ত্বকে বার্ধক্যের চাপ দূর করতে যা করবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ত্বকে বার্ধক্যের চাপ দূর করতে যা করবেন
সংগৃহীত ছবি

ত্বক সুস্থ রাখতে সবসময় বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে শীতের দিনে যখন ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়, তখন বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে।

বর্তমান যুগে সুন্দর চেহারা পেতে কে না চায়, তাই বাজারে পাওয়া নানা পণ্য আমরা ব্যবহার করি। এসব পণ্য কেমিক্যালযুক্ত হওয়ায় সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।

এমনকি ত্বকে দাগ, ব্রণ ও বলিরেখার মত সমস্যায় ডেকে আনতে পারে। তাই অনেক মানুষ আবার বেছে নেন ঘরোয়া প্রতিকার। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে সঠিক পুষ্টির অভাব থাকলে তা ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে বা নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য খাদ্যতালিকায় সঠিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বয়সের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এগুলো বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। সেগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত। চলুন, জেনে নিই কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

আরো পড়ুন
শীতে বাড়তে পারে হাঁপানি, যেভাবে শিশুর খেয়াল রাখবেন

শীতে বাড়তে পারে হাঁপানি, যেভাবে শিশুর খেয়াল রাখবেন

 

ট্রান্স ফ্যাট

প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস- ট্রান্স ফ্যাট শরীরে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়। এই দুটিই ত্বকের ক্ষতি করে, যা বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখা সৃষ্টি করে।

কোলাজেনের ক্ষয়- ট্রান্স ফ্যাট কোলাজেনের উৎপাদন কমায়, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করে।

রেড মিট

প্রদাহ- রেড মিটে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরে প্রদাহ বাড়ায়।

ফ্রি র‌্যাডিক্যাল- রেড মিটে ফ্রি র‌্যাডিক্যালও থাকে, যা কোষের ক্ষতি করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার 

গ্লাইকেশন- চিনি শরীরের প্রোটিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, যাকে গ্লাইকেশন বলে। এই প্রক্রিয়াটি কোলাজেন ও ইলাস্টিনের ক্ষতি করে। যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও শক্তির জন্য অপরিহার্য।

প্রদাহ- প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ পরিমাণে গ্লুকোজ, নুন ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এগুলো শরীরে প্রদাহ বাড়ায়, যা কোষের ক্ষতি করে এবং বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ সৃষ্টি করে।

আরো পড়ুন
শীতে শরীর গরম রাখবে যেসব মসলা

শীতে শরীর গরম রাখবে যেসব মসলা

 

লবণ

রক্তচাপ- অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়ে, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

ফোলাভাব- লবণ খেলে শরীরে ফোলাভাব বাড়ায়, যা ত্বকের ক্ষতি করে।

অ্যালকোহল

ডিহাইড্রেশন- অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে, ত্বককে শুষ্ক ও প্রাণহীন করে তোলে।

কোলাজেনের ভাঙন- অ্যালকোহল কোলাজেনের ভাঙ্গনকে উৎসাহিত করে, যা বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা তৈরির দিকে পরিচালিত করে।

আরো পড়ুন
শীতে কোমল ও মোলায়েম ত্বকের জন্য কী করবেন

শীতে কোমল ও মোলায়েম ত্বকের জন্য কী করবেন

 

বার্ধক্য কমাতে কী করবেন? 

ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন- ফল, শাকসবজি, বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজ। যা কোষকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।

এ ছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, যেমন- মাছ, আখরোট ও চিয়া বীজ খেতে পারেন। যা প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।

আরো পড়ুন
শীতে যেসব ফল খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

শীতে যেসব ফল খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

 

পানি শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। তাই দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফের প্রাক্তনের প্রেমে পড়ার আগে যে বিষয়গুলো ভাবতেই হবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফের প্রাক্তনের প্রেমে পড়ার আগে যে বিষয়গুলো ভাবতেই হবে
সংগৃহীত ছবি

কথায় আছে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। প্রেমের ব্যাপারেও নাকি এই প্রবাদ দারুণ মিলে যায়। ঠিক যেমন ওল্ড ইজ গোল্ড, ঠিক তেমনই প্রাক্তন যদি ফের এসে হাজির হয় নতুন প্রেমে, তাহলে নাকি প্রেম আরো ভালো জমে। কিন্তু এখানেই সাবধান! ভুলে যাবেন না, এই মানুষটাকেই কিছু বছর আগে দূর দূর করে জীবন থেকে তাড়িয়ে ছিলেন বা তিনি আপনাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

তবে যখন এসেই পড়েছে আবার তাহলে সাবধানে পথ এগোতে হবে। নইলে বিপদ! 

পুরাতন সম্পর্কে নতুন করে আবার কিভাবে এগুবেন তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

চেনা মানুষ ভেবে আগে থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন না।

বরং যেহেতু চেনা, সেহেতু সাবধানে পা ফেলুন। দেখুন এত বছর পর মানুষটা বদলেছে নাকি একই আছে। ঠিক কী কারণে আগেরবার বিচ্ছেদ! ঠিক করে মনে করে নিন। যদি এবারও সেগুলোর ইঙ্গিত পান, তাহলে সামনে এগোনো উচিত হবে না।

আরো পড়ুন
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

 

প্রাক্তন ফিরে এসেছে মানেই প্রথম দিন থেকেই গদগদ প্রেম নয়। বরং বন্ধুত্ব করুন। তারপর সময় নিন। তুমি এসেছো ফিরে..উদ্ধার করলে আমাকে! এসব চিন্তা মাথাতে এলেও প্রকাশ করবেন না। মনে রাখুন, টেকেন ফর গ্রান্টেড হলেই কিন্তু মুশকিল।

চিন্তা করে নিন মনে মনে, ঠিক কী কী কারণে আগের বার ছাড়াছাড়ি হয়েছিল। সেগুলো মোটেই ফের করবেন না। বরং অ্যাডজাস্ট করে ফেলুন।

একটা স্যরি শব্দে যদি সব কিছু ঠিক হয়ে যায়, তাহলে ইগো না রেখে, স্যরিটা বলে ফেলুন। দেখবেন সম্পর্ক ঠিক থাকবে। ব্রেকআপ হয়েছে তো কী হয়েছে। বার বার সেটা প্রিয় মানুষকে মনে করানোর কিছু নেই। বরং পুরনো কথা ভুলে নতুন করে সব কিছু শুরু করুন।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

আর হ্যাঁ, আপনি যখন জীবনে ছিলেন না, তখন কে বা কারা আপনার প্রাক্তনের প্রেমে ডুব দিয়েছিল, সে প্রশ্ন একেবারেই নয়। মোট কথা, কৌতূহল বাদ দিন, মন ভরে প্রেম করুন।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ
সংগৃহীত ছবি

আসছে বাঙালির প্রধান উৎসব নববর্ষ। এই সময়ে বাঙালির ঘরে ঘরে বিভিন্ন খাবারের আয়োজন হয়ে থাকে। তার মধ্যে থাকে পান্তা-ইলিশ। ইলিশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালিয়ানা।

ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ পোলাও, সরষে ইলিশ—এমন আরো অনেক রকমের পদ রয়েছে।

এই বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে রান্না করতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ। এটি রান্না করা যেমন সহজ, তেমনই সুস্বাদু। চলুন, জেনে নিই ভাপা সরষে ইলিশ রান্নার রেসিপি।

আরো পড়ুন
নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

 

উপকরণ

  • ইলিশ মাছ- ৬ পিস
  • হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • গোল মরিচের গুঁড়া- হাফ চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ বাটা- ১ চা চামচ
  • সরিষা বাটা- ২ চা চামচ
  • সরিষার তেল- ৩ চা চামচ
  • লবণ- ২ চা চামচ
  • পেঁয়াজ বাটা- ২ চা চামচ
  • টকদই- ২ চা চামচ
আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে পেঁয়াজ বাটা ও টকদই ভালোভাবে মিক্স করুন। এতে এক এক করে সরিষা বাটা, গোল মরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ বাটা, হলুদ গুঁড়া, লবণ যুক্ত করে স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন। ইলিশ মাছের টুকরাগুলো মসলা দিয়ে ভালোভাবে ম্যারিনেট করুন। এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে মাছগুলো দিয়ে ওপরে সরিষার তেল ছড়িয়ে দিন।

টিফিন বক্সের ঢাকনা আটকিয়ে দিন ভালোভাবে।

তারপর স্টিম করতে হবে। ফুটন্ত গরম পানিতে টিফিন বক্স বসিয়ে দিন সাবধানে। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

চুলার তাপ কমিয়ে রাখতে হবে। এরপর টিফিন বক্সের ঢাকনা খুলে দেখুন ওপরে তেল ভেসে উঠেছে কি না। তেল ভেসে উঠলে হয়ে গেছে ভাপা ইলিশ রান্না।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

এবার গরম গরম সার্ভ করে দিন। মাত্র ৩০ মিনিটেই তৈরি হয়ে গেলো ভাপা সরষে ইলিশ। খুবই সহজ রান্না! সাদা ভাত, পোলাও, খিচুড়ি সব কিছুর সঙ্গেই দারুণ মানিয়ে যাবে।

সূত্র : সাজগোজ

মন্তব্য

নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক
সংগৃহীত ছবি

বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ, এটি অনেকের কাছেই শুধু একটি ক্যালেন্ডারের তারিখ। তবে বাঙালির কাছে এটি  সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আবেগের একটি প্রতিচ্ছবি। প্রাচীনকাল থেকেই খুবই আনন্দের সঙ্গে এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখের একটি খাবার হচ্ছে চিড়া ভেজা, মুড়ি, মিঠাই, নারকেল কলার মিশ্রণ।

এ ছাড়া আরো একটি জনপ্রিয় খাবার হলো পান্তা-ইলিশ। 

তবে ঠিক কবে থেকে বাঙালিদের নববর্ষের অনুষ্ঠানে এই পান্তা-ইলিশের প্রচলন হয়েছে, সেটির সঠিক ইতিহাস জানা নেই। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানব ঐতিহ্যবাহী বৈশাখ এবং এর সঙ্গে পান্তা-ইলিশের সম্পর্কের আদ্যোপান্ত।

আরো পড়ুন
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

 

বাঙালির আবেগ পান্তা ও ইলিশ  

কথায় রয়েছে মাছে-ভাতে বাঙালি।

আর বাংলা নববর্ষ মানে বাংলা বছরের প্রথম দিন। তবে একেবারে শুরু থেকেই যে নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়া হতো—এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে হ্যাঁ, যেহেতু বাংলা নববর্ষ সৌরপঞ্জিকা অনুসারে প্রবর্তিত হয় এবং প্রাচীনকালেও কৃষকদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয় খাবার ছিল পান্তা ভাত। সে সময় অবশ্য ইলিশ মাছ ছিল অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশ দামি একটি মাছ।
তাই কৃষকদের খাবারের তালিকায় খুব একটা ইলিশ মাছের দেখা মিলত না। সে সময় তারা বিভিন্ন শাক-সবজি বা ভর্তার সাথে পান্তা ভাত খেতেন।

বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। কিন্তু ইলিশ খাওয়ার সঙ্গে বাংলা নববর্ষের কি আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, জানতে চাইলে মিস্টার খান বলেন, ‘বাঙালির নববর্ষ উদযাপনের চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে ইলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’

আরো পড়ুন
ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

 

তিনি বলেন, ‘বৈশাখে যখন খরার মাস, যখন কোনো ফসল হতো না, তখন কৃষকদের হাতে পয়সাও থাকত না।

সুতরাং তাদের পক্ষে ইলিশ কিনে খাওয়া সম্ভব হতো না। সুতরাং এটা মোটেও সত্যি নয় যে কৃষকরা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা-ইলিশ খেয়ে বছর শুরু করতেন। গ্রামবাংলায় নববর্ষের উৎসবই ছিল খুব ছোট আকারে। কৃষানি আগের রাতে একটি নতুন ঘটে কাঁচা আমের ডাল ভিজিয়ে রাখতেন, চাল ভিজিয়ে রাখতেন। সকালে কৃষক সেই চাল পানি খেতেন এবং শরীরে কৃষানি পানিটা ছিটিয়ে দিতেন। তারপর তিনি হালচাষ করতে যেতেন। দুপুরবেলায় পান্তা খেতেন কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ দিয়ে। কখনো কখনো একটু শুঁটকি, একটু বেগুন ভর্তা ও একটু আলু ভর্তা দিয়ে খেতেন।’

তবে অনেকের মতেই গত শতকের আশির দশক থেকেই এই পান্তা ভাত খাওয়ার সূচনা ঘটেছে। সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সাথে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এর শুরু হয়। এখন অবধি সেই ধারা চলমান। তবে শুরু থেকেই এই পান্তা-ইলিশের প্রচলন না থাকলেও আশির দশকে ১৯৮০ আবার কারো মতে ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম পান্তার সঙ্গে ইলিশের আয়োজন করা হয়।

একটি সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়ায় তথ্য মতে,  সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন সর্বপ্রথম এই পান্তা-ইলিশের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে সহকর্মীদের থেকে চাঁদা তুলে এই আয়োজন সম্পূর্ণ করা হয় এবং সেখানে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যায়। এর পরের বছর থেকেই এটি ক্রমেই জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

এরপর নব্বইয়ের দশকে এসে পান্তা-ইলিশ যেন বাঙালিদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যায়। ঠিক এই কারণেই তখন শুধু  রমনাতে  নয় বরং সারা বাংলাদেশের সব জেলা শহরের অলিগলিতেও মানুষ নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়া শুরু করে। এতে করে সারা বছরের তুলনায় এই নববর্ষে ইলিশের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ পর্যন্ত। দাম যেমনই হোক না কেন, শখ কি আর দাম মানে বলুন। তাই তো আজও নববর্ষে বাঙালিরা ভর্তা ও পান্তার সঙ্গে ইলিশ খেতে ভোলে না।

পান্তা ভাত ও ইলিশের ঐতিহ্য ও উপকারিতা

পান্তা ভাত আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে বেশ উপকারী। পান্তা ভাতে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, যা আমাদের দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি আমাদের শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। গরমের দিনে পান্তা ভাত খেলে এটি আমাদের শরীর কে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পান্তা ভাতে রয়েছে আয়রন, খনিজ উপাদান ও ভিটামিন-বি, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

অন্যদিকে ইলিশ শুধু আমাদের কাছে একটি সাধারণ মাছ না, বরং আমাদের ঐতিহ্য ও আবেগের প্রতীক। অসাধারণ ঘ্রাণ ও স্বাদের কারণেই এটি বিখ্যাত। এ ছাড়া এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড, যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

বৈশাখি আয়োজনে পান্তা ইলিশ

বৈশাখের প্রধান আয়োজন বা বৈশাখি খাবার বলতেই এই পান্তা ও ইলিশ কে বোঝানো হয়ে থাকে। প্রতিবছর এই দিনে সকাল বেলায় সবাই পরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে পান্তা-ইলিশ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে ঢাকার রমনা বটমূলে এই আয়োজন যেন এক মহা উৎসবে পরিণত হয়। রমনা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পান্তা-ইলিশের আয়োজনের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

পান্তা-ইলিশের বিতর্ক ও বাস্তবতা

প্রতিবছর বর্ষবরণে এই পান্তা-ইলিশ নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর প্রধান কারণ হলো ইলিশের দাম। সত্যি বলতে আজও নিম্নমধ্যবিত্ত বা গরিবদের হাতের নাগালে নেই এই মাছ। আর পহেলা বৈশাখ শুরুর আগেই এই মাছের দাম যেন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায়। ফলে উচ্চবিত্ত ছাড়া অন্য অনেক সাধারণ জনগণের হাতের নাগালে চলে যায় এই ইলিশ।

এই বিষয়টি নিয়েই অনেকের মাঝে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে অনেকের মতেই শুধু উৎসবের জন্য ইলিশের ওপরে চাপ সৃষ্টি করা উচিত না বরং কিভাবে ইলিশ সংরক্ষণ করা যাবে এবং ন্যায্য দামে সকলের হাতের নাগালে পৌঁছানো যাবে, সেই বিষয়ে কাজ করা উচিত।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

সূত্র : বিবিসি বাংলা ও বিন্নি ফুড

মন্তব্য

পড়তে বসলে ঘুম পায় কেন, যা বলছে বিজ্ঞান

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
পড়তে বসলে ঘুম পায় কেন, যা বলছে বিজ্ঞান
সংগৃহীত ছবি

বই সামনে নিয়ে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন রাজ্যের ঘুম চোখে এসে জুড়ে বসে। ছোট হোক বা বড়, সবারই এ সমস্যা রয়েছে। যদিও শিশুরা পড়ার সময় এ সমস্যায় বেশি পড়ে। আর এ কারণে প্রায়ই নাজেহাল হন অভিভাবকরা।

বড়দের এ সমস্যায় অভিভাবকরা তেমন একটা নজর না দিলেও শিশুদের ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শিশুরা এ সমস্যায় পড়লে নির্ধারিত সিলেবাসের পড়া সঠিক সময়ে শেষ করতে পারে না। তবে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য রইল বিশেষ কিছু টিপস। যা মেনে চললে দ্রুতই ঘুমের দেশে ঘুমকেই পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

আরো পড়ুন
ব্রিদিং এক্সারসাইজে কী উপকার

ব্রিদিং এক্সারসাইজে কী উপকার

 

বিজ্ঞান কী বলে

পড়তে বসলেই চোখে ঘুম আসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। আমরা যখন পড়তে শুরু করি তখন চোখের ওপর চাপ পড়ে বেশি। মস্তিষ্কও ডেটা প্রসেসের কাজ করতে থাকে। চোখের মাংসপেশিগুলো ঢিলে হয়ে আসে।

তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের মস্তিষ্ক বিদ্রোহ শুরু করে, যার ফলে চোখে নেমে আসে ঘুম।

ঘুম তাড়াতে কী করবেন

এ সমস্যাকে প্রশ্রয় দিলে ভালো ঘুম কিছুক্ষণের জন্য হয়তো হবে, তবে জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যেতে হবে আপনাকে। তাই পড়ার সময় ঘুমকে তাড়াতে মেনে চলুন কয়েকটি বিষয়।

আরো পড়ুন
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

 
  • পড়ার স্থান অবশ্যই আলোকিত রাখুন। বাইরের খোলা বাতাসের আবহাওয়া ভেতরে ঢুকতে পারে, এমন স্থান পড়ার জন্য নির্বাচন করুন।
  • বিছানায় কখনো পড়তে বসবেন না। চেয়ার-টেবিলে বই পড়ার অভ্যাস করুন। এতে চেয়ার-টেবিল দেখামাত্রই মস্তিষ্ক পড়ার জন্য তৈরি হতে থাকবে।
  • পড়ার আগে হালকা খাবার খেতে হবে। এ সময় কখনোই ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। ভারী খাবার খাওয়ার পর মস্তিষ্ক কিছুটা অলস বোধ করে।
  • রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে ওঠার অভ্যাস থাকলে সহজে পড়ার সময় ঘুম এসে ভর করতে পারে না। তাই শিশুদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
  • পড়ার সময় ৫০০ মিলি পানি পান করুন। এতে মস্তিষ্ক আর্দ্র থাকে, যা পড়া বুঝতে ও মনে রাখতে কাজ করবে। পড়ার ৩০ মিনিটের মাঝে ৫ মিনিট বিরতি রাখুন।
  • আওয়াজ করে পড়তে পারেন। মনে মনে পড়ার অভ্যাস থাকলে পড়ার পর তা লিখে ফেলার চেষ্টা করুন। পড়ার মাঝে তন্দ্রাভাব কাটাতে আধা কাপ চা খাওয়ারও অভ্যাস করা যেতে পারে।
  • আরো পড়ুন
    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

     
    • অনেকেই আরামদায়ক জায়গায় পড়তে বসেন। শরীর আরাম পেলে একটু ছেড়ে দেয়। আয়েশ করতে চায়। তাই এমন জায়গায় বসা যাবে না।
    • অনেকেই পড়তে বসেন সব কাজ শেষে, একদম রাতের খাবারের পর। সারা দিনের ক্লান্তি তখন আপনাকে এমনিতেই ঘুমের দেশে টেনে নিতে চাইবে।

    সূত্র : নিউজ ১৮

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ