ডিএমপির নতুন কমিশনার হচ্ছেন হাবিবুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডিএমপির নতুন কমিশনার হচ্ছেন হাবিবুর রহমান
ফাইল ছবি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। তিনি বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হিসেবে রয়েছেন। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেস্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বর্তমান কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তার চাকরিজীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন আগামী ২ অক্টোবর।

হাবিবুর রহমান তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। 

হাবিবুর রহমান ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হচ্ছেন। তিনি বিসিএস ১৭তম ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি, ঢাকা জেলার এসপি, পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন) ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সব শেষ দায়িত্ব পান ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হিসেবে। 

১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে। কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, বেদে সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়ে তার কাজ প্রশংসিত।

তা ছাড়া ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১৮ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে—মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের এ ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামকে আঘাত করে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিনগত রাতের এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে।

আরো দুঃখজনকভাবে, তিনি এসব হুমকির শিকড় ইসলামি খিলাফতের শাসন ও পরিচালনার আদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছেন।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। দেশটি সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়; বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।

বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশকে ইসলামি খিলাফতের ধারণার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা দেশের কোটি নাগরিকের প্রচেষ্টা ও অর্জনকে খাটো করে, যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এ ধরনের ভিত্তিহীন প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘রাজনৈতিক নেতা ও জনপরিচিত ব্যক্তিত্বদের সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করার আগে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলা উচিত।

কোনো বক্তব্য যেন ভুল ধারণা ছড়াতে, ভয় উসকে দিতে বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সহায়ক না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও গঠনমূলক সংলাপে যুক্ত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আলোচিত-১০ (১৭ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান
সংগৃহীত ছবি

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে করমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তি ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

ওই ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশন নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন।

যখন দেখবেন যে ‘লাইমলাইটে’ চলে আসছে, তখন আপনারা জানবেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রেমিট্যান্সের নামে এক ব্যক্তির এত বিপুল অর্থ আনার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন করলাম যে, আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা বললাম, তাদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে।

‘এটা করা হয়েছিল প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য এবং তারা যাতে করে বিদেশে তাদের এই আয়টা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে অবদান রাখবে। কিন্তু আইনকানুনের ব্যত্যয় করে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, শুনলে আশ্চর্য হবেন, এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল, যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে আসলেন।

তিনি বলছেন, এটা উনার ওয়েজ আর্নার্স এবং এটা ট্যাক্স ফ্রি। এই যে আপনারা প্রশ্ন করলেন কেন ‘গিনি সহগ’ উল্টো দিকে হাঁটছে, তার কারণ হচ্ছে এই।

‘হয় আমরা এগুলো দেখি নাই। অথবা বুঝি নাই। অথবা দেখেও না দেখার ভান করছি।

তাদের আমরা অ্যালাউ করেছি। এগুলোই আমাদের বড় প্রবলেম বলেন তিনি।

বর্তমানে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশে আনার ক্ষেত্রে করমুক্তির সুবিধা রয়েছে। সেইসঙ্গে রেমিট্যান্সে সরকারের প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে আড়াই শতাংশ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ