<p>স্বাস্থ্য বজায় রাখা, মেদ ঝরানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা—এ সব বিষয় এখন বর্তমান বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। ফিটনেস প্রশিক্ষক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শে সবারই ধারণা হয়েছে যে, মেদ ঝরাতে ও ওজন কমাতে গেলে প্রোটিন খেতেই হবে, আর চিনি বা শর্করা পরিহার করতে হবে। </p> <p>মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল প্রোটিন। শরীরকে সুস্থ রাখতে, কোষের ক্ষত মেরামত করতে এবং পেশি শক্তিশালী রাখতে আমিষজাতীয় খাবার অপরিহার্য। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেকেই প্রোটিন ডায়েট অনুসরণ করেন। <br /> এখন কফি, চকলেট, দই, চিজ কেক এমনকি আইসক্রিমেও প্রোটিন যুক্ত করার প্রচলন হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত এসব খাবারে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। অপরদিকে ক্যালোরি ও শর্করা কম থাকে। </p> <p>ডাল, মাছ, মাংস, ডিম, পনির, চিজ, সয়াবিন—এসব খাবারে প্রোটিনের চাহিদা পূর্ণ হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রক্রিয়াজাত খাবারে যোগ করা বাড়তি প্রোটিন কি আসলে দরকারি?</p> <p>পুষ্টিবিদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। যদি কেউ ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে, তবে প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ১.৩ থেকে ১.৬ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন। আবার দৌড়বিদদের প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে প্রোটিনের চাহিদা নির্ভর করে বয়স, উচ্চতা, ওজন এবং কাজের ধরন অনুযায়ী।</p> <p>বেশি প্রোটিন খাওয়া সবসময় উপকারী নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শুধুমাত্র প্রোটিন নয়, সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার প্রয়োজন। খাবারে সব উপাদানের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা জরুরি।</p> <p>তবে চা, কফি, আইসক্রিম, চিজ কেক ইত্যাদিতে বাড়তি প্রোটিন যোগ করা কি স্বাস্থ্যকর? চিকিৎসকরা বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো। যেমন প্রোটিন-দুধ, এতে প্রোটিনের পরিমাণ দ্বিগুণ হলেও এটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। যেখানে দুধের জলীয় অংশ বাদ দিয়ে গুঁড়া দুধ মেশানো হয়। এ ছাড়াও অন্যান্য খাবারে প্রোটিন যোগ করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ বাদ দেওয়া হয়।</p> <p>চিকিৎসকরা ও পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন যে, প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে টাটকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ভালো। দই বা কেকের মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পরিবর্তে বাদাম, ছোলা, মাছ, মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। </p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>
