ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

করোনাভাইরাস ও বিশ্বরাজনীতি

আবু তাহের খান
আবু তাহের খান
শেয়ার
করোনাভাইরাস ও বিশ্বরাজনীতি

এটি খুবই জনপ্রিয় মানবিক উপলব্ধি যে যুদ্ধে কেউ জিতে না। কিন্তু কেউই কি জিতে না? পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলক্ষেত্রগুলোর ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় জেতার যে কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে জর্জ বুশ ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করেছিলেন, বলা যায় সেসব ব্যক্তিগত লক্ষ্যের প্রায় পুরোটাই সফল হয়েছিল। ফলে সে যুদ্ধে ইরাকের ২০ হাজার সৈন্য ও ১.৮২ লাখ বেসামরিক মানুষ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৪ হাজার সাধারণ সৈনিক প্রাণ হারালেও উল্লসিত হয়েছিলেন বুশ ও তাঁর কট্টর সমর্থকেরা, যারা তাঁকে ২০০৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী করেছিল। একইভাবে স্প্যানিস ফ্লু নামে পরিচিত ১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে ১০ কোটি মানুষের মৃত্যুজনিত সংকটের আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চার কোটি মানুষের প্রাণ হারানোর রাজনৈতিক দায়।

উপমহাদেশের ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে ৩০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করলেও ওই দুর্ভিক্ষকে পুঁজি করেই রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিল এ দেশের কিছু ধূর্ত লোভী মানুষ। অতএব দেখাই যাচ্ছে যুদ্ধ, মহামারি বা দুর্ভিক্ষের মতো ঘটনায় মানবতা গুমরে কাঁদলেও এসব থেকেই যুগে যুগে রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক ফায়দা লুটেছে স্বার্থান্বেষী মহল। আর চলতি করোনাভাইরাসেও পৃথিবী সে ধারা থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে হচ্ছে না।

আগামী ৩ নভেম্বর ৫৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

করোনাভাইরাসকে ‘চায়নিজ ভাইরাস’ নাম দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে তাঁর ভোটারদের অনেকখানি মাতিয়ে তুলেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) বিরুদ্ধে চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ডাব্লিউএইচওকে চাঁদা না দেওয়ার ঘোষণায় সে উন্মত্ততা আরো চাঙ্গা হয়েছে বলেই জানা যায়। এরই মধ্যে তিনি আরো একটি নতুন ঘোষণা দিয়েছেন যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর দায়ে চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে এবং মার্কিন গোয়েন্দারা তাদের কার্যক্রম তদন্ত করবে। ধারণা করা যায়, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প হয়তো এ ধরনের স্ট্যান্ট আরো ছাড়বেন, যা অবধারিতভাবেই তাঁর জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তুলবে এবং করোনার হাত ধরেই হয়তো জিতে যাবেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈতরণি।
       

ভারতের বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী অ্যাক্ট-২০১৯ যখন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফেলেছে, তখন করোনাভাইরাসই তাঁর জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে রক্ষাকবচ। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সারা ভারতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ধারায় হতাহতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছিল, তাতে করোনার প্রকোপ দেখা না দিলে তিনি সেটি কিভাবে সামাল দিতেন বা আদৌ দিতে পারতেন কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর সাম্প্রতিক তত্পরতা দেখে এখন তো বোঝাই যাচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে করোনা-হাতিয়ার ব্যবহার করে বাকস্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব সংশোধনী অ্যাক্ট তিনি বেশ কঠোরভাবেই প্রয়োগ করতে সমর্থ হবেন।     

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গত ১০ মার্চ ঢাকায় আসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মোদি তখন বাংলাদেশে এলে তা অবধারিতভাবেই এ দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করত এবং সরকারকেও এ নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো।

এরূপ পরিস্থিতিতে দুপক্ষকেই রক্ষা করেছে করোনাভাইরাস।  
গত ২৩ জানুয়ারি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) বার্মার (আইসিজে তার রুলিংয়ে বার্মা নামটিই ব্যবহার করেছে) প্রতি জারীকৃত এক রুলিংয়ে সে দেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা থেকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। বার্মা আইসিজের এ নির্দেশনা অনুসরণে তাত্ক্ষণিকভাবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও এটি যে তাদের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করেছিল, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই; এবং বলা যায় সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকটে বার্মার ওপর এটিই ছিল এ পর্যন্ত সময়ে সৃষ্ট সবচেয়ে বড় চাপ। কিন্তু সে চাপ ঘনীভূত হওয়ার আগেই করোনা এসে বিশ্বকে এমন ধাক্কাই দিল যে বর্মী জান্তা রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা কমালো নাকি আরো বাড়িয়ে দিল, সেসব কথা মানুষ বেমালুম ভুলেই গেল। অর্থাত্ বর্মী জান্তার জন্য করোনা বস্তুত এক আশীর্বাদ হয়েই দেখা দিয়েছে। (এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, করোনার এ দুঃসময়েও রোহিঙ্গা সংকটের কূটনৈতিক তত্পরতায় যেন বড় ধরনের ঘাটতি দেখা না দেয়)।              

বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের জন্য সরকার এরই মধ্যে বিরাট অঙ্কের প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, সরকারের শত সতর্কতা সত্ত্বেও এ তহবিলের একটি বড় অংশ এরূপ অনেকের হাতে চলে যাচ্ছে, পরিস্থিতির সার্বিক ও ন্যায়সংগত বিবেচনায় যাঁদের তা না হলেও চলত। এমনকি এখানেই এঁরা থেমে নেই। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার নতুন কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে আরো বেশি পরিমাণ সম্পদ কিভাবে কুক্ষিগত করা যায়, সে চেষ্টাও নাকি অব্যাহত আছে এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও এখন তাঁদের শিল্প ও ব্যবসায় মুনাফার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে বলেও কেউ কেউ ধারণা করছেন। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক দুরবস্থার নাম করে তাঁরা যদি আরো বেশি করে শ্রমিক ঠকান, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বরং সেটি ঘটার সম্ভাবনাই  বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলি, করোনার কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে কোনো পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল না। তা সত্ত্বেও বহু কারখানা করোনার অজুহাত দিয়ে সে সময়ের শ্রমিক-বেতন এখনো পরিশোধ করেনি। অতএব  বোঝাই যাচ্ছে, করোনা তাঁদের জন্য আবির্ভূত হয়েছে এক আশীর্বাদ হয়ে, যা কাজে লাগিয়ে এ সময়ে তাঁদের শ্রমশোষণ আরো বাড়বে বৈ কমবে না।                     

করোনা সংকট কেটে যাওয়ার পর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসার পরও হয়তো এ থেকে সুবিধাবাদীদের ফায়দা লোটার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাঁরা তখন অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কথা বলে বাড়তি প্রণোদনা চাইবেন, আগের নগদ প্রণোদনার হার আরো বাড়াতে বলবেন, বিনা সুদে ঋণ চাইবেন, খেলাপি ঋণের পুরোটাই মাফ চাইবেন, যানবাহন থেকে বাড়তি চাঁদা দাবি করবেন। এমনকি প্রয়োজনে করোনা ফিরে আসার জন্য মনে মনে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করবেন, যাতে বাকি জীবনটাও প্রণোদনা ও অন্য সুযোগ-সুবিধার ওপর ভরসা করে কাটিয়ে দেওয়া যায়। আর ট্রাম্পও হয়তো এ কথাই বলবেন যে একমাত্র তাঁর পক্ষেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ‘চীনা ভাইরাস’ মুখের এক ধমকেই বিদায় করে দেওয়া সম্ভব।    

সব মিলিয়ে তাই বলতেই হয়, যুদ্ধ, মহামারি, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি সাধারণ মানুষের জীবনে চরম অভিশাপ হয়ে দেখা দিলেও এক শ্রেণির লোভী ও নষ্ট মানুষের কাছে যুগে যুগে দেশে দেশে এগুলোই হচ্ছে ক্ষমতা ও বিত্ত দখলের হীন কৌশল। করোনার আকস্মিক ছোবলে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের জীবন যখন আজ দিশাহারা, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ যখন ক্রমেই এক মানবেতর জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনো শুনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির জন্য গোপনে বৈঠক করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দেশে হাড্ডিসার শ্রমিকের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে মুনাফার পরিমাণ কিভাবে আরো বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ফন্দি আঁটছে এক শ্রেণির লোভী উদ্যোক্তা। এরা কি আসলেই মানুষ? এরা নিজেরা না হোক, এদের পরিবারের কোনো সদস্যই কি তলস্তয়ের 'How Much Land Does a Man Need?' গল্পটি থেকে তাঁদের পড়ে শোনায়নি যে শেষ পর্যন্ত সমাধিস্থ হওয়ার জন্য দরকারি জায়গাটুকু ছাড়া তার আর তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই?     

লেখক : পরিচালক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

মন্তব্য

আপনার পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তর ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। কর ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্টের হালনাগাদ সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

শক্তিশালী পাসপোর্টের এ সূচকে বিশ্বের ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান কত?

বিস্তারিত ভিডিওতে... 

 

মন্তব্য
স্বরণ

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন এদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও লেখক। ১৯০৮ সালের ফেনী (বৃহত্তর নোয়াখালী) জেলার গুথুমা গ্রামে তার জন্ম। তার পিতা মুহম্মদ নুরুল্লাহ ছিলেন মুন্সেফ।

খানবাহাদুর আব্দুল আজিজ তার মাতামহ এবং হাবীবুল্লাহ্ বাহার চৌধুরী ছিলেন সহোদর ভ্রাতা। 

শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামের খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু সামাজিক অনুশাসনের কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিজ চেষ্টায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক (১৯২৬) পাশ করেন। পরে ডাক্তার ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় (১৯২৭) তিনি উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান।

 

তিনি ১৯৪২ সালে এমএ পাশ করেন। বিএ পাশ করার পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তিনি বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে যুক্ত হন।

শামসুন্নাহার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।

কলকাতায় থাকাকালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। নজরুল তাকে সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন। শামসুন্নাহার নিয়মিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতেন। 

১৯৫২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। তিনি কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব উইমেন দলের নেতৃত্ব দেন এবং সমগ্র এশিয়ার জন্য এই আন্তর্জাতিক মৈত্রী সংঘের আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োজিত হন।

এ ধরনের কাজের প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স-এসব দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

তার প্রথম লেখা কবিতা প্রকাশিত হয় কিশোরদের ‘আঙ্গুর’ নামক মাসিক পত্রিকায়। আইএ পড়ার সময় তিনি ‘নওরোজ ও আত্মশক্তি’ পত্রিকার মহিলা বিভাগ সম্পাদনা করতেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘বুলবুল’ (১৯৩৩) পত্রিকা হবীবুল্লাহ্ বাহার ও শামসুন্নাহার যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছেন। 

তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ-পুণ্যময়ী (১৯২৫), ফুলবাগিচা (১৯৩৫), বেগম মহল (১৯৩৬), রোকেয়া জীবনী (১৯৩৭), শিশুর শিক্ষা (১৯৩৯), আমার দেখা তুরস্ক (১৯৫৫), নজরুলকে যেমন দেখেছি (১৯৫৮) ইত্যাদি। 

১৯৬৪ সালের ১০ এপ্রিল (আজকের দিনে) ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

সব সময় আমরা চাঁদের এক দিকই দেখি কেন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সব সময় আমরা চাঁদের এক দিকই দেখি কেন?
সংগৃহীত ছবি

আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদকে যেভাবে দেখি, তাতে সব সময় চাঁদের একই দিক চোখে পড়ে। চাঁদের রূপ পূর্ণিমা বা অমাবস্যায় বদলালেও, তার গায়ে থাকা গর্ত বা দাগগুলো সব সময় একই রকম দেখা যায়।

চাঁদ নিজে ঘোরে, আর একই সঙ্গে পৃথিবীর চারপাশেও ঘোরে। চাঁদ নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরতে সময় নেয় ২৭.৩ দিন।

পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের আবর্তনও হয় একই সময়ের মধ্যে। এ কারণে চাঁদ যতই ঘুরুক, আমাদের দিক থেকে সবসময় এটির একদিকই দেখা যায়।

তবে পুরোপুরি একপাশই যে দেখা যায়, সেটাও ঠিক না। চাঁদের হালকা দুলুনি (যার নাম লুনার লাইব্রেশন) থাকার কারণে আমরা একটু বেশি অংশ দেখতে পাই, মোটামুটি ৫৯% পর্যন্ত চাঁদের মুখ দেখা যায়।

এই ঘটনাকে বলা হয় টাইডাল লকিং। চাঁদ পৃথিবীর সঙ্গে টাইডালি লকড বা আকর্ষণ বলের কারণে একইভাবে আটকে গেছে। এটি সিনক্রোনাস রোটেশন নামেও পরিচিত।

চাঁদ যেভাবে টাইডালি লকড হলো
প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে যখন চাঁদ নতুন তৈরি হচ্ছিল, তখন সেটি অনেক দ্রুত ঘুরছিল।

কিন্তু পৃথিবীর মহাকর্ষ বল চাঁদের ওপর আকর্ষণ তৈরি করে। যার ফলে চাঁদের ঘোরা ধীরে ধীরে কমে যায়। এক সময় চাঁদের নিজস্ব অক্ষপথে ঘোরার গতি আর পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসার সময় এক হয়ে যায়। তখন থেকেই চাঁদ পৃথিবীর দিকে একই দিক ধরে রাখে।
 
তাহলে চাঁদের আলো কম-বেশি লাগে কেন?
যদিও আমরা সবসময় চাঁদের একদিক দেখি, সেই অংশের সবটাই কিন্তু একসঙ্গে সূর্যের আলো পায় না।
সেটা নির্ভর করে চাঁদ কোথায় আছে এবং সূর্য থেকে আলো কিভাবে পড়ছে তার ওপর। এই পরিবর্তনকে বলা হয় চাঁদের রূপ পরিবর্তন বা ফেজ। চাঁদের রূপ বা ফেজ বদলের পুরো একটা চক্র থাকে— নতুন চাঁদ (অমাবস্যা) থেকে পূর্ণ চাঁদ, আবার নতুন চাঁদে ফিরে আসা পর্যন্ত। এই পুরো চক্র শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ২৯.৫ দিন।
কখনো অর্ধেক চাঁদ দেখা যায়, কখনো একটু বেশি মাত্রায়, কখনো আবার পুরোটা (পূর্ণিমা) আবার কখনো একেবারেই দেখা যায় না (অমাবস্যা)। মনে রাখা জরুরি যে চাঁদের অর্ধেক অংশ সব সময় সূর্যের আলোয় ভাসে। কিন্তু আমরা সব সময় সেই অংশটুকুই দেখতে পাই না।

অনেকে চাঁদের যেদিক আমরা দেখতে পাই না, তাকে ডার্ক সাইড বলেন। কিন্তু সেটি সব সময় অন্ধকার থাকে না। তাই জ্যোতির্বিদরা সেটাকে ফার সাইড অব দ্য মুন বা চাঁদের দূরের দিক বলেন।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৭ ও ৮ এপ্রিল কালের কণ্ঠের পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে ‘ক্লিনিকের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম’ ও ‘পাঁচজনকে কুপিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের জমি দখল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মো. আল আমিন ভূঁইয়া।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এবং শব্দের ভুল চয়ন ও ব্যবহারের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং আমার নাম ও অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমাকে সামাজিক ও দাপ্তরিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য স্থানীয় নূর মোহাম্মদ মেম্বার ষড়যন্ত্র করছেন।

আরো পড়ুন
সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

 

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বোড়ারচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথেই আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা বিদ্যমান রয়েছে।

উক্ত জায়গায় আমার সহোদর ভাই একটি দোকান নির্মাণ করতে যাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও থানা পুলিশ বাধা প্রদান করলে কাজ বন্ধ রেখে পরের দিন রবিবার স্থানীয় মুরাদনগর থানায় আমিসহ আমার ভাই ওসির সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করি। ওসির সাথে স্পষ্টতই আমরা বলি যে, হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা ৫ শতক। অথচ স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মেম্বার অত্যন্ত কৌশলে ও তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মুরাদনগর উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্রে হাসপাতালের বরাদ্দকৃত জায়গা ৫ শতকের স্থলে ৬ শতক দেখিয়ে আমাকে সরেজমিন দখলকারী হিসেবে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ স্থানীয় থানায় দেওয়া হয়, যেখানে আমি ওই দিন ঢাকায় সশরীরে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বোড়ারচর বাজারে গিয়ে নির্মাণকাজে বাধা প্রদান করলে আমার ভাই মো. কামাল কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখেন।
শনিবার নুর মোহাম্মদ মেম্বারের সাথে কোনো ধরনের মারামারি সংঘটিত হয়নি। এমনকি এই জায়গা দখল নিয়ে কোনো ধরনের মামলাও হয়নি।

প্রতিবাদে আরো বলা হয়, প্রকৃতভাবে নূর মোহাম্মদ মেম্বার হাসপাতাল সংলগ্ন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের রাস্তার (হালটে) উপরে অবৈধভাবে ৭/৮টি দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ অনেক বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে যার প্রতিবাদ করলে রবিবার মো. কামাল ভূঁইয়া কে নূর মোহাম্মদ মেম্বারসহ তার দলবল আক্রমণ করে  আমার ভাইকে মাথায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। সংবাদে আমাকে আসামি দেখালেও আমার নামে কোন মামলা নেই এবং মারামারির সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতাই ছিল না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ