হায়দরাবাদের নিজামের সম্পত্তি নিয়ে মামলায় তুরিন আফরোজ

  • পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ওই মামলায় লড়বেন তুরিন আফরোজ
কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
হায়দরাবাদের নিজামের সম্পত্তি নিয়ে মামলায় তুরিন আফরোজ

ভারতের হায়দরাবাদের ৭ম নিজামের সম্পদ নিয়ে ৭০ বছর ধরে চলা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক রায়ে সম্প্রতি জয় পায় ভারত। গত ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক আদালতের ওই রায়ে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদের নিজামের সম্পদে একমাত্র অধিকার ভারতের। এর পূর্ণ মালিকানা নিজাম ওসমান আলি খানের বংশধরদের। পাকিস্তানের এই সম্পত্তির ওপর কোনো ধরনের অধিকার নেই।

ওই রায়ের পর হায়দরাবাদের নওয়াব নাজাফ আলি খান সাহেব (সপ্তম নিজামের পৌত্র এবং প্রিন্স হাশাম জাহ বাহাদুরের পুত্র) দাবি করেন নিজামের এই সম্পত্তি তার ১২০ জন বংশধরের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিতে হবে।

নওয়াব নাজাফ আলি খান তার দাবির পক্ষে আইনী উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে। যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক একজন প্রসিকিউটর।

তুরিন আফরোজ নিজেই আজ বুধবার তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি পোস্ট দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন।

তুরিন আফরোজ ফেসবুক পোস্টে লেখেন...

“আলহামদুলিল্লাহ! আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য একটা সুখবর। গতকাল (১২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে) ভারতের হায়দরাবাদের নওয়াব নাজাফ আলি খান সাহেব (ভারতের হায়দরাবাদের সপ্তম নিজামের পৌত্র এবং প্রিন্স হাশাম জাহ বাহাদুরের পুত্র) আমাকে তাঁর "লিগ্যাল এডভাইজার" হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে, গর্বের বিষয় হোল, লন্ডনের হাই কোর্ট অব জাস্টিসে বহুল আলোচিত "পাকিস্তান বনাম ভারত" মামলাটির শুনানীতে আমি নওয়াব সাহেবের পক্ষে আইনী লড়াই লড়ব। আরো বড় কথা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মামলা লড়ব।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময়ে হায়দ্রাবাদের সপ্তম নিজাম আশঙ্কা করেছিলেন, তার বিপুল সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। লন্ডনে পাকিস্তানের দূতের হাতে তখন তিনি ১০ লাখ পাউন্ড নগদ দিয়েছিলেন। যা ওই দূত লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখেন। সেই অর্থই এখন সুদে-আসলে সাড়ে তিন কোটি পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর লন্ডনের ওই ব্যাংকে নিজামের গচ্ছিত অর্থ পাকিস্তানকে দিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ব্রিটিশ আদালতে আবেদন করে পাকিস্তান। এই ইস্যুতে মামলা করে হায়দরাবাদের নিজামের পরিবার।

১৯৪৮ সালে নিজামদের রাজ্য দখল করে ভারত সরকার। পরবর্তী কালে নিজামদের সঙ্গে বন্ধুত্বও স্থাপন করে তারা। এখন আইনি লড়াইয়ে তাদেরই পক্ষে দাঁড়ায় দিল্লি।

নিজামের দুই উত্তরসূরি মোকাররম ঝাহ (হায়দরাবাদের অষ্টম নিজাম) ও তাঁর ছোট ভাই মোফাখমও ভারতের সঙ্গে হাত মেলান। এরপরই তাঁরা দাবি করেন যে এই সম্পত্তি তাঁদের। পাল্টা দাবি জানিয়ে পাকিস্তান বলে, ন্যায়ত এই সম্পত্তি তাদের। বর্তমানে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রক্ষিত আছে লন্ডনের ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনস্টার ব্যাংকে।

লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট অব জাস্টিসের বিচারক মার্কাস স্মিথ তাঁর রায়ে বলেছেন, সপ্তম নিজাম ওই সম্পত্তির অধিকারী। ফলে ভারত সরকার এবং যুবরাজ এ সম্পদের অধিকারী। তিনি আরও জানান, কোনোভাবেই পাকিস্তান ওই সম্পত্তির দাবিদার হতে পারে না। পাকিস্তান সম্পদের সমর্থনে কোনো তথ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করতে পারেনি। দুই যুবরাজ এবং ভারতের অধিকার রয়েছে এ অর্থ গ্রহণ করার।

ওই রায়ের পর নিজামের এই নাতি নাজফ আলি খান বিবিসি তেলেগুকে বলেন, ‘আমরা বিচারপতি মার্কাস স্মিথের রায়কে স্বাগত জানাই। আদালত পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। পরিবার দীর্ঘকাল এই রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।’

এর একদিন পরই নাজাফ আলি খান ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘নিজামের ওই অর্থ তার ১২০ জন বংশধরের মধ্যে বন্টন করে দিতে হবে।’ আর নিজামের ওই বংশধররা এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য তাকে পুরো দায়িত্ব দিয়েছে। কেননা তিনি এখন ‘নিজাম ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট।

নাজাফ আলি খান আরো বলেন, ‘শুধু তারা দুজনেই- প্রিন্স মোকাররম ঝাহ (হায়দরাবাদের অষ্টম নিজাম) ও তাঁর ছোট ভাই মোফাখম এই সম্পত্তি নিতে পারে না। তারা পরিবারের সঙ্গে বসে এর সুরাহা করবে।

‘কিন্তু তারা যদি সকলকে সম্পত্তির ভাগ দিতে না চায় তাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব’, বলেন নাজাফ আলি খান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন জামায়াত আমির
সংগৃহীত ছবি

লন্ডনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ্‌ আবু তাহের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সম্প্রতি তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে দেখা করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেসসচিব, সাংবাদিক ও লেখক মারুফ কামাল খান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মারুফ কামাল খান বলেছেন, ‘ইউরোপ সফর শেষে লন্ডন পৌঁছে সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ্‌ আবু তাহের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরেছেন।

জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তারা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাৎপর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এখন তার পুত্রের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

দুই ডাক্তারের এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎই হয়ে থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদের চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।’

মারুফ কামাল খান আরো বলেন, ‘বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাওয়ার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তার বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সেই সাক্ষাৎ নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি।’

মন্তব্য

‘ক্ষমা চাইলে হবে না, প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘ক্ষমা চাইলে হবে না, প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে’

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে প্রথম আলো পত্রিকার একটি ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশাপাশি কুকুরের ছবি প্রকাশের ঘটনায় দেশের আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলিম জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন।

এটি প্রথম আলোর প্রথম এমন ঘটনা নয়। ২০০৭ সালেও ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে কার্টুন প্রকাশের অভিযোগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। সে সময় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন সম্পাদক মতিউর রহমান।

তিনি শপথ নিয়েছিলেন যে ভবিষ্যতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়, এমন কিছু প্রকাশ করবেন না।

কিন্তু এবার ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, ‘এবার আর ক্ষমা চাইলে হবে না, প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।

আবার অনেকে বলছেন, ‘এটা মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া, যা কখনোই সমীচীন নয়। প্রথম আলো মুসলমানদের ঈমানের ওপর আঘাত এনেছে।’

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

‎বিসিএস প্রার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‎বিসিএস প্রার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’
সংগৃহীত ছবি

নিজেদের দাবি আদায়ে ‘লং মার্চ ফর যমুনা’ কমর্সূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত বিসিএস প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে থেকে যমুনা অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা শাহবাগের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে গত কয়েক দিন থেকেই আন্দোলনরত করে যাচ্ছেন তারা।

আরো পড়ুন
এবার নতুন দল আনছেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন

এবার নতুন দল আনছেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন

 

এর আগে আজ সকাল থেকে পিএসসির আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে একসঙ্গে জড়ো হয়ে পিএসসির সামনে এসে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তারা পিএসসির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

পরে দুপরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় পিএসসির সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলনকারীরা। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ফিরে এসে আবার সড়কে অবস্থান নেন চাকরিপ্রার্থীরা। সন্ধ্যার পর ‘লং মার্চ ফর যমুনা’ কমসূচি শুরু করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে একদল চাকরিপ্রার্থী পিএসসির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

এক পর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন।

‎ওই দিন চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি। যে গতিতে পিএসসি এগোচ্ছে, তাতে আরো এক বছর সময় লাগবে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে। এর মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে।

মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬-এর লিখিত দেবেন। তারা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন, নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে?

আরো পড়ুন
ভারত থেকে ৩২৫৭ মেট্রিক টন চাল আমদানি

ভারত থেকে ৩২৫৭ মেট্রিক টন চাল আমদানি

 

‎তাদের দাবি, বাকি থাকা ভাইভা প্রার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে ভাইভা শেষ করা। জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল দিতে হবে। এ ছাড়া চাকরিপ্রত্যাশীরা, নন-ক্যাডার বিধি ২০২৩ বাতিলের দাবি জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাল ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাল ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিন দিনের সফরে আগামীকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন মায়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প। তার প্রশাসনের প্রথম প্রতিনিধিদলের এই সফরে বাংলাদেশে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ, রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তা এবং মায়ানমারের পরিস্থিতিসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে নিয়োজিত বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার প্রথমে ঢাকায় পৌঁছাবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক। পরে আরেকটি ফ্লাইটে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। বাংলাদেশে অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে মায়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের প্রথম দিনের শুরুতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

এরপর তারা পর্যায়ক্রমে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ