স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে চার মজার কারণেও ঝগড়া হয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে চার মজার কারণেও ঝগড়া হয়
সংগৃহীত ছবি

দাম্পত্য অনেক সুন্দর। কখনো সেই সম্পর্কে ভালোবাসার ঝলমলে রোদ, আবার কখনো জমে অভিমানের কালো মেঘ। আর প্রত্যেক দম্পতির মধ্যে প্রায়ই যে টুকটাক ঝগড়া-অশান্তি হয় না, তা কিন্তু না। সিরিয়াস বিষয় নিয়েও দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

পাশাপাশি নানা মজাদার জিনিস নিয়েও সংসারে অশান্তি বেধে যায়। এমন চার মজার বিষয়ের উল্লেখ করা হলো, যেগুলো নিয়ে প্রায়ই প্রত্যেক দম্পতি ঝগড়া করেন।

পাখা জোরে ঘুরবে নাকি আস্তে

বর্ষার বৃষ্টিতে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তখন প্রায়ই না লাগে গরম, না লাগে ঠাণ্ডা।

আর এই সময়েই দুই সঙ্গীর মধ্যে মতবিরোধ হয়। কারো মতে, ফ্যান ফুল স্পিডে ঘোরা উচিত, আবার কারো মতে, ফ্যান ধীরে ঘুরলেই বেশি ভালো। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমতো কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। শেষে সেটা ঝগড়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
আপনাদেরও যদি এমন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি হয়, তাহলে কমেন্ট করে সে অভিজ্ঞতা জানান।

ঘুরতে যাওয়ার আগে

কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে প্যাকিং করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই কাজটি স্বামী-স্ত্রী দুজনে একসঙ্গে করতে বসলেই যত মুশকিল। কারণ প্যাকিং করার সময়ে প্রায়ই দুজনের মতের মিল হয় না। স্ত্রী দুদিনের জন্য বেড়াতে গেলেও চার-পাঁচটি পোশাক নিতে চান।

কিন্তু স্বামী চান মাত্র একটি জামা। আর এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। শেষে যদিও স্ত্রীর কথাই মেনে নিতে হয় অধিকাংশ পুরুষকে।

ঘর ঘোছানো নিয়ে ঝগড়া হয়

স্ত্রী বেশ পরিপাটি ঘর পছন্দ করেন। এদিকে স্বামী খুবই অগোছালো। তিনি জায়গার জিনিস জায়গায় রাখতেও জানেন না। এমনকি কোনো জিনিস স্ত্রীর সাহায্য ছাড়া খুঁজেও পান না। এই নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কথা-কাটাকাটি হয় দুজনের। সামান্য ঝগড়াও বাধে। স্ত্রী নিজের ভাগ্যকে দোষ দেন, তার মিনিট কয়েক পরেই সব ঠিক হয়ে যায়।

টিভির ভলিয়ম কম হবে, না বেশি

প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই সন্ধ্যার পর টিভি চলে। স্বামী-স্ত্রী দুজনে একসঙ্গে টিভিও দেখেন। কিন্তু টিভির ভলিউম নিয়ে দুজনের তর্কাতর্কি শুরু হয়। একজন টিভির সাউন্ড কম রাখতে পছন্দ করেন তো অন্যজন খুব বেশি ভলিউমে খবর চালান। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছোট্ট বিষয়টি থেকে ঝামেলা বেধে যায়। এমনকি রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়িও হয়।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চিনি কম খেলে যেসব উপকার পেতে পারেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চিনি কম খেলে যেসব উপকার পেতে পারেন
সংগৃহীত ছবি

চিনি আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়ায় ঠিকই, কিন্তু অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে চিনির পরিমাণ কমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে মনে রাখা দরকার, সব ধরনের চিনি খারাপ না। যেমন—ফল, দুধ ও কিছু শাকসবজিতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।

কারণ এই খাবারগুলোতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল, যা শরীরের উপকারে আসে। চলুন জেনে নিই, চিনি কম খেলে কী কী উপকার পাওয়া যেতে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কমে যায়। ফলে ওজন কমানো ও তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।


গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সঙ্গে স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে
বিশেষ করে সফট ড্রিংক বা মিষ্টি পানীয় বেশি খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ, অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। চিনি কম খেলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।

ত্বকের বার্ধক্য ধীর হয়
চিনিযুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে কিছু ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়, যা ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয়। চিনি কম খেলে ত্বক অনেকদিন তার তারুণ্য ধরে রাখতে পারে। আর যদি প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া হয়, তবে ত্বক আরও সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

গরমে ঘরে স্বস্তি আনবে ইনডোর প্ল্যান্টস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে ঘরে স্বস্তি আনবে ইনডোর প্ল্যান্টস
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মকালে যখন সূর্যের তীব্র তাপে ঘরবাড়ি হয়ে ওঠে গরম, তখন এসি বা কুলার ছাড়া যেন আর উপায় থাকে না। যদিও আমরা জানি, এসব যন্ত্র পরিবেশের জন্য খুব একটা ভালো নয়। তবুও গরমের তাপে আমরা প্রায়ই অসহায় হয়ে পড়ি। এদিকে সবার এসি বা কুলার কেনার মতো সামর্থ্য থাকে না।

একটু সচেতন হলেই প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায় রয়েছে, যেমন ঘরের ভেতর গাছ লাগানো। কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট আছে যেগুলো ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ও পরিবেশও সুন্দর রাখে। চলুন, জেনে নিই প্ল্যান্টগুলো সম্পর্কে।

অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা পরিচিত হলেও, ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতেও এর জুড়ি নেই।

এটি অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায় এবং ফর্মালডিহাইড ও বেনজিনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

লাকি ব্যাম্বু 
শুধু সৌভাগ্য নয়, এই গাছটি ঘর রাখে সতেজও। এটি খুব সহজে টিকে থাকতে পারে এবং বাতাস থেকে বিষাক্ত গ্যাস যেমন কার্বন মনোক্সাইড ও ফর্মালডিহাইড শোষণ করে নেয়।

পিস লিলি
সাদা রঙের সুন্দর ফুলবিশিষ্ট এই গাছটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়।

এটি বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে, শ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং ঘরে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট
এটি খুব কার্যকর একটি গাছ। বাতাসের দূষণকারী উপাদান যেমন কার্বন মনোক্সাইড ও ফর্মালডিহাইড শোষণ করে এবং বাতাস চলাচল উন্নত করে।

অ্যারেকা পাম
এই গাছটি ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে ও দূষণ কমায়। এটি অক্সিজেন বাড়ায় এবং ঘরের বাতাস ঠাণ্ডা রাখে প্রাকৃতিকভাবেই।

এই গাছগুলো শুধু ঘর ঠাণ্ডাই রাখে না, বরং স্বাস্থ্যকর পরিবেশও তৈরি করে। তাই এই গ্রীষ্মে এসি বা কুলার ছাড়াও ঘর ঠান্ডা রাখতে বেছে নিতে পারেন এই প্রাকৃতিক ‘এয়ার কুলার’ গাছগুলোকে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির সহজ রেসিপি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির সহজ রেসিপি
সংগৃহীত ছবি

রেস্টুরেন্টে বসে স্যান্ডউইচ বা বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছোটদের তো আবার আলাদা ভালোবাসা এই মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের প্রতি। বাড়িতেও মাঝেমধ্যে তারাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু দোকানের মতো মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানো কি এত সহজ? একটু কৌশল জানলেই রেস্টুরেন্টের স্বাদ এনে ফেলা যায় নিজের রান্নাঘরেই।

চলুন, জেনে নিই।

স্টার্চ দূর করা
প্রথমে আলু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো করে কেটে নিন। তারপর তা পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে আলুর স্টার্চ বেরিয়ে যাবে।

শুধু একবার ধুলেই হবে না, পানি বদলে আবার ভিজিয়ে রাখুন।

সোজা ভাজবেন না, ভাপে নিন
কাটা আলুগুলো সরাসরি তেলে না দিয়ে আগে হালকা ভাপিয়ে নিন। এতে ভাজলে আলু শক্ত হবে না, বরং সুন্দর করে সিদ্ধ হয়ে ভেতরটা নরম আর বাইরেটা থাকবে মচমচে।

ফ্রিজে রাখার কৌশল
ভাপে নেওয়ার পর আলুগুলো অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।

ভাজার আধা ঘণ্টা আগে বের করে আনলে ভালো ফল পাবেন।

দুইবার ভাজতে হবে
দোকানের মতো মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মূল রহস্য, ডাবল ফ্রাইং। প্রথমে মাঝারি আঁচে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে আবার একটু বেশি আঁচে ভেজে নিন। তাহলেই হবে একেবারে রেস্টুরেন্টের মতো মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যে শাক

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যে শাক
সংগৃহীত ছবি

শাক-সবজির মধ্যে পাট শাক একটি পরিচিত নাম। যদিও এর স্বাদে সামান্য তেতোভাব থাকায় অনেকেই এটি এড়িয়ে চলেন, তবে এই শাকে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। গরমের সময় এই শাক বেশি পাওয়া যায়। পাট শাক দেহকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চলুন, জেনে নিই পাট শাকের অন্যান্য উপকারিতা।

হতাশা ও মানসিক চাপ কমায়
পাট শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মন ভালো রাখতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কমায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হজমশক্তি বাড়ায়
ফাইবারসমৃদ্ধ এই শাক হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রুচি বাড়ায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি শরীরকে রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে তোলে।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।

সতর্কতা :
যদি কারো অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে পাট শাক খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ