<p>সারা বছর চাষযোগ্য নতুন জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। জাতটির নাম দেওয়া হয়েছে 'বারি পেঁয়াজ-৫’। ইতিমধ্যে জাতটি কৃষকদের মাঝে অবমুক্ত করা হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে এবং কৃষকদের মাঝে জাতটির চাষ জনপ্রিয় করতে আজ মঙ্গলবার পেঁয়াজের বারির গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র মাঠ দিবসের আয়োজন করে।</p> <p>'বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ' প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত ‘পেঁয়াজ বীজ ও বীজকন্দ উৎপাদন প্রযুক্তি' বিষয়ক এ কৃষক মাঠ দিবসে ৭০জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।</p> <p>মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহা. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বারি’র ও বারি মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কৃষকদের জানান, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদন প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। প্রতি বছর ঘাটতির প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করতে হয়। ঘাটতি মোকাবেলা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বছরব্যাপী চাষের জন্য বারি পেঁয়াজ-৫ উদ্ভাবন করেছে। জাতটি একদিকে বছরব্যাপী চাষ করা যায়, অন্যদিকে অন্য জাতের তুলনায় বারি পিয়াজ-৫ এর উৎপাদন ২-৩ গুণ বেশি। বিঘা প্রতি অন্য জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন যেখানে ২৫-৩০ মণ, সেখানে বারি পেঁয়াজ-৫ এর উৎপাদন ৭৫-৮০ মণ। তাই জাতটি চাষ করলে কৃষক লাভবান হবে। দেশে পিঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব। </p>