স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য কোন তেলের রান্না খাবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য কোন তেলের রান্না খাবেন
সংগৃহীত ছবি

তেল ছাড়া রান্না চলে না। ভাজাপোড়া হোক বা ঝাল-তরকারি, যে কোনো কিছু রান্না করতে গেলে তেলের প্রয়োজন পড়েই। কিন্তু অত্যধিক তেল কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। তেলের পরিমাণের পাশাপাশি তেলের গুণগত মান নিয়েও সাবধান থাকা দরকার।

বাজারে প্যাকেটজাত বা বোতলজাত তেলের পাশাপাশি অনেক ধরনের খোলা তেল পাওয়া যায়। এগুলো তৈরি হয় যেমন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তেমনি খাওয়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। তাই স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য বোতলজাত তেলের ওপর ভরসা করতে হয়।

তবে বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে।

কোন তেলের রান্না খেলে কী উপকার হবে বা এসব তেলের গুণাগুণ কী, তা অনেকেই জানেন না। মূলত তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন জেনেই নিই কোন তেল স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী।

সরিষা তেল

রান্নায় আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করতেই পারেন।

এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ঘি

ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নায় ঘিয়ের ব্যবহার বহুকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। ঘিয়ের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার, ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে রয়েছে। ঘি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য উপকারী এবং হার্টের জন্যও উপযোগী।

আরো পড়ুন
রান্নায় হলুদ বেশি হলে যা করবেন

রান্নায় হলুদ বেশি হলে যা করবেন

 

সাদা তেল

সাদা তেলের থেকে অনেক বেশি উপযোগী বাদাম তেল। ভাজাভুজি রান্নায় এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া নারকেল তেলে তৈরি রান্না বাঙালিরা খুব বেশি খান না। তবে দক্ষিণ ভারতে এই তেলের ব্যবহার বেশি। স্বাস্থ্যের জন্য আপনিও নারকেল তেলে তৈরি খাবার খেতে পারেন। বেকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল।

তিলের তেল

তিলের তেল দিয়েও রান্না করা যেতে পারে। ডাল, তরকারিতে ফোড়ন দেওয়ার সময় তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সূর্যমুখী তেল দিয়ে ভাজাভুজি, তরকারি রান্না করতে পারবেন। 

অলিভ অয়েল

হার্ট অ্যাটাক, আর্থাইটিস, স্তন ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, জরায়ু ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য, গলব্লাডারে সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে অলিভ অয়েলের ভূমিকা প্রচুর।

আরো পড়ুন
রান্নায় যে ভুলগুলো বাড়িয়ে দেয় স্বাস্থ্যঝুঁকি

রান্নায় যে ভুলগুলো বাড়িয়ে দেয় স্বাস্থ্যঝুঁকি

 

সূর্যমুখী তেল

সূর্যমুখী তেলে রয়েছে কোলিন ও ফেনোলিক অ্যাসিড, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ই এর সমৃদ্ধ উৎস এই তেল। এই ভিটামিন হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা মানবদেহের মধ্যে ফ্রি র‍্যাডিকেলস ছড়াতে বাধা দেয়। ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো হলো সেই বিপজ্জনক অণু, যা শরীরের সব ভালো অণুগুলোকে আক্রমণ করে, যেগুলো শরীরের অপরিহার্য ক্রিয়াকলাপের ওপর কাজ করে।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিটামিন সি কেন জরুরি, কোন খাবারে পাবেন সহজে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভিটামিন সি কেন জরুরি, কোন খাবারে পাবেন সহজে
সংগৃহীত ছবি

ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য এক অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এটি শুধু সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বক, চুল, হাড়, মাংসপেশি ও ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন সি-এর অভাবে দেখা দিতে পারে স্কার্ভির মতো রোগ—যার উপসর্গ হলো মাড়ি ফোলা, রক্তপাত, দুর্বলতা এবং ত্বকের সমস্যা।

তাই প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার রাখা খুবই দরকার।

ভিটামিন সি-এর উপকারিতা—
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, কোষকে রক্ষা করে,
ত্বক ও চুলকে রাখে স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত,
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,
চোখের ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে,
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

আমাদের আশেপাশের অনেক পরিচিত খাবারেই রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। চলুন, জেনে নিই।

লেবু – প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু পানি শরীরকে ডিটক্স করে, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

পেয়ারা – একটি পেয়ারায় থাকে প্রায় ১২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এটি হজম ও হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

কমলা লেবু – একটি কমলায় থাকে প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

পেঁপে – স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

টমেটোর রস – ক্যান্সার প্রতিরোধে ও ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় সাহায্য করে।

আঙ্গুর – এতে রয়েছে ভিটামিন সি ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

স্ট্রবেরি – ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী।

ব্রকলি – মানসিক চাপ কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফুলকপি – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ।

প্রদাহ কমায়, রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

ভিটামিন সি-এর অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে?
স্কার্ভি (মাড়ি ফোলা ও রক্তপাত)
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
চুল পড়া
ক্ষত সারতে দেরি
জয়েন্টে ব্যথা
মন খারাপ বা বিষণ্ণতা
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ঘাটতি গুরুতর হতে পারে।

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭

মন্তব্য

নববর্ষে অল্প খরচে ঘর সাজানোর সহজ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
নববর্ষে অল্প খরচে ঘর সাজানোর সহজ উপায়
সংগৃহীত ছবি

নতুন বছরের শুরু মানেই নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সময়। কিন্তু শুধু নিজের সাজেই থেমে থাকলে চলবে? চাইলে আপনি আপনার বাসাটিও সাজিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু ভাবছেন ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ? মোটেই নয়! শুধু একটু বুদ্ধি, রুচি আর সময় বের করলেই হয়ে যাবে ব্যাপারটা। চলুন, দেখে নিই কীভাবে খুব সহজে ও কম খরচে বাড়িকে দেওয়া যায় একদম নতুন সাজ।

অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো প্রথম দিনই সরিয়ে ফেলুন
ঘরে যেসব জিনিসের আর কোনও ব্যবহার নেই, তা সরিয়ে দিন বা কাউকে দিয়ে দিন। পুরনো খবরের কাগজ, প্লাস্টিক, ভাঙা খেলনা যেগুলো শুধু জায়গা নিচ্ছে, সেগুলো ফেলে দিন। জায়গা ফাঁকা হলেই ঘর অনেক হালকা দেখাবে।

এক টুকরো দেওয়ালেই হোক সাজের ম্যাজিক
বাড়ির প্রতিটি দেয়াল রং না করলেও চলবে।

যেকোনো একটি দেওয়াল বেছে নিয়ে সেখানে একটু আলাদা রঙ বা প্যাটার্ন ব্যবহার করুন। চাইলেই বাজার থেকে ওয়াল স্টিকার কিনে এনে নিজেই ঘর সাজিয়ে নিতে পারেন।

দেওয়ালে দিন ছবি ও ওয়াল হ্যাঙ্গিং এর ছোঁয়া
ফ্যামিলি ফটো, ভ্রমণের স্মৃতি বা পছন্দের আর্টওয়ার্ক ফ্রেম করে ঝুলিয়ে দিন। আজকাল নানা ধরনের ওয়াল হ্যাঙ্গিং, ড্রিমক্যাচার পাওয়া যায়— সেগুলোও লাগিয়ে দিন।

ঘর হয়ে উঠবে অনেক বেশি সুন্দর আর আপন।

পর্দা বদলালেই বদলে যাবে ঘরের চেহারা
ঘরের রং যদি হালকা হয়, তাহলে গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে জুট বা পাটের তৈরি পর্দাও বেছে নিতে পারেন। পর্দার পাশে পাটের রঙিন দড়ি ঝুলিয়ে দিতে পারেন। খুব বেশি রং ব্যবহার না করাই ভালো, না হলে ঘর দেখাবে এলোমেলো।

কার্পেট ও কুশনে আসুক আরাম আর আড্ডার মেজাজ
ঘরের আয়তন অনুযায়ী বড় বা ছোট কার্পেট ব্যবহার করুন। বা একটা মোটা তোষকের ওপর সুন্দর চাদর বিছিয়ে, তার উপর নানা রঙের কুশন সাজিয়ে দিন। গল্প করার বা বই পড়ার আদর্শ জায়গা হয়ে উঠবে সেটা।

সতেজতা আনুন ফুল দিয়ে
বাড়িতে রাখুন একটুকরো তাজা ফুল। ফুলের সঙ্গে হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বাড়ি ভরে উঠবে শান্তি ও আনন্দের আবহে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

ভাঙা নখের সমস্যা এড়াতে যা করবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভাঙা নখের সমস্যা এড়াতে যা করবেন
সংগৃহীত ছবি

শখ করে রঙিন নেলপলিশ লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই অনেকের নখ ভেঙে যায়। গ্রীষ্মকালে শুষ্কতা যেমন ত্বকে প্রভাব ফেলে, তেমনি প্রভাব পড়ে নখের উপরেও। তাই এই সময়ে নখেরও দরকার বিশেষ যত্ন। চলুন, জেনে নিই কীভাবে সহজ কিছু উপায়ে গরমে ভঙ্গুর নখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন—

আর্দ্রতা বজায় রাখুন
গরমে শরীরের পানি কমে যায়, আর তার প্রভাব পড়ে নখেও।

নখ শুকিয়ে গেলে সহজেই ভেঙে যায়। তাই নিয়মিত কিউটিকল অয়েল বা ক্রিম ব্যবহার করুন। এ ছাড়া নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নখ ও হাত ম্যাসাজ করুন

ভেজা হাতে বেশি সময় থাকবেন না
গরমকালে ঘন ঘন হাত ধোয়া, থালা-বাসন মাজা বা ঘরের কাজ করার ফলে নখ দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে।

এতে নখ দুর্বল হয়ে যায় ও সহজেই ভেঙে যায়। পানি ব্যবহার করার পর হাত ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। চাইলে ঘরের কাজের সময় রাবার গ্লাভস ব্যবহার করুন। সাঁতার কাটার পরও হাত-মুখ মুছে নিতে ভুলবেন না।

ম্যানিকিওর করার সময় সাবধানতা জরুরি
নখের যত্ন নিতে গিয়ে ভুল উপায় ব্যবহার করলেই সমস্যা বাড়ে। ধাতব কিউটিকল পুশার ব্যবহার না করে, কাঠের বা রাবারের ব্যবহার করুন। নেল ক্লিপার, ফাইল— সব কিছু যেন পরিষ্কার থাকে সেটা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজন মতো পেডিকিওরেও এই নিয়ম মেনে চলুন।

দেহের ভিতর থেকে যত্ন নিন
সুন্দর ও মজবুত নখের জন্য শুধু বাহ্যিক যত্নই যথেষ্ট নয়।

প্রয়োজন ভেতর থেকে পুষ্টি দেওয়া। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। খাবারে রাখুন ভিটামিন বি, বায়োটিন, আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ উপাদান। ডিম, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, ফল— সবই নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এই নিয়মগুলো শুধু হাতের নখ নয়, পায়ের নখের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মাথায় রাখুন, নখের স্বাস্থ্য কিন্তু আপনার সামগ্রিক সুস্থতারই একটা প্রতিফলন। তাই নিয়মিত একটু যত্নই ফিরিয়ে দেবে মজবুত ও ঝকঝকে নখ।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গরমে ডাবের পানি না লেবুর পানি, কোনটি বেশি উপকারী?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে ডাবের পানি না লেবুর পানি, কোনটি বেশি উপকারী?
সংগৃহীত ছবি

গরমকালে রোদের তেজে বাইরে কিছুক্ষণ থাকলেই অস্বস্তি শুরু হয়, গলা শুকিয়ে যায়, শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় ঠাণ্ডা কিছু পানীয়র দিকে হাত চলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। ডাবের পানি বা লেবু্র পানি পান করে গরমে স্বস্তি খোঁজেন অনেকে।

প্রশ্ন হলো— এই তীব্র গরমে কোনটা বেশি উপকারী? কারা কোনটি পান করবেন, আর কার ক্ষেত্রে সাবধানতা জরুরি?

ডাবের পানিতে কী আছে?
ডাবের পানি হলো প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটের ভাণ্ডার।

এতে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম— যা শরীরকে দ্রুত সতেজ করে। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হলে ডাবের পানি খুব দ্রুত শরীরের ঘাটতি পূরণ করে। কোনও ফ্যাট নেই, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও ভালো। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ক্লান্তি দূর করে, শরীরকে সতেজ করে তোলে।

লেবুর পানির উপকারিতা
লেবুর পানি মূলত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে এটি উপকারী হতে পারে। এ ছাড়া এটি হজমে সহায়ক, রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট ও কিডনির যত্নেও কার্যকরী। গরমে এক গ্লাস লেবুর পানি খেলে দ্রুত সতেজতা ফিরে আসে।

কোন পানীয় কখন খাবেন?
তীব্র গরমে পানিশূন্যতা হলে ডাবের পানি বেশি উপকারী। সতেজতা ও ডিটক্স চাইলে লেবুর পানি খাওয়া ভালো।

ডাবের পানি যারা খাবেন না:
কিডনির সমস্যা থাকলে ডাবের পানি খাওয়া উচিত নয়।

এতে অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরে জমে গিয়ে হাইপারক্যালিমিয়া তৈরি করতে পারে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ডাবের পানি পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফুসফুসের জটিলতা বা সিস্টিক ফাইব্রোসিস থাকলেও এটি এড়ানো উচিত।

লেবুর পানি এড়িয়ে যাবেন যারা:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে খালি পেটে লেবুর পানি খাওয়া ঠিক নয়। দাঁতের সমস্যা, যেমন ইনফেকশন বা দাঁতের ব্যথার ওষুধ খাচ্ছেন— সেক্ষেত্রেও লেবুর পানি এড়িয়ে চলুন। ত্বকের অ্যালার্জি বা কিডনির সমস্যা থাকলে লেবুর পানি খাওয়ার আগে সাবধানতা দরকার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ