অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিচারিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ছয়জনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। কয়েকজন দণ্ড মাথায় নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। পালিয়ে থাকা পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর করতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার অসমাপ্ত বিচার
মো. জাকির হোসেন

যাঁর অঙ্গুলিহেলনে দেশের কোটি কোটি মানুষ জীবন দিতে সম্মোহিতের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুই প্রতাপশালী পরাশক্তির সমর্থন ও সাহায্যপুষ্ট পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন, জাতির সেই প্রাণভোমরাকে কয়েকজন মধ্যম সারির কর্মকর্তা হত্যা করেছেন—এটি বিশ্বাসযোগ্য? কেউ খুন করেছেন, কেউ নেপথ্যে ষড়যন্ত্র করেছেন। কেউ পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু, তাঁর সরকার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কদাকার-কুৎসিত অপপ্রচার করে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। কেউ পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র ও খুনের পরিবেশ তৈরি করে প্রভাবকের কাজ করেছেন। কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। নেপথ্যের এসব কুশীলবের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। ইতিহাসের কাঠগড়ায় এসব বিশ্বাসঘাতকের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অনাগত প্রজন্ম যাতে জানতে পারে কারা বাংলাদেশের বন্ধু আর কারা শত্রু? তারা যাতে জানতে পারে তাদের জাতির পিতার সঙ্গে কেমন অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। আর এ জন্য চাই যথাযথ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিশন। তদন্ত কমিশনকে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে নজর দিতে হবে, তা হলো—এক. খুনিদের কে বা কারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করেছে, মদদ জুগিয়েছে? হত্যাকাণ্ডে খুনিদের মদদদাতারা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক, না অন্য কোনো দেশের সম্পৃক্ততা রয়েছে? পাকিস্তানের ভুট্টো ও যুক্তরাষ্ট্রের কিসিঞ্জার ও ফিলিপ চেরির সম্পৃক্ততার নানা তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। দুই. খুনিরা বা তাদের মদদদাতারা কী চেয়েছিল? অপবাদ দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। এই কথা কি সত্য? পুঁজি বা জমির মালিক উৎপাদনের প্রায় সবটুকু ভোগ করে। আর উচ্ছিষ্টভোগী শ্রমিক মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হয়। এভাবে সমাজে সৃষ্টি হয় ভয়ানক বৈষম্য। বঙ্গবন্ধু এই বঞ্চনা ও বৈষম্য দূর করতে উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা তথা সামাজিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র ছাড়া শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র অর্থহীন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসির গবেষকরা সম্প্রতি বিশ্বের ১৫৪টি দেশের ওপর এক জরিপ করে জানিয়েছেন যে গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টি চরম পর্যায়ে। জরিপের ফলাফলে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা এখন ‘উদ্বেগের’ পর্যায়ে রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি বা উচ্চমাত্রায় অসন্তুষ্টি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে। অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক ভেদাভেদে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের অসন্তুষ্টি বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভেদাভেদের এই কুফল অনুধাবন করে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সম্মিলনে নতুন রাজনৈতিক দর্শনের পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন। নতুন যাত্রার শুরুতে সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা তিনি নিজেই বলেছেন। কৃষক-শ্রমিক, গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় নতুন দর্শনের যাত্রায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ যদি গণতন্ত্র হত্যা হয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? মোশতাক, বিচারপতি সায়েম ও জিয়া তিনজনই তো অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, ‘বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।’ এই তিনজনের কেউই সংবিধানের বিধান মেনে সংসদ সদস্যদের কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হননি। তদুপরি জিয়া একই সঙ্গে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কয়েক বছর সামরিক শাসন জারি ছিল। সামরিক শাসন বহাল থাকা অবস্থায় ‘হ্যাঁ, না’ ভোটের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এটা কি গণতন্ত্র? তিন. বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণ হিসেবে কেউ বলছে, খুনিরা বাংলাদেশে ইসলামিক রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। ইসলামে বিচারের রায় ও যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া মানুষ হত্যার কোনো সুযোগ নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি চিরস্থায়ী জাহান্নাম এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লানত করবেন...।’ (সুরা নিসা : ৯৩) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে : ‘দুনিয়া ধ্বংস করার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণ্যতর কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ (তিরমিজি)। ইসলামে যুদ্ধক্ষেত্রেও নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করা নিষিদ্ধ।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ) কোরআন ও হাদিসের বিধান লঙ্ঘন করে ইসলামী রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করা যায় কি? চার. খুনি ও তাদের দোসরদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ ছিল না। তাদের মননে বাংলাদেশ নয়; ছিল পাকিস্তানের ছায়া। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। একীভূত করা সম্ভব না হলে কনফেডারেশন গঠন করে বাংলাদেশকে পকিস্তানের আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত করা হত্যার উদ্দেশ্য ছিল। খুনিদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষের প্রমাণিত মিত্রদের জন্য নিরাপত্তা ও রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করা। আর তাই সামরিক ফরমান বলে সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়, দালাল আইনে দণ্ডিতদের ভোটার হওয়ার অযোগ্য ঘোষণাসংক্রান্ত সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দালাল আইনে চলমান বিচার বন্ধ করা হয়। দালাল আইন রহিতকরণ করে ট্রাইব্যুনাল বাতিল করা হয়। মৃত্যুদণ্ডসহ নানা মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৭৫২ জন অপরাধীকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানানো হয়। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। এ সবই বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের আদলে গড়ার নীলনকশা। পাঁচ. সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু জাতির পিতা বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আঘাত নয়, এ আঘাত প্রকৃতপক্ষে ছিল স্বাধীন ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে হত্যার চক্রান্ত। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৩ ডলার, সেটি সাড়ে তিন বছরে ১৯৭৫ সালে হয় ২৭৩ ডলার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৭ শতাংশ। জাতিসংঘের তদানীন্তন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. ভিক্টর এইচ উমব্রিখট মার্কিন সরকারের প্রতি খুনিদের আশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ১৭ নভেম্বর ১৯৭৫ এক পত্রে লেখেন : গত ১২ মাস ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিরাট উন্নতি ঘটেছিল। ভালো খাদ্য পরিস্থিতি, বৃহত্তর খাদ্য মজুদ, ব্যাপক রপ্তানি ও ঘাটতিবিহীন বাজেটও ছিল। ছিল জনহিতকর কর্মসূচি, অপেক্ষাকৃত জনবান্ধব প্রশাসন প্রভৃতি। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্তম অংশটিকে কেন নির্মূল করা হলো, তা উপলব্ধি করা দুরূহ। ছয়. বাংলাদেশের সংবিধানের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের পাশাপাশি অবস্থান। শুধু তা-ই নয়, সংবিধানে এর সংযোজন সারা বিশ্বেই একটি অনন্য উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র শুধু সংবিধানেই অন্তর্ভুক্ত করেননি, বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি সমাজতন্ত্রের কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করেন। জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদে ৪০ শতাংশ শ্রমিকের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণকে বাঁচাতে হলে সমাজতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’ বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বলতেন, ‘আমি মার্ক্সিস্ট নই। আমি একজন সমাজতান্ত্রিক, কিন্তু সেটা আমার নিজস্ব পথে।’ তবে তিনি বিশ্বাস করতেন, যে সমাজতন্ত্র জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা সত্যিকারের সমাজতন্ত্র হতে পারে না। মানুষের মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, বিকাশ লাভ করে, সেই সমাজতন্ত্রই প্রকৃত সমাজতন্ত্র।’ তার পরও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে দেশে কেন অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল? পাঁচজন সংসদ সদস্যসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়, ঈদের জামাতে হামলা করা হয়, পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়, থানা আক্রমণ করা হয়, রেললাইন তুলে ফেলা হয়। যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া রাষ্ট্র যখন সবাই মিলে মেরামত করার কথা তখন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে অরাজকতার পেছনে কী কারণ ছিল তা অনুসন্ধানের দাবি রাখে। সাত. বঙ্গবন্ধু, তাঁঁর সরকার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট কাহিনি, কদাকার মিথ্যা অপপ্রচার কারা করেছে তা অনুসন্ধান করা জরুরি। আট. বঙ্গবন্ধুর সরকারের ব্যর্থ খাদ্যসচিব আবদুল মোমেন খান জিয়া সরকারের খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। কৃত্রিম খাদ্যসংকট সৃষ্টিতে মোমেন খান ও তার দোসরদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। নয়. বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরিকল্পনার খবর কেন আগে জানা সম্ভব হয়নি এবং বঙ্গবন্ধু টেলিফোনে সাহায্য চাইলেও কেন সেনাবাহিনীর অন্য কোনো ইউনিট এগিয়ে আসেনি সেটি আজও এক বিরাট প্রশ্ন। দশ. সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তার নৃশংস অপরাধের বিচার করতে তদানীন্তন সেনাবাহিনী কেন ব্যর্থ হয়েছিল? সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সেক্টর কমান্ডার কর্নেল (অব.) তাহেরসহ অনেকের বিচার করা সম্ভব হলো। তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো, অথচ একই সেনাবাহিনীর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কেন সম্ভব হলো না? প্রয়োজনে যুদ্ধ করে হলেও খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে তারা জেলহত্যার সুযোগ পেত না। খুনি ও তাদের দোসরদের না থামানোর ফলে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের যে ভয়ংকর ক্ষতি হয়েছে ৪৬ বছর ধরে তার কুফল ভোগ করছে রাষ্ট্র। শুধু যে স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে তা নয়, মুক্তিযুদ্ধের লেবাস পরে এমন রাজনীতির অভ্যুদয় হয়েছে যে রাজনীতিতে রাষ্ট্রের স্থপতিকে অস্বীকার করে তাঁর নামনিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে, জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, রাষ্ট্রের চরিত্রকে পাল্টে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে, সর্বোপরি রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে। এই অপচেষ্টা এখনো থেমে নেই।
একটি কমিশন গঠন করে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের ইতিহাসের কাঠগড়ায় জবাবদিহি করতে বাধ্য করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে সব ষড়যন্ত্র, হুমকি, বাধাবিপত্তি দূর করতে বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করতে হবে। তাহলেই শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যার অসম্পূর্ণ বিচার সম্পূর্ণ হবে। কিছুটা হলেও পিতৃহত্যার দায়মুক্তি হবে বাঙালি জাতির।
লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
zhossain1965@gmail.com
সম্পর্কিত খবর

চট্টগ্রামের কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহী ডিপি ওয়ার্ল্ড
অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বন্দর পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড-এর গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের এই সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে উভয়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগের সুযোগ, বিশেষ করে দেশের বন্দর এবং লজিস্টিক অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটি সুযোগের ভূমি। আপনারা বাংলাদেশে আসুন। আসুন, এটি বাস্তবায়িত করি।
সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম তার কম্পানির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা এই অংশীদারির জন্য উন্মুখ। আপনার সমৃদ্ধি আমাদের সমৃদ্ধি। চট্টগ্রাম থেকে দুবাই থেকে আফ্রিকা—এটি আমাদের ভাগ করা স্বপ্ন।’
প্রধান উপদেষ্টা মৎস্য, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং হালাল মাংস রপ্তানিসহ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান খাতে বৃহত্তর সহযোগিতা বিবেচনা করার জন্য ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব এবং আমরা তা নিশ্চিত করব।’
ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রধান ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ ভিসা সুবিধা ও সার্বিক সহায়তা, বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
তিনি চীনা ও ভারতীয় ট্রেড মার্টগুলোর সাফল্যের পর তাদের দেশে একটি ‘বাংলাদেশ মার্ট’ চালু করা নিয়ে ডিপি ওয়ার্ল্ডের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রধান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি পণ্য—কাঠ, মার্বেল, কৃষি পণ্য—প্রদর্শন করতে এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই।

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না : ভারত
অনলাইন ডেস্ক

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট তৈরি হয়েছিল। এতে লজিস্টিক বিলম্ব ও উচ্চ ব্যয় আমাদের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছিল।
এর আগে মঙ্গলবার এই সুবিধা বাতিল করে নোটিশ জারি করে দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি)।
২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত সরকার স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়। যা মঙ্গলবার বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে ভারতের রপ্তানিকারকরা, বিশেষ করে পোশাক খাতের প্রতিবেশী বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের জন্য এটি বড় ধরনের ধাক্কা বলে দাবি ভারতীয় পক্ষের। কারণ ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানি সহজ ও সাশ্রয়ী ছিল।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, এই পদক্ষেপের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

টানা ৫ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিবেদক

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষায়। এই অবস্থায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে টানা ৫ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের ৪ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি বুধবার সকাল ৬টায় পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় উত্তর দিকে এবং পরবর্তীতে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সময়ে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা। এ ছাড়া বর্তমানে ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, ফেনী ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।
পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর এই সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যদিকে আগামী রবিবার ও সোমবার (১৩-১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ দুই দিন সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি এই সময়ে পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বড় পরিসরে বর্ষবরণ উদযাপনের উদ্যোগ, শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় পরিসরে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাহাড় থেকে সমতলের সব জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে একসঙ্গে নানা অনুষ্ঠান উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে এসব আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি জানিয়েছেন, চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হচ্ছে ‘ব্যান্ড শো’।
বুধবার চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩২ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনস (বাম্বা) যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্য শেখ মনিরুল আলম টিপু জানান, নববর্ষের শোভাযাত্রায় প্রথমবারের মতো বাম্বা যুক্ত হচ্ছে।
এ সময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে, এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা যদি শুধু আমাদের দেশের শুভকামনা করি, তাহলে এর চেয়ে স্বার্থপরতা আর কিছু হতে পারে না। ফলে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, এই নববর্ষে তার প্রতিবাদ করে যেন শান্তি ফিরে আসে—এই কামনাটাও আমাদের করতে হবে।
একই দিন দুপুর আড়াইটায় বাংলা নববর্ষ এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সংস্কৃতি উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেসসচিব সুচিস্মিতা তিথি।
নানা জনগোষ্ঠীর ভেতর এত দিন জিইয়ে রাখা দূরত্ব, সংশয়, অবিশ্বাস দূরে ঠেলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতিচর্চার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উৎসবগুলো চৈত্রসংক্রান্তি ঘিরে হয়। আমাদের উৎসবটাও তাই এবার চৈত্রসংক্রান্তি থেকে শুরু হচ্ছে।’
তিনি জানান, চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রয়েছে কনসার্ট। বিকাল ৩টা থেকে সেখানে গান গাইবে গারো সম্প্রদায়ের ব্যান্ড এফ মাইনর, মারমা সম্প্রদায়ের লা রং, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ইমাং, খাসিয়া সম্প্রদায়ের ইউনিটি, চাকমা সম্প্রদায়ের ইনভোকেশন, বাঙালির মাইলস, ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, অ্যাভয়েড রাফা, দলছুট, স্টোনফ্রি।
অন্যদিকে, একই দিনে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ১২ জেলায় হবে সাধুমেলা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সেখানে সাধুসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক গানের আসর বসবে। একই দিন শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারে বসবে চা শ্রমিকদের ফাগুয়া উৎসব। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল রয়েছে দিনব্যাপী ধামাইল নৃত্য, গান, ভিডিও প্রদর্শনী, সন্ধ্যায় বাউল গান ও সেমিনার।
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের নববর্ষের শোভাযাত্রায় এবার বাঙালিসহ ২৭টি নৃগোষ্ঠী অংশ নেবে। সবাই নিজের সংস্কৃতি, পোশাক, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হাজির হবেন। এ শোভাযাত্রায় প্রথমবারের মতো যোগ দিচ্ছে রক শিল্পীদের সংগঠন বামবা। রক শিল্পীদের সঙ্গে যোগ দিতে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে থাকা গিটার প্লেয়ারদের তাদের গিটার ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
তিনি জানান, পহেলা বৈশাখ বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এতে সহযোগিতা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। কনসার্টের পর সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে একটা ড্রোন শো। এর থিম হচ্ছে করা হয়েছে, নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ২ হাজার ৬০০ ড্রোন উড়ানো হবে। চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এ আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থান ও নববর্ষকে রাখা হবে কেন্দ্রে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা জানান, নববর্ষে ছায়ানটের অনুষ্ঠানও হচ্ছে, থাকছে সুরের ধারার অনুষ্ঠানও। তবে সুরের ধারার অনুষ্ঠানটি এবার হবে রবীন্দ্রসরোবরে। অন্যদিকে, বিসিকের আয়োজনে পয়লা বৈশাখ থেকে সাত দিন বাংলা একাডেমিতে চলবে বৈশাখী মেলা।