প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন
সংগৃহীত ছবি

বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় বা ছুটির দিনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তে বাদাম খেতে সবারই ভালো লাগে। সস্তায় সময় কাটানোর এমন উপকরণ আর নেই বললেই চলে। অনেকে আবার কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে সকাল বেলা খান। কেউ আবার মুড়ি-চানাচুরের সঙ্গে মেখেও খান।

এই চিনাবাদামের উপকার বলে শেষ করা যাবে না।

অনেকেই তাই প্রতিদিন চিনাবাদাম খেয়ে থাকেন। কখনো কাঁচা, কখনো ভাজা, যার যেমন ইচ্ছা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রতিদিন বাদাম খেয়ে শরীরের আলাদা কোনো উপকার আছে কি না, নাকি রয়েছে ক্ষতি।

তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

আরো পড়ুন
এবার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই!

এবার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই!

 

প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে কী হয়

চিকিৎসকদের মতে, মুখোরোচকের সঙ্গেই স্বাস্থ্যকর নাশতার তালিকায় ধরা যেতে পারে চিনা বাদামকে। প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব, এতে ভালো থাকে স্বাস্থ্যও। এতে আছে হেলদি ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন।

চিনাবাদাম ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে ভালো থাকে হৃদযন্ত্র। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। তাই হার্ট ভালো রাখতে চিনাবাদাম খাওয়া ভালো।

আরো পড়ুন
বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

 

ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে চিনাবাদাম।

তাই ডায়াবেটিস থাকলে এই বাদাম খেতে পারেন। চিনাবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন ই রয়েছে বলে চিনাবাদাম আমাদের চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যেও ভালো। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বয়সজনিত রোগ থেকে চিনাবাদাম দূরে রাখবে আপনাকে।

যারা রোগা হওয়ার জন্য লড়াই করছেন তাদের চিনাবাদামের থেকে দূরে থাকাই ভালো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। চিনাবাদাম বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। অনেকের আবার চিনাবাদামে অ্যালার্জি থাকে, যাদের এই সমস্যা আছে, তাদের দূরে থাকাই ভালো।

আরো পড়ুন
যে কারণে শীতে ফ্রিজে রাখা দই স্বাস্থ্যকর নয়

যে কারণে শীতে ফ্রিজে রাখা দই স্বাস্থ্যকর নয়

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কখন হাঁটলে ওজন কমবে দ্রুত

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কখন হাঁটলে ওজন কমবে দ্রুত
সংগৃহীত ছবি

নিজেকে সুস্থ-সবল রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাঁটলে স্ট্যামিনা বাড়ে, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, মানসিক চাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত যে হাঁটা স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা, একাগ্রতা ও সৃজনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট ধরে নিয়মিত হাঁটা সুস্বাস্থ্য ও ভালো ঘুমের জন্য উপকারী।

শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এবং পেশির শক্তি বাড়াতেও কার্যকরী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেকের আবার পায়ে সমস্যা থাকে। সে ক্ষেত্রে আবার একটানা হাঁটতে মানা করেন চিকিৎসকরা। সে ক্ষেত্রে যদি আপনি একেবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারেন তাহলে নিয়মিত ১০ মিনিটের ছোট ছোট ব্যায়ামও করতে পারেন, দিনে ৩ বার হাঁটুন।

ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়াতে পারেন।

আরো পড়ুন
নতুন যে ফিচার নিয়ে এলো ইনস্টাগ্রাম

নতুন যে ফিচার নিয়ে এলো ইনস্টাগ্রাম

 

যারা বেশি জোরে শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম করতে পারেন না, তারাও নিজেকে সুস্থ রাখতে হাঁটতে পারেন। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অথবা যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যায়াম করেননি তাদের জন্য ভালো বিকল্প এই হাঁটা।

হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় কোনটি

কেউ বলেন সকালে হাঁটা ভালো।

আবার কেউ বলেন সন্ধ্যাবেলা হাঁটা বেশি উপযোগী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই সময়ে হাঁটারই বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। দৈনন্দিন কাজের ওপর নির্ভর করে আপনার জন্য কখন হাঁটা ভালো।

সকালের হাঁটার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে দ্রুত হাঁটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্যালরি যেমন দ্রুত পোড়ে, তেমনই বিপাক হার বৃদ্ধি করে।

হৃদরোগ ও অন্যান্য বিপাকীয় রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন ১০ মিনিট খালি পায়ে হাঁটলে কী উপকার

প্রতিদিন ১০ মিনিট খালি পায়ে হাঁটলে কী উপকার

 

সন্ধ্যায় হাঁটার সুবিধা

সারাদিনের কাজের পর, সন্ধ্যায় হাঁটা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। হজমশক্তি উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আপনার শরীর বেশি শক্তি খরচ করে, যা আপনাকে আরো ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে উন্নত হয় ঘুমের মানও।

হাঁটার অভ্যাস না থাকলে ২০ মিনিট হাঁটার পর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। নিশ্চিত করুন যে আপনার পা গোড়ালি থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত মাটি ছুঁয়েছে। আরামদায়ক সুতির মোজা ও হালকা জুতা পরুন। হাঁটার আগে ও পরে পানি পান করুন।

যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি সময় শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। মনে রাখবেন হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ছোট দূরত্বের জন্য পরিবহন পরিবর্তে হেঁটে যাওয়া বেছে নিতে পারেন। উপকার আপনারই হবে।

আরো পড়ুন
ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

ঠোঁটের চারপাশের কালচে দাগ দূর করবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঠোঁটের চারপাশের কালচে দাগ দূর করবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন ধূমপান করেন না, কিন্তু মুখের অন্যান্য অংশের চাইতে ঠোঁটের চারপাশের ত্বক বেশ কালচে। ক্রিম, জেল, ময়েশ্চারাইজার- কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ আপনার সৌন্দর্য ম্লান করে দিতে পারে।

অনেক সময় সূর্যের আলো, দূষণ, হরমোনের পরিবর্তন বা ভুল ত্বকের যত্নের অভ্যাসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকেই আবার এই দাগ তুলতে রাসায়নিক পিল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তাতে কি সত্যিই লাভ হচ্ছে?

মোটেই না! এসব রাসায়নিকের ব্যবহারে ত্বকের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চালের গুঁড়া, দই ও মধু দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক কাজে লাগতে পারে।

এটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত করে। চলুন, তাহলে চালের গুঁড়া, দই ও মধু ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক- 

আরো পড়ুন
ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

 

চালের গুঁড়া- এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক স্ক্রাব, যা মৃত ত্বক দূর করে এবং মুখের রং উন্নত করে। 
দই- এতে উপস্থিত ল্যাকটিক এসিড ট্যানিং দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। 
মধু- এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।

 

কিভাবে তৈরি করবেন

  • ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ দই 
  • ১ চা চামচ মধু 

পদ্ধতি

একটি পাত্রে চালের গুঁড়া, দই ও মধু যোগ করুন। সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এবার আপনার মুখ পরিষ্কার করে এই পেস্টটি সামান্য ভেজা মুখে লাগান। বিশেষ করে ঠোঁটের চারপাশের কালো অংশ হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট শুকাতে দিন এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

আরো পড়ুন
বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

 

এই প্যাকটি সপ্তাহে ২-৩ বার লাগান। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ রোদে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ত্বককে আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা
সংগৃহীত ছবি

প্রত্যেক বাড়িতেই কমবেশি মধু থাকেই। কাশি হোক কিংবা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা– মধুর বিকল্প নেই বলেই ভাবেন কেউ কেউ। তার ওপর আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মধুর গুণাগুণ নিয়ে প্রচারের শেষ নেই। আর তার ফলে মধুর চাহিদা যেন দিন দিন বাড়ছে।

মধু কার্যকরী সে বিষয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, মধু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রচার হয়– তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত। আর তা থেকেই ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

কেউ কেউ মনে করেন কৌটোজাত মধুর তুলনায় সদ্য মৌচাক থেকে পাওয়া মধুর গুণ অনেক বেশি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন শোনা যায় ঠিক। তবে গবেষণায় এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। সব ধরনের মধুরই অল্পবিস্তর গুণাগুণ রয়েছে।

অনেকেই ভাবেন মধু নাকি মৌসুমি অ্যালার্জি সারাতে পারে। আর তার জেরে হওয়া জ্বরের উপশম হিসেবেও মধুর কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, মধু মৌসুমি অ্যালার্জি সারাতে পারে এমন কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। এটি নিছকই ভ্রান্ত ধারণা।

আরো পড়ুন
ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

 

অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

তাই অনেকে চিনির বদলে মধু খাওয়ার কথা বলেন। কারো কারো ধারণা, মধু কোনো খাবারে দিলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যাবে। অথচ কোনো ক্ষতি হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি শরীরের ক্ষতি করে আর মধু করে না, সেরকম কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। তাই বেশি পরিমাণ চিনি খাওয়াও যেমন অনুচিত। তেমনই আবার অতিরিক্ত মধুও শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

দূষণের জেরে আমাদের শারীরিক নানা ক্ষতি হয়। অনেকেই মনে করেন শরীরে থাকা দূষিত টক্সিন বের করার ক্ষেত্রে মধুর নাকি ভূমিকা রয়েছে। তাই গরম চায়ে মধু মিশিয়ে খান অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে মধু মিশিয়ে পান করতেই পারেন। তবে তা শরীরকে টক্সিন মুক্ত করতে আদতে কতটা কাজে দেয় সে বিষয়ে কোনো তথ্য গবেষণায় পাওয়া যায়নি।

কেউ কেউ ভাবেন ক্ষত সারাতে সাহায্য করে মধু। বিশেষত কেটে যাওয়া কিংবা পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে মধু কাজে লাগানো যেতে পারে। আদৌ মধুকে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজে লাগানো যায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে খোদ বিশেষজ্ঞদের।

আরো পড়ুন
বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

 

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেবে যে ৬ লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেবে যে ৬ লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

স্কুল, কলেজ, অফিস কিংবা চায়ের আড্ডায় এমন এক ব্যক্তি থাকেন, যার উপস্থিতি পরিবেশকে আরো সজীব ও ইতিবাচক করে তোলে। যাদের ছাড়া পার্টি, পিকনিক, আড্ডা, জমকালো গেট টুগেদারও কেমন যেন ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ে। তারা যেখানে যান সেখানকারই মধ্যমণি হয়ে ওঠেন।

লক্ষ্ করলে দেখা যাবে, এসব মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আপনিও যদি তাদের মতো হন, এই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার মধ্যেও থাকবে। কী সেই বৈশিষ্ট্য, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

স্বাচ্ছন্দ্যবোধ

গুরুগম্ভীর কিংবা নেতিবাচক পরিবেশকে নিমেষের মধ্যে সহজ ও ইতিবাচক করে ফেলার গুণ থাকলে বুঝবেন আপনার ব্যক্তিত্বে কোনো জাদুর পরশ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অচেনা মানুষও আপনার সঙ্গে কথা বলতে কিংবা সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।

আরো পড়ুন
যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

 

হাসিখুশি স্বভাব

মুখের মিষ্টি হাসি, নরম-উষ্ণ ব্যবহার মানুষকে গ্রহণযোগ্য ও মূল্যবান বোধ করায়। সংযোগ স্থাপনের এটি একটি দারুণ উপায়। এ ছাড়া রুচিশীল রসবোধ, কথার মাধ্যমে মজার পরিবেশ তৈরি করা, সীমা রেখে রসিকতা করার গুণগুলোও ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের স্পষ্ট লক্ষণ।

সহানুভূতিশীল শ্রোতা

কথোপকথনের সময় অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া, অন্যের কথা শোনা, কথার ছলে অন্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া ইতিবাচক ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

এ ছাড়া তারা অন্যের আবেগের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেন সহজেই। সহানুভূতিও দেখান। এসব গুণের কারণে লোকের প্রশংসা পেলে বুঝবেন আপনি মানুষটা বেশ ভালো।

আরো পড়ুন
ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

 

চোখে চোখ রেখে

চোখে চোখ রেখে কথা বলা— একটি ইতিবাচক স্বভাবের উদাহরণ। এর ফলে আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়, অন্যদের মনে আপনার প্রতি বিশ্বাস বাড়ে।

আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু অহংকারী নন

অন্যদের ছোট না করেও যদি নিজের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করতে পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনি অনেকেরই প্রিয়পাত্র। এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই আপনার প্রতি অন্যদের বিশ্বাস বাড়ে।

ছোট ছোট বিবরণের স্মৃতি

আপনি হয়তো সহজেই ব্যক্তিগত কথা, পছন্দ কিংবা অতীতের কথোপকথন মনে রাখতে পারেন। বিস্তারিতভাবে এই বিষয়টিও অপরদিকের মানুষকে বিশেষ বোধ করায়।

আরো পড়ুন
বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ