ঢাকা, সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ রমজান ১৪৪৬

নারী নিপীড়ক রাম রহিম কি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যাবেন?

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
নারী নিপীড়ক রাম রহিম কি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যাবেন?

ভারতে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ধর্ষক রাম রহিমের প্যারোলে মুক্তির আবেদনকে সমর্থন করেছে দেশটির হরিয়ানা সরকার।

গত মে মাসে তার আবেদন খারিজ করেছিলেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। তাতে যুক্তি ছিল, গুরমিত রাম রহিম সিং জেলের বাইরে বেরোলে ২০১৭ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু, এক মাস বাদে সেই পর্যবেক্ষণকে কার্যত পাত্তাই দিল না রাজ্য সরকার।

তা অমান্য করে ৫১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরুর আবেদনের স্বপক্ষে সুপারিশ পাঠাল আদালতে।

পালিত কন্যার বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্য প্যারোলের আবেদন করেছিলেন রাম রহিম। তাই মানবিক কারণে তার আবেদনকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় খাট্টার প্রশাসন।

হরিয়ানার কারামন্ত্রী কে এল পানোওয়ার বলেন, 'প্রত্যেক সাজাপ্রাপ্তের একবছর বাদে প্যারোলের জন্য আবেদনের অধিকার রয়েছে।

তিনি একটি  আবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমরা সেটি সিরসা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।
যদি সত্যিই আমাদের সেই উদ্দেশ্য থাকত তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাকে ছেড়ে দিতাম। এই ধরনের কোনও চিন্তা সরকারের নেই।'

রাজ্যের অন্য দুই মন্ত্রী কৃষ্ণা পওয়ার এবং অনিল ভিজও ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরুর আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিমের ব্যবহার জেলে খুব ভালো  ছিল। তাই অন্য বন্দির মতো তারও প্যারোলে বাইরে বেরোনোর অধিকার রয়েছে।

গত মে মাসে ধর্ষক ধর্মগুরুর প্যারোলের জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে আবেদন জানান পালিত কন্যা। কিন্তু, তা খারিজ করে দেন বিচারপতি কুলদীপ সিং। তাঁর যুক্তি ছিল, সাজাপ্রাপ্ত জেলের বাইরে বেরোলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। নতুন করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সমস্যা হতে পারে। তাই প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কোনও কারণ নেই।

আইনজীবীরা বলছেন, একজন বন্দি দুই বছর পর প্যারোল পেতে পারেন। কিন্তু, রাম রহিম এক বছর বাদেই সেই আবেদন করেছেন। তাই, নিয়ম অনুযায়ী তা অনুমোদন পাবে না। পাশাপাশি এই বিষয়ে আদালতের নির্দেশ যৌক্তিকও। কিন্ত, এটিই মানতে চাইছে না হরিয়ানা সরকার। বরং এর সমর্থনে আদালতে সুপারিশ করছে।

২০০২ সালে হরিয়ানার বিতর্কিত ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ডেরার দুই নারী চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান জেলা প্রশাসনের কাছে। এ নিয়ে মামলা চলার পর তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

অন্য এক মামলায় একজন সাংবাদিককে খুনের অভিযোগে ১৬ বছরের কারাদণ্ড হয় তার।

বিরোধীদের অভিযোগ, চার মাস পর হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই পরিকল্পনামাফিক এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি সরকার। কারণ, হরিয়ানা ও প্রতিবেশী পাঞ্জাবে রাম রহিমের প্রচুর সমর্থক আছে। প্যারোলের বিষয়ে সাহায্য করে সেই সমর্থকদের মন জয় করতে চাইছে খাট্টার প্রশাসন। নির্বাচন জেতার জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন তাঁরা।  

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৫০০-র অধিক প্রান্তিক পাঠাগারে বই দানের উদ্যোগ নিয়েছে রকমারি ডট কম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫০০-র অধিক প্রান্তিক পাঠাগারে বই দানের উদ্যোগ নিয়েছে রকমারি ডট কম
সংগৃহীত ছবি

ভালো মানের বইয়ের অভাবে গ্রামীণ পর্যায়ের পাঠাগারগুলো জৌলুস হারাতে বসেছে। পর্যাপ্ত বই না থাকা প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাঠাগারগুলোর এখন প্রধান সমস্যা। সেই সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে রকমারি ডট কম। 

অনলাইনে বই বিক্রির এই প্লাটফরমটি দেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫০০ অধিক পাঠাগারে ২০ হাজারের অধিক বই পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

এ প্রকল্প গ্রাম, চর, পাহাড়ি এলাকা, স্কুল ও মাদরাসার পাঠাগারগুলোতে বই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বাড়াবে।

রকমারির চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘গত ১২ বছরে আমরা ৫ কোটিরও বেশি বই পাঠকের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। এবার আমরা চাই, যাদের কাছে বই নেই, তাদের জন্য কিছু করতে। একটি বই একটি শিশুর ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে।

কিভাবে বই দান করবেন? আপনার দানকৃত বইগুলো নিচের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন : Rokomari Book Donation, 2/1/E Eden Center, Arambag, Motijheel, Dhaka। বই পাঠানোর নির্দেশিকা ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.rokomari.com/book-donation।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বৃহত্তর নোয়াখালী জনকল্যাণ ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৃহত্তর নোয়াখালী জনকল্যাণ ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
সংগৃহীত ছবি

বৃহত্তর নোয়াখালী জনকল্যাণ ফোরামের আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে সাহাবুদ্দিন তুর্কির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র নেত্রী তানিয়া রব। উপস্থিত ছিলেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন রনি।

এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফরহাদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল তাহেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

ইফতার মাহফিলে দেশ-জাতির কল্যাণ ও বৃহত্তর নোয়াখালী উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দোয়া করা হয়। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ট্যাবলেটের মাঝে কাটা দাগ থাকে কেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্যাবলেটের মাঝে কাটা দাগ থাকে কেন
ছবি : পেক্সেলস

মাথা ব্যথা, জ্বর-সর্দি কিংবা নিয়মিত কোনো সমস্যার কারণে বেশির ভাগ মানুষই কমবেশি ওষুধ খেয়ে থাকে। কিন্তু ওষুধের বেশ কিছু জিনিস সম্পর্কে আমাদের তেমন স্বচ্ছ ধারণা থাকে না। এই যেমন, বেশ কিছু ট্যাবলেটের ঠিক মাঝ বরাবর একটা সোজা দাগ কাটা থাকে।

হয়তো আমরা ট্যাবলেটের মাঝখানে থাকা এই দাগ দেখেই থাকি।

কিন্তু এই দাগের নেপথ্যে কারণ কী, তা অনেকেই জানেন না।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আসলে কোনো রোগীকে বিশেষ কিছু ওষুধ প্রেসক্রাইব করার সময় ডাক্তাররা সেই ওষুধের ডোজ নির্দিষ্ট নেন। সেসব ওষুধেই মাঝখান থেকে দাগ কাটা থাকে। যাতে রোগী ওষুধ খাওয়ার সময় সহজেই ওষুধকে মাঝখান থেকে দুই ভাগ করতে পারেন।

আরো পড়ুন
অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

 

বিস্তারিত বলতে গেলে, অনেক সময় আমরা দেখি ডাক্তার একই ওষুধ সকালে অর্ধেক ও বিকেলে অর্ধেক খেতে বলেন। আসলে ওষুধের পাওয়ারকে দুই ভাগে ভাগ করার ক্ষেত্রেই এই দাগের ব্যবহার।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সব ওষুধের গায়ে এই দাগ থাকে না। তার প্রধান কারণ হলো, দাগ না থাকা ওষুধগুলোর পাওয়ারকে ভাগ করা উচিত নয়।

উল্টো তা ভাগ করলে বিপদ হতে পারে।

যেমন ধরুন, কোনো ঘুমের ওষুধের পাওয়ার যদি হয় ৫, তার গায়ে যদি দাগ থাকে, তাহলে তা ভাগ করে পাওয়ার কমিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যদি কোনো ওষুধে পাওয়ার ৫ লেখা থাকে, কিন্তু দাগ না থাকে, তাহলে পুরোটাই খাওয়া ভালো। চিকিৎসকরা রোগীর পরিস্থিতি বুঝেই এই ধরনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন।

আরো পড়ুন
বাতের ব্যথা কমাবে যে ভেষজ

বাতের ব্যথা কমাবে যে ভেষজ

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

ঈদ আয়োজনের পসরা নিয়ে ‘ওলো সই’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ আয়োজনের পসরা নিয়ে ‘ওলো সই’
সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুই বন্ধু ফাহমিদা আখতার ও কাকলী তানভীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিন দশকের পুরনো দুই সই (বন্ধু) গড়ে তুলেছেন ‘ওলো সই’ নামের দেশীয় পোশাকের প্রতিষ্ঠান।

ওলো সই-তে মূলত শাড়ির আয়োজনই প্রধান।

দেশীয় তাঁতের শাড়ি সম্প্রসারণে তারা রাখতে চান বিশেষ ভূমিকা। আসন্ন ঈদকে ক্রেতাদের কাছে রঙিন করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন ফাহমিদা আর কাকলী। বাংলার তাঁতকে বিশেষ গৌরবময় মোটিফ আর নকশার কারুকাজ দিয়ে ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরছেন তারা।

ক্রেতাদের কাছে সহজেই শাড়ি এবং অন্য পণ্য পৌঁছে দিতে রাজধানীর লালমাটিয়াতে যেমন শোরুম করেছেন একইভাবে নিজেদের ফেসবুক পেইজেও সাজিয়েছেন পণ্যের পসরা।

ক্রেতারা শোরুমে গিয়ে যেমন পণ্য পরখ করে নিতে পারছেন আবার অনলাইনেও অর্ডার করতে পারছেন। ওলো সইয়ের এবারের ঈদ আয়োজনে দেখা গেলো খাদি, সিল্ক, তন্তুজ, মটকা, তসর, লিনেন, মসলিন, টাঙ্গাইল এবং মনিপুরী শাড়ি। আরও রয়েছে মনিপুরী ওড়না।

666

ফাহমিদা আখতার ও কাকলী তানভীর কালের কণ্ঠকে জানান, হ্যান্ডলুম শাড়িই বেশি বিক্রি করেন তারা।

তবে চলতি বছরে খাদি, তাঁতের সুতি শাড়ি এবং মনিপুরীর চাহিদাও বেশ ভালো রয়েছে।

অন্যদিকে আগের বছরগুলোতে সূতি, লিনেন ও মটকার চাহিদা বেশি ছিল, বলে জানান তারা।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের আয়োজনে আমরা আসলে দেশীয় শাড়িকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সে কারণে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, সিলেট, সিরাজগঞ্জের তাঁতীদের কাছ থেকে মূলত আমরা শাড়ি সোর্স করেছি।’

ওলো সই-এর শাড়ির দরদাম সম্পর্কে তিনি জানান, সুতি শাড়ির দাম পড়বে আড়াই হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।

লিনেন পাঁচ হাজার থেকে শুরু হয়ে আছে সাড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সিল্ক ও মটকা শাড়ির দাম পড়বে সাড়ে ৭ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। সিলেটের মনিপুরী শাড়ির মূল্য মান ১ হাজর ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকার মধ্যে।’

এদিকে প্রকৃতিতে বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্মকাল আসি আসি করছে। প্রকৃতিতে তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। বিশেষ করে বিকেলের আগ পর্যন্ত তাপমাত্রার আধিক্য বেশি থাকে। এই আবহাওয়ায় পোশাকে আরাম নিশ্চিত করাও জরুরি।
আবহাওয়ার এই দিকটার প্রতি লক্ষ্য রেখে ওলো সই-নিয়ে ঈদের আয়োজনে গুরুত্ব দিয়েছে। 

কাকলী তানভীর বলেন, ‘ঈদের সময়ের আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে সেটি চিন্তায় রেখেছি আমরা। ইদের দিন সকালে খাদি শাড়ি আরাম দেবে। আর বিকালে তন্তুজ জামদানি। ভালো অনুভব দেবে।’

নিজের ঈদ পোশাক সম্পর্কেও একই চাহিদার কথা জানান ফাহমিদা। তিনি বলেন, ‘খাদি গরমে আরামদায়ক আর তন্তুজ জামদানিতে রয়েছে উৎসবের আমেজ।

শোরুমের ঠিকানা: ৩/২ (তৃতীয় তলা), ব্লক ডি, লালমাটিয়া, ঢাকা।
ফেসবুক পেইজে অর্ডার করতে চাইলে: https://www.facebook.com/share/1AFQc4ZtNE/

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ