করে।

    এতে বায়োটিন স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ভিটামিন-ই রয়েছে ৷ যা মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে এবং চুল পড়া রোধ করে। এটি স্মুদি, সালাদ বা স্যান্ডউইচে যোগ করুন।

    আরো পড়ুন
    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

     

    সূর্যমুখী বীজ

    আপনি যদি চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে চান, তাহলে অবশ্যই সূর্যমুখী বীজ খান। এগুলোতে বায়োটিন, জিংক ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে। যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে হিসেবে ১-২ টেবিল চামচ সূর্যমুখী বীজ খান অথবা সালাদে যোগ করুন।

    মিষ্টি আলু

    মিষ্টি আলুতে বায়োটিনের পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সিদ্ধ বা ভাজা মিষ্টি আলু খান অথবা চাট তৈরি করে খান।

    আরো পড়ুন
    সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

    সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

     

    সূত্র : ইটিভি

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ