ঢাকা, রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ২৯ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ২৯ রমজান ১৪৪৬
আওয়ামী লীগ

ভোটে চোখ রেখে বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই কমিটি

  • সভাপতি শেখ হাসিনা তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভোটে চোখ রেখে বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই কমিটি
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে গতকাল আওয়ামী লীগের পুনর্নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। ছবি : পিএমও

রেকর্ড গড়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের। স্বাধীন বাংলাদেশে দলটির কোনো নেতাই টানা তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল দশমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে সভাপতি হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালনের রেকর্ডটি আরো দীর্ঘ হলো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি থাকায় ভোটের দিকে চোখ রেখে দলটি এবারের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে বড় কোনো পরিবর্তন আনেনি। দলের বেশির ভাগ নেতাই একই পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের কমিটিতে কোনো নতুন মুখ নেই। দলটির কমিটির সদস্যসংখ্যা ৮১।

রমেশ চন্দ্র সেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ ও আব্দুল মান্নান খান সভাপতিমণ্ডলী থেকে বাদ পড়েছেন। তাঁদেরকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের পদোন্নতি হয়েছে। তাঁরা হলেন সুজিত রায় নন্দী ও আমিনুল ইসলাম আমিন।
সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে এবারও একজন নারীকে রাখা হয়েছে। তিনি মতিয়া চৌধুরী। গত কমিটিতে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন। এর আগে ১৯৮১ সাল থেকে আমৃত্যু জ্যেষ্ঠ নারী সদস্য ছিলেন জোহরা তাজউদ্দীন।

গতকাল বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বসে।

এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পর দেশের আট বিভাগের একটি করে জেলা থেকে আটজন কাউন্সিলর বক্তব্য দেন। এর পর একে একে বাজেট উপস্থাপন, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেগুলো সভায় গ্রহণ করা হয়। এরপর দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে।

নির্বাচন কমিশন প্রথমে সভাপতি এবং পরে সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব চায়। কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর নির্বাচন কমিশনের প্রধান ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।

১৯৮১ সালে দলের ১৩তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমবার সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে দলের প্রতিটি সম্মেলনেই তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দশমবারের মতো সভাপতি হলেন শেখ হাসিনা। তিনি এ নিয়ে টানা ৪১ বছর দলের সভাপতি পদে আছেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আর কোনো নেতা এতবার সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেননি।

ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সালে প্রথমবার দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার, এবার তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। এর আগে মাত্র দুজন নেতা টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদ। তবে তাঁরা দুজনই পাকিস্তান আমলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আর কোনো নেতা টানা তিন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সভাপতিমণ্ডলী, উপদেষ্টা পরিষদ, সংসদীয় বোর্ড, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, জাতীয় পরিষদের নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।

সভাপতিমণ্ডলীতে আছেন যাঁরা : মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শ্রী পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এঁদের মধ্যে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন মুখ। এর আগে তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

সংসদীয় বোর্ডে আছেন যাঁরা : শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্যাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, কাজী রশিদুল আলম ও দীপু মনি।

স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডে আছেন যাঁরা : শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্যাহ, আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, কাজী রশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহ্‌মুদ ও আব্দুস সোবহান গোলাপ।

উপদেষ্টা পরিষদে আছেন যাঁরা : আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মসিউর রহমান, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী আকরাম উদ্দিন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শফিক আহমেদ, সতীশ চন্দ্র রায়, আব্দুল খালেক, আ ফ ম রুহুল হক, সৈয়দ রেজাউর রহমান, অনুপম সেন, হামিদা বানু, হোসেন মনসুর, সুলতানা শফি, এ এন এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি, মুহম্মদ জমির উদ্দিন, খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দি, মির্জা এম এ জলিল, প্রণব কুমার বড়ুয়া, আব্দুল হাফিজ মল্লিক, সাইদুর রহমান, খন্দকার বজলুল হক, ইয়াফেস ওসমান, রশীদুল আলম, কাজী সেরাজুল ইসলাম, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, এ কে এম রহমতুল্লা, মতিউর রহমান, শামসুল আলম, মতিউর রহমান খান, জহিরুল হক খোকা, রমেশ চন্দ্র সেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুল মান্নান খান, হারুনুর রশীদ ও হাবিবুর রহমান সিরাজ।

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীতে কে কোন পদ পেলেন

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীতে খুবই সামান্য পরিবর্তন এসেছে। শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে। গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সাখাওয়াত হোসেন শফিক বাদ পড়েছেন। সম্পাদকমণ্ডলীর দুজন নেতা পদোন্নতি পেয়েছেন। ঘোষিত কমিটিতে তিনটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের অবস্থানের ক্রমের পরিবর্তন ঘটেছে।

সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নতুন পদ পেয়েছেন সুজিত রায় নন্দী। তিনি আগের কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়া সাখাওয়াত হোসেন শফিকের স্থানেই সুজিত রায়কে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। বিগত কমিটির উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘোষিত নামের ক্রমানুসারে চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন : হাছান মাহ্‌মুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দীপু মনি। আগের কমিটিতে হানিফের নাম হাছান মাহ্‌মুদ ও দীপু মনির পরে ছিল। বাহাউদ্দিন নাছিমের নাম দীপু মনির পরে ছিল।

আট সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী।

কোষাধ্যক্ষ পদে এবারও আছেন এইচ এন আশিকুর রহমান। অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

যুব ও ক্রীড়া, শ্রম ও জনশক্তি এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপসম্পাদক—এই তিনটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।

কমিটি ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জানান, রীতি অনুসারে দলের সভাপতিমণ্ডলীর পরবর্তী সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্বাচন হবে।

মন্তব্য

আজ মায়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ মায়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে আজ মায়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল।

গতকাল শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, 'ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ঔষধ, ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার এবং মেডিকেল সহায়তা প্রদানে বিশেষ বিমানে রবিবার মায়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল।'

আরো পড়ুন
ঈদের ফিরতি ট্রেনযাত্রার শেষদিনের টিকিট বিক্রি আজ

ঈদের ফিরতি ট্রেনযাত্রার শেষদিনের টিকিট বিক্রি আজ

 

প্রসঙ্গত, মায়ানমারে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গেছে।

দরিদ্র, যুদ্ধকবলিত দেশটির সামরিক শাসকরা শনিবার কয়েকশ বিদেশি উদ্ধারকর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।

মন্তব্য

ঈদের ফিরতি ট্রেনযাত্রার শেষদিনের টিকিট বিক্রি আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের ফিরতি ট্রেনযাত্রার শেষদিনের টিকিট বিক্রি আজ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন আজ। বিশেষ ব্যবস্থায় আগামী ৯ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে আজ ৩০ মার্চ। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। 

যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

যাত্রী সাধারণের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বরাবরের মতো এবারো আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হলো।  বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হওয়ায় কোনো টিকিট রিফান্ড করার সুযোগ থাকছে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের পরের আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৮ মার্চ এবং ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৯ মার্চ।

এ ছাড়া চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদ যাত্রার সব টিকিট অনলাইনে ক্রয় করতে হবে। 

আরো পড়ুন
একীভূত হলো ইলন মাস্কের এক্স ও এক্সএআই

একীভূত হলো ইলন মাস্কের এক্স ও এক্সএআই

 

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্ত নগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না।

ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

মন্তব্য

চীন সফরে ড. ইউনূসের ৫ অর্জন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীন সফরে ড. ইউনূসের ৫ অর্জন
সংগৃহীত ছবি

চীনে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।

এর আগে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার হং লেই।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে বাংলাদেশের অর্জন বহুমুখী। বিশেষজ্ঞদের মতে, সফল একটি সফর শেষ করলেন অর্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে বেশ বড় ধরনের চমক দেখিয়েছেন তিনি। চীনের কাছ থেকে বিশাল অংকের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছেন।

একই সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নেও মিলেছে প্রতিশ্রুতি। 

আরো পড়ুন
দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

 

এই সফরের মধ্যে দিয়ে দেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সফরের মধ্যে দিয়ে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে কোটা ও শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন উভয় দেশের শীর্ষ দুই নেতা। একই সঙ্গে ‘এক চীন নীতি’তে বাংলাদেশ তার অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেছে চীনের কাছে। ফলে চীনের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

চীন সফরে যা পেল বাংলাদেশ 

এক. ২১০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি : প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে সেদেশের সরকার ও চীনা কম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দেশটির প্রায় ৩০টি কম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।

এ ছাড়া মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে চীন। চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরো ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে বাকি অর্থ।

দুই. ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে কোটা ও শুল্ক সুবিধা : বাংলাদেশের বিদ্যমান শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা আরো দুই বছর বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর আগে চীনা বাজারে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য এই সুবিধা ছিল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চীনা উপ প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েশিয়াংয়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে চীনা উপ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

তিন. চীনে আম রপ্তানি : চীন বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী। বাংলাদেশও চীনে আম পাঠাতে চায়। বাংলাদেশ চীনে আম রপ্তানির জন্য ৬ বছর আগে দেশটির কাছে আবেদন করেছিল। তবে নানা জটিলতায় সেটা আর কার্যকর হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের মধ্যে দিয়ে সেদেশে আম রপ্তানির দুয়ার খুলেছে। আগামী মে-জুন মাস থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশি আমের চাহিদা বাড়বে।

চার. তিস্তা প্রকল্পে সহায়তা : তিস্তা নদী প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক আগেই থেকে চীনের সহায়তা চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। এবার প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে এই প্রকল্পে সহায়তার আশ্বাস মিলেছে। তবে শুধু তিস্তা প্রকল্প নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি অধ্যাপক ইউনূস। তিনি নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক চীন সফরে সেদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেসময় নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার চারপাশের দূষিত পানি পরিষ্কারের বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।

পাঁচ. ৯ চুক্তি ও সমঝোতা সই : প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে একটি চুক্তি ও ৮টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং কারিগরি সহযোগিতা–সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের চিরায়ত সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনিময় ও সহযোগিতা, সংবাদ বিনিময়, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে সই হয়েছে ৮টি সমঝোতা স্মারক।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার (২৬ মার্চ) চারদিনের  চীন সফরে যান। প্রধান উপদেষ্টার এটাই প্রথম কোনো দেশে দ্বিপক্ষীয় সফর। শনিবার রাতে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

চীনে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।

এর আগে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার হং লেই।

এদিন সকালে বেইজিংয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়, তার পর তিনি সেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। শির সঙ্গে বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস প্রেসিডেনশিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশ নেন।

ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
জলবিদ্যুৎ, বন্যা মোকাবেলা ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের মতো বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারেও ‘একমত হয়েছে' বাংলাদেশ ও চীন।

চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেছেন, দুই দেশ ব্যাপক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যা অনেক ইতিবাচক ফলাফল এনেছে।

চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ছে।

আমাদের শিল্প ব্যবহারের বেশির ভাগ পণ্য আসে চীন থেকে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইউনূস দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতা এবং তাদের বিশাল সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি আশা করেন, আরো চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে একটি ‘বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত’ করবেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ