বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় বা ছুটির দিনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তে বাদাম খেতে সবারই ভালো লাগে। সস্তায় সময় কাটানোর এমন উপকরণ আর নেই বললেই চলে। অনেকে আবার কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে সকাল বেলা খান। কেউ আবার মুড়ি-চানাচুরের সঙ্গে মেখেও খান।
বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় বা ছুটির দিনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তে বাদাম খেতে সবারই ভালো লাগে। সস্তায় সময় কাটানোর এমন উপকরণ আর নেই বললেই চলে। অনেকে আবার কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে সকাল বেলা খান। কেউ আবার মুড়ি-চানাচুরের সঙ্গে মেখেও খান।
অনেকেই তাই প্রতিদিন চিনাবাদাম খেয়ে থাকেন। কখনো কাঁচা, কখনো ভাজা, যার যেমন ইচ্ছা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রতিদিন বাদাম খেয়ে শরীরের আলাদা কোনো উপকার আছে কি না, নাকি রয়েছে ক্ষতি।
প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে কী হয়
চিকিৎসকদের মতে, মুখোরোচকের সঙ্গেই স্বাস্থ্যকর নাশতার তালিকায় ধরা যেতে পারে চিনা বাদামকে। প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব, এতে ভালো থাকে স্বাস্থ্যও। এতে আছে হেলদি ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন।
চিনাবাদাম ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে ভালো থাকে হৃদযন্ত্র। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। তাই হার্ট ভালো রাখতে চিনাবাদাম খাওয়া ভালো।
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে চিনাবাদাম।
যারা রোগা হওয়ার জন্য লড়াই করছেন তাদের চিনাবাদামের থেকে দূরে থাকাই ভালো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। চিনাবাদাম বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। অনেকের আবার চিনাবাদামে অ্যালার্জি থাকে, যাদের এই সমস্যা আছে, তাদের দূরে থাকাই ভালো।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
সম্পর্কিত খবর
শীত প্রায় শেষ দিকে। আর এ সময় শীতের কিছু সবজি অনেক বেশি দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাজর। এই ঋতুতে গাজর দিয়ে অনেক পদের রান্না হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, গাজরে ভিটামিন এ, সি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
এ ছাড়া গাজর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের উন্নতি করে। চলুন জেনে নিই, কাদের জন্য গাজর উপকারী।
ত্বকের সমস্যায় : গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
হজমে দুর্বল : গাজরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। এটি অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং সমগ্র পাচনতন্ত্রের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল বেশি : গাজরে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ফাইবার হৃদরোগের উন্নতি করে। পটাশিয়াম সুস্থ রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করা : মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও, গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক অনেক সবজির তুলনায় অনেক কম, যার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে না এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন বেশি হলে : গাজরে ক্যালরি খুব কম এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি উপকারী।
চোখ দুর্বল হলে : গাজরকে বিটা ক্যারোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং লিভারে বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। তারপর এটি রোডোপসিনে রূপান্তরিত হয়। রোডোপসিন হলো চোখের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, রেটিনায় উপস্থিত একটি প্রোটিন, যা আলোকে রাসায়নিক সংকেতে রূপান্তরিত করে দেখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ-এর অভাব থাকলে : সুন্দর দৃষ্টিশক্তি, সুস্থ ত্বক ও উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে ভিটামিন-এ-এর অভাবজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাদের খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করে এই অভাব কাটিয়ে উঠতে পারেন। তাই অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় গাজর অন্তর্ভুক্ত করুন।
সূত্র : ইটিভি
ইউরিক এসিড আমাদের শরীরের এমন একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পিউরিন নামক জৈব যৌগ থেকে তৈরি হয়। সাধারণত এই এসিড কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন শরীরে ইউরিক এসিডের উৎপাদন বেশি হয় অথবা কিডনি এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে বের করতে পারে না, তখন রক্তে এর মাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ বলা হয়।
ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বাত থেকে কিডনির পাথর, বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। চলুন, দেখে নিন কোন কোন খাবার খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক এসিড।
ফল ও সবজি
আপেল, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ইউরিক এসিডের উৎপাদন কমাতে সহায়ক।
ব্রোকলি, পালং শাক, গাজর, শসা, টমেটো, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি সবজি ইউরিক এসিড কমাতে উপকারী। ফাইবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এসব খাবার শরীর থেকে ইউরিক এসিড বের করে দিতে সাহায্য করে।
দানাশস্য ও শস্যজাত খাবার
ওটস, বার্লি, ব্রাউন রাইস ও অন্যান্য দানাশস্যজাত খাবার ইউরিক এসিড কমাতে সহায়ক। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ইউরিক এসিড শোষণ করে শরীর থেকে বের করে দেয়।
বাদাম ও বীজ
কাঠবাদাম, আখরোট, চীনাবাদাম ও ফ্ল্যাক্সসিডের মতো বাদাম ও বীজ ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবার থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পানি
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে খুবই জরুরি।
কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার
কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, দই ও পনির ইউরিক এসিড কমাতে সহায়ক। শরীরে ইউরিক এসিডের উৎপাদন কমাতে পারে এই ধরনের খাবার।
কিছু সতর্কতা
ইউরিক এসিডের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং তাদের দেওয়া ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা উচিত।
সূত্র : আজকাল
নিজেকে সুস্থ-সবল রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাঁটলে স্ট্যামিনা বাড়ে, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, মানসিক চাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত যে হাঁটা স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা, একাগ্রতা ও সৃজনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট ধরে নিয়মিত হাঁটা সুস্বাস্থ্য ও ভালো ঘুমের জন্য উপকারী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেকের আবার পায়ে সমস্যা থাকে। সে ক্ষেত্রে আবার একটানা হাঁটতে মানা করেন চিকিৎসকরা। সে ক্ষেত্রে যদি আপনি একেবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারেন তাহলে নিয়মিত ১০ মিনিটের ছোট ছোট ব্যায়ামও করতে পারেন, দিনে ৩ বার হাঁটুন।
যারা বেশি জোরে শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম করতে পারেন না, তারাও নিজেকে সুস্থ রাখতে হাঁটতে পারেন। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অথবা যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যায়াম করেননি তাদের জন্য ভালো বিকল্প এই হাঁটা।
হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় কোনটি
কেউ বলেন সকালে হাঁটা ভালো।
সকালের হাঁটার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে দ্রুত হাঁটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্যালরি যেমন দ্রুত পোড়ে, তেমনই বিপাক হার বৃদ্ধি করে।
সন্ধ্যায় হাঁটার সুবিধা
সারাদিনের কাজের পর, সন্ধ্যায় হাঁটা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। হজমশক্তি উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আপনার শরীর বেশি শক্তি খরচ করে, যা আপনাকে আরো ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে উন্নত হয় ঘুমের মানও।
হাঁটার অভ্যাস না থাকলে ২০ মিনিট হাঁটার পর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। নিশ্চিত করুন যে আপনার পা গোড়ালি থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত মাটি ছুঁয়েছে। আরামদায়ক সুতির মোজা ও হালকা জুতা পরুন। হাঁটার আগে ও পরে পানি পান করুন।
যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি সময় শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। মনে রাখবেন হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ছোট দূরত্বের জন্য পরিবহন পরিবর্তে হেঁটে যাওয়া বেছে নিতে পারেন। উপকার আপনারই হবে।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন ধূমপান করেন না, কিন্তু মুখের অন্যান্য অংশের চাইতে ঠোঁটের চারপাশের ত্বক বেশ কালচে। ক্রিম, জেল, ময়েশ্চারাইজার- কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ আপনার সৌন্দর্য ম্লান করে দিতে পারে।
অনেক সময় সূর্যের আলো, দূষণ, হরমোনের পরিবর্তন বা ভুল ত্বকের যত্নের অভ্যাসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
মোটেই না! এসব রাসায়নিকের ব্যবহারে ত্বকের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চালের গুঁড়া, দই ও মধু দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক কাজে লাগতে পারে।
চালের গুঁড়া- এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক স্ক্রাব, যা মৃত ত্বক দূর করে এবং মুখের রং উন্নত করে।
দই- এতে উপস্থিত ল্যাকটিক এসিড ট্যানিং দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
মধু- এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।
কিভাবে তৈরি করবেন
পদ্ধতি
একটি পাত্রে চালের গুঁড়া, দই ও মধু যোগ করুন। সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এবার আপনার মুখ পরিষ্কার করে এই পেস্টটি সামান্য ভেজা মুখে লাগান। বিশেষ করে ঠোঁটের চারপাশের কালো অংশ হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট শুকাতে দিন এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
এই প্যাকটি সপ্তাহে ২-৩ বার লাগান। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ রোদে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ত্বককে আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করুন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই