রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁপের সরবরাহ কমে গেছে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন সময় পেঁপের দাম বেড়েছে, আবার কমেছে, কিন্তু কখনো ৮০ টাকায় পৌঁছায়নি। মূলত বাজারে পেঁপের সরবরাহ কম থাকার কারণেই এই দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।
কাঁচা পেঁপে ৮০ টাকা কেজি
নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল মঙ্গলবার জোয়ারসাহারা বাজারে গিয়ে সবজির বেশির ভাগ দোকানেই পেঁপে পাওয়া যায়নি। দু-একটি দোকানে পেঁপে থাকলেও দামে আগুন। ৮০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে পেঁপের সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি বাজারেই দাম অনেক বেশি।
নরসিংদীতে পেঁপের মৌসুম না
কাঁচা পেঁপে বারোমাসি সবজি হলেও বর্তমানে নরসিংদীর পাইকারি ও খুচরা সবজির হাটগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। মৌসুম না হওয়ায় পাইকারি হাটগুলোতে চাহিদার তুলনায় জোগান একেবারেই কম। এতে যে পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার নরসিংদী শহরের তিনটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দু-একজন ছাড়া কারো কাছে পেঁপে নেই। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা মাঝারি আকারের চেয়েও তুলনামূলক ছোট।

বোরো ধান এলে চালের দাম আরো সহনীয় হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। আশা করি, নতুন ধান উঠলেই চালের বাজার আরো সহনীয় হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্য তেলের আমদানি, সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে বেশ কিছুদিন ধরেই চালের দাম বেড়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুতের অবস্থা ভালো ছিল। তা ছাড়া সারের সরবরাহসহ সামগ্রিক বিষয় ভালো ছিল।
দিনি আরো বলেন, ‘কৃষিপণ্য একটা গতিশীল জিনিস। তবে সব পণ্যতে আমরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে যে ব্যবস্থাপনা করা যায়, সেটাই করছি।

গুলশানে ফ্ল্যাট দখল : টিউলিপ সিদ্দিকের নামে মামলা
অনলাইন ডেস্ক

ঢাকায় ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের অভিনব প্লট জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকি ছাড়া আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা-১ সরদার মোশারফ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক কোনো টাকা পরিশোধ না করেই ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে গুলশান-২ এর একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন। ফ্ল্যাটটির ঠিকানা—বি/২০১, বাড়ি নং ৫এ ও ৫বি (পুরাতন), বর্তমানে ১১এ ও ১১বি (নতুন), রোড নং ৭১, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২।
আরও বলা হয়, এ ঘটনায় টিউলিপ ছাড়াও রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সহকারী আইন উপদেষ্টা-১ সরদার মোশাররফ হোসেনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে দরকার ৩৬ কোটি টাকার কাগজ
অনলাইন ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য মুদ্রণ কাজে কাগজ লাগবে লাখ লাখ ৩০ হাজার রিম। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এই চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছে, ব্যালট পেপারসহ সকল মুদ্রণ কাজ সম্পন্ন করতে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা বলেছি চার মাস সময় নেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত ডিসেম্বরকে টার্গেট করেই কাগজ কেনা হবে। এক্ষেত্রে তফসিলের আগেই কাগজ কেনা সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
আলোচনার পর ইসি সচিব তাদের চার মাস সময় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আগামী মে মাস থেকেই কাগজ কেনার কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাচন উপলক্ষে এক লাখ ৬১ হাজার ৭৪ রিম কাগজ ক্রয় করা হয়েছিল। আগামীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে দুই লাখ ৩০ হাজার রিম কাগজের প্রয়োজন হবে।

আউটসোর্সিং কর্মীদের সুখবর দিল সরকার
অনলাইন ডেস্ক

বাংলা নববর্ষের উপহার হিসেবে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আউটসোর্সিংয়ের আওতায় কর্মরতদের সেবার মান ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে নতুন এই নীতিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই নীতিমালা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নববর্ষের বিশেষ উপহার।
নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবাকর্মীদের উৎসাহিত করা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরি এবং তিনটি বিশেষ সেবার মাসিক সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে।
সেবাকর্মীরা বছরে দুটি উৎসবে এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন। আর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে।
সেবাকর্মীদের জন্য বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি রাখা হয়েছে।
প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি সেবাকর্মীকে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নারীকর্মীদের জন্য রয়েছে ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা।
সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়।
সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে দেওয়া হবে। এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।