ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

৬ মাস বয়সী শিশুকে কী খাওয়াবেন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬ মাস বয়সী শিশুকে কী খাওয়াবেন?
ছবিসূত্র : সংগৃহীত

শিশুদের প্রথম সলিড হওয়া চাই সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মেনে শিশুদের প্রথম খাবারের পাঁচটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী জান্নাতুল ফারহানা।

আপেলের পিউরি

বিশেষজ্ঞদের মতে, বুকের দুধের পাশাপাশি সলিড শুরু করার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হচ্ছে, যেকোনো ফল বা সবজির পিউরি। কারণ ফল বা সবজির পিউরি সহজপাচ্য।

১.   আপেল ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন।

২.   এবার এক কাপ পানি দিয়ে আপেল একদম নরম করে সিদ্ধ করে নিন। ১৫ মিনিটেই সাধারণত সিদ্ধ হয়ে যায়।

৩.   এবারে সিদ্ধ আপেল ব্লেন্ড করে অথবা হাতে একদম মিহি করে ম্যাশ করে বাচ্চাকে দিন।

৪.   ঠিক একইভাবে গাজর, পেঁপে, আলু, মিষ্টিকুমড়ার পিউরি বানিয়ে নেওয়া যাবে।

৬ মাস বয়সী বাচ্চার খিচুড়ি

চাল ২ টেবিল চামচ

মুগডাল ১ চা চামচ

মসুর ডাল ১ চা চামচ (চাইলে শুধু এক রকম ডাল দেওয়া যাবে।)

তেল ২ টেবিল চামচ

হলুদ গুঁড়া সামান্য

পানি ৩ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   সব উপকরণ মেখে ৩ কাপ পানি দিয়ে অল্প আঁচে খিচুড়ি রান্না করতে হবে।

রান্না করার সময় পাতিলে ঢাকনা দিয়ে দেবেন।

২.   চাল ও ডাল সিদ্ধ হয়ে গেলে ডালঘুটনি দিয়ে ভালো করে ঘেঁটে নামিয়ে নিন। এতে খিচুড়ি খুব ভালো মিহি হয়ে যাবে। এবং বাচ্চাকে খাওয়ানোর উপযোগী হয়ে যাবে।

নোট : ৬ মাস থেকে ১ বছরের বাচ্চার খাবারে লবণ ব্যবহার করা যাবে না।

৭ মাস বয়স থেকে বাচ্চাকে খিচুড়ির সঙ্গে পছন্দমতো সবজি যুক্ত করতে হবে।

দই ওটস

ওটস আয়রন এবং ফাইবারের এক দারুণ উত্স। শিশু সলিড শুরু করার ২-৩ সপ্তাহ পর থেকে ওটস খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। দই খুবই ভালো প্রোবায়োটিক এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বাচ্চার দুপুরের খাবার কিংবা নাশতায় দেওয়া যেতে পারে।

উপকরণ

ওটস ১ চা চামচ

পানি আধা কাপ

দই ৩ টেবিল চামচ (টক দই অথবা মিষ্টি দই)

গ্রেটেড আপেল কুচি (অপশনাল)।

শিশুর পাঁচ রকম সলিড খাবার

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   ওটসের সঙ্গে আধা কাপ পানি মিশিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। ওটস নরম হয়ে যাবে।

২.   ওটস ঠাণ্ডা করে দই মশিয়ে নিন। এর সণ্ডে কিছুটা আপেল মিহি কুচি করে গ্রেট করে যোগ করুন।

৩.   টক দই হলে মিষ্টি ফল যেমন কলা বা পাকা আমের পিউরি মিশিয়ে দিতে পারেন।

আলাদা কোনো লবণ বা চিনি যোগ করার প্রয়োজন নেই। সলিড শুরু করলে অনেক সময় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে এই রেসিপি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

খেজুর পায়েস

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   বিন্নি লাল চাল ১ কাপ পানি দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন একদম সিদ্ধ হয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত।

২.   প্রয়োজন হলে আরো পানি যোগ করুন। চাল ৭০ শতাংশ সিদ্ধ হয়ে গেলে খেজুরের বিচি ফেলে দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে দিন। খেজুর সিদ্ধ হয়ে গেলে ২টি কাঠবাদাম গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে দিয়ে দিন (যদি বাচ্চার বাদামে এলার্জি থাকে, তাহলে এভোয়েড করবেন)।

৩.   বাদাম দেওয়ার পর ২-৩ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। যদি বেশি শুকিয়ে যায়, তাহলে অল্প পরিপাণ পানি দেওয়া যেতে পারে। সব ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর আগে ডালঘুটনি দিয়ে ভালো করে ঘুটে নরম করে নিন।

৪.   এরপর আধা চা চামচ ঘি মিশিয়ে বাচ্চাকে পরিবেশন করুন। বিন্নি চাল সিদ্ধ হতে সময় নেয়। সে ক্ষেত্রে পানির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।

উপকরণ

বিন্নি লাল চাল ১ চা চামচ

পানি ১ কাপ

কাঠবাদাম ২টি

খেজুর ৩টি

ঘি আধা চা চামচ।

অনেক সময় শিশুদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। বিন্নি চাল, খেজুরে আয়রন থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য পুষ্টিগুণ শিশুর জন্য উপকারী।

সেরেলাক

উপকরণ

ভাতের চাল ২ চা চামচ, পোলাও চাল ১ চা চামচ, মুসুর ডাল ১ চা চামচ, গম ১ চা চামচ, মাষকলাই ডাল আধা চা চামচ, ছোলার ডাল ১ চা চামচ, মুগডাল ১ চা চামচ, রাজমা ডাল আধা চা চামচ, কাজুবাদাম ২টি, কাঠবাদাম ২টি, ওয়ালনাট ১/২, এলাচ ১টি, কালিজিরা ১ চিমটি, ওটস ১ চা চামচ, তেল/ঘি ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   সব চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। একটা পাতলা কাপড়ে পানি ঝরানো চাল-ডাল ছড়িয়ে ফ্যানের নিচে শুকিয়ে নিতে হবে।

২.   ওটস ছাড়া অন্য সক উপাদান শুকনা তাওয়ায় টেলে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ব্লেন্ডারে ওটসসহ সব উপকরণ   ব্লেন্ড করে এয়ার টাইট জারে সংরক্ষণ করুন।

৩.   রান্নার সময় প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করলেই সেরেলাক তৈরি হয়ে যাবে। রান্নার সময় তেজপাতা, সামান্য জিরা গুঁড়া দিতে পারেন (অপশনাল)। তেল ১ চা চামচ দিন। চাইলে এর সঙ্গে পছন্দমতো সবজি, মাছ, মাংস যোগ করতে পারবেন বাচ্চার বয়স এবং প্রয়োজনভেদে।

৪.   ১ বছরের আগে বাচ্চার খাবারে কোনো লবণ দেওয়া যাবে না। তবে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য নামানোর আগে সামান্য কিউব চিজ দেওয়া যেতে পারে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিফল

আজ ৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): শুভ কোনো পরিবর্তন হতে পারে। কঠিন কোনো কাজ অনেক সহজ মনে হবে।

ভালো সময়কে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করা সহজ হবে। প্রিয়জনের সমস্যায় কাছে থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): ব্যক্তিগত কাজে সক্রিয় থাকতে পারেন।

নতুন পরিকল্পনার অগ্রগতি হবে। প্রিয় মানুষকে কাছে পেতে পারেন। দৈনন্দিন কাজকর্মে সাফল্য ও সুনাম বজায় থাকবে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।
সুস্থ থাকুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): ভালো কোনো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। শুভযোগাযোগে ভালো কিছু হতে পারে। কোনো তথ্য আপনার কাজের সহায়ক হবে। আর্থিক লেনদেনে সতর্ক থাকতে হবে।

অগ্র-পশ্চাৎ ভেবে কাজে অগ্রসর হবেন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): নতুন কাজের অগ্রগতি হবে। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। ব্যবসায় পুরনো জট খুলবে। নতুন চিন্তাধারায় আকৃষ্ট হতে পারেন। আপনি যে পরিবর্তনগুলোর জন্য লড়াই করছেন তার কোনো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।

আরো পড়ুন
বনে ফিরল খাঁচায় বন্দি হওয়া মেছো বিড়াল

বনে ফিরল খাঁচায় বন্দি হওয়া মেছো বিড়াল

 

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার অগ্রগতি হতে পারে। নিজস্ব ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। বুদ্ধিবলে বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাফল্যের পথে অগ্রসর হবেন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। পুরনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে। ব্যয় বাড়বে। অবসাদে ভুগলেও দিনের শেষে উৎফুল্ল থাকবেন। কর্মস্থলে নিজের দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): প্রত্যাশিত প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাবেন। অর্থ উপার্জনের সুযোগ বাড়বে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে গতি আসবে। অসমাপ্ত কাজ অনেকটা শেষ হবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। ভালো থাকুন।

আরো পড়ুন
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৬ এপ্রিল)

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৬ এপ্রিল)

 

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো পরিকল্পনায় পরিকল্প পরিবর্তন আনতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থের জোগান ভালো হবে। আপনার দৃঢ়তা ও বিশ্বস্ততা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। একটু পরিশ্রম করলেই ভালো ফল পেতে পারেন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): দিনটি আনন্দের মধ্যে কাটবে। বিদেশ থেকে শুভসংবাদ পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ আছে। পাওনা আদায়ে কিছুটা অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভজনক কোনো সুযোগ আসতে পারে। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): ভালো কোনো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। কারো • অসুস্থতায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারে। শুভও স্থিতিহীন ভাবাবেগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাজে বাধা এলেও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন।

আরো পড়ুন
আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মারা গেছেন

আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মারা গেছেন

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব বাড়তে পারে। সম্মিলিত কাজে অগ্রগতির সম্ভাবনা। বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তির সাহচর্য আনন্দ দেবে। নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসবে। উপযুক্ত কাজ করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): সম্ভাবনাময় কিছু কাজ নিয়ে ভাবতে পারেন। বেকারদের চাকরিসংক্রান্ত কাজে অগ্রগতি হবে। প্রত্যাশিত কাজে বাধা এলে তা অতিক্রম করতে হবে। ধীরগতিতে চলা কাজে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
স্বাস্থ্যচিত্র

নিজেই বানান ফার্স্টএইড কিট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিজেই বানান ফার্স্টএইড কিট
সংগৃহীত ছবি

ব্যান্ডেজ

ছোট বা মাঝারি কাটা-ছেঁড়ার চিকিৎসায় ব্যান্ডেজ অত্যন্ত কার্যকর। ব্যান্ড এইডের পাশাপাশি সঙ্গে রাখুন মেডিক্যাল গজ ও টেপ।

ইনস্ট্যান্ট আইস প্যাক

দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে, ব্যথা প্রশমনে আইস প্যাকের জুড়ি নেই।

প্রয়োজনীয় ওষুধ

নিজের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সঙ্গে রাখুন ব্যথানাশক, বমি নিরোধক, মাথা ব্যথা ও পেটের অসুখের ওষুধ।

ওরাল স্যালাইনও রাখা উচিত।

তুলা ও অ্যালকোহল প্যাড

আঘাতের স্থান পরিষ্কার করা ও গজের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যান্ডেজ করার জন্য মেডিক্যাল গ্রেড তুলা রাখুন। চামড়া দ্রুত জীবাণুমুক্ত করার জন্য অ্যালকোহল প্যাড খুবই কাজের।

অ্যান্টিসেপটিক ও পোড়ার ওষুধ

অ্যান্টিসেপটিক সলিউশনের ছোট বোতল সঙ্গে রাখুন।

পোড়ার ক্ষত চিকিৎসায় ব্যবহৃত মলমও রাখা উচিত।

মন্তব্য

জাফরান কেন এত দামি?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
জাফরান কেন এত দামি?
সংগৃহীত ছবি

জাফরান, যার আরেকটি নাম লাল সোনা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি হলো জাফরান। কথিত আছে, প্রাচীন গ্রিসের মিনোয়ানরা প্রায় ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথমবার জাফরান ব্যবহার করেছিল। রান্না, পোশাকের রং ও সৌন্দর্যচর্চায় এটি ব্যবহৃত হতো।

মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা নিজেকে আরো সুন্দর করতে জাফরান মিশ্রিত দুধে গোসল করতেন।

কেন এত ব্যয়বহুল জাফরান?
জাফরান এত দামি হওয়ার কারণ এর উৎপাদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও কঠিন। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে প্রায় ১৫০,০০০টি ক্রোকাস ফুলের প্রয়োজন। এই ফুলের তিনটি অংশ : লাল স্টিগমা, পুংকেশর ও পাপড়ি।

শুধু লাল স্টিগমা সংগ্রহ করা হয়, যা খুব সতর্কতার সঙ্গে হাতে বাছাই করতে হয়। তারপর এটি ২০ দিন রোদে শুকানো হয়। এই প্রক্রিয়া প্রায় ৩৭০ থেকে ৪৭০ ঘণ্টা সময় নেয়, যার ফলে জাফরান এত ব্যয়বহুল। এক কেজি জাফরানের দাম প্রায় ১০,০০০ ডলার বা ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা।

কোথায় চাষ করা হয় জাফরান?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাফরান উৎপাদক দেশ হলো ইরান। যা বিশ্বের প্রায় ৯০% জাফরান উৎপাদন করে। ইরানের খোরাসান অঞ্চল উচ্চমানের জাফরানের জন্য পরিচিত। এ ছাড়া ভারতের কাশ্মীর ও আফগানিস্তানে জাফরান চাষ হয়।

ভালো মানের জাফরান কিভাবে চিনবেন?
উচ্চ মানের জাফরান উজ্জ্বল লাল ও কিছুটা কমলা রঙের হয়।

এর গন্ধ খুবই তীব্র ও মনোরম। নিম্নমানের জাফরান সাধারণত মলিন বা হালকা লাল রঙের হয়। গন্ধ তেমন ভালো হয় না এবং আঠালো বা আর্দ্র অনুভূত হতে পারে।

জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতা
শুধু রান্নায় নয়, স্বাস্থ্যেও জাফরানের উপকারিতা রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা প্রভাবিত করে। এ ছাড়া এটি হৃদরোগের জন্য ভালো। রক্তচাপ কমাতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে জাফরান কাজ করে। 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

নিয়মিত চোখে কাজল ব্যবহার করছেন? জেনে নিন কী হতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়মিত চোখে কাজল ব্যবহার করছেন? জেনে নিন কী হতে পারে
সংগৃহীত ছবি

মেয়েদের মেকআপে ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন মানেই চোখে কাজল ও হালকা লিপস্টিক। কাজল ছাড়া অনেকের সাজের ভাব পূর্ণ হয় না। বিশেষ করে বাঙালি মেয়েরা মনে করেন, কাজল চোখে থাকলে সৌন্দর্য আরো বাড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করার ফলে আপনার চোখের কি ক্ষতি হতে পারে? চলুন, জেনে নিই।

আগে বাড়িতে তৈরি কাজল ব্যবহার করা হলেও এখন বাজারে প্রচুর দামি ব্র্যান্ডের কাজল পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর মধ্যে রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এখানে কিছু ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হল, যা অতিরিক্ত কাজল ব্যবহারের ফলে হতে পারে।

১) বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের কাজলে রাসায়নিক উপাদান থাকে।

যা চোখে এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

২) প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে শুষ্ক চোখের সমস্যা হতে পারে।

৩) অনেক কাজলে পারদ, সিসা ও প্যারাবেনের মতো উপাদান থাকে, যা কনজাংটিভাইটিসের কারণ হতে পারে এবং চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।

৪) দীর্ঘদিন কাজল ব্যবহারে কর্নিয়ার আলসার বা চোখে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

৫) অতিরিক্ত কাজল ব্যবহারে চোখ ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।

যদি আপনি প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করেন, তাহলে বাড়িতে তৈরি কাজল ব্যবহার করাই ভালো। কারণ তা চোখের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরেও কোনো ক্ষতি হয় না।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ