ব্যাটারিচালিত তিন চাকার (ই-রিকশা) রিকশার লাইসেন্স বা চলাচলের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে তিন চাকার রিকশাকে ‘সাধারণ যানবাহন’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত মার্চে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলসংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বললেও নির্দিষ্ট দূরত্বে কত টাকা ভাড়া হবে তা বলা হয়নি। জাতীয় সংসদ বহাল না থাকায় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এই সংশোধনী করা হতে পারে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দায়ের করা সিভিল মিস, পিটিশন (নম্বর ৮৭১/২০২৪) নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্রে তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এসব যানবাহনকে লাইসেন্স (চলাচলের অনুমতি) দেবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন।
সভায় বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ ১৯.২-এ প্রস্তাবিত ‘তবে শর্ত থাকে যে, তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অনুরূপ যানবাহন মোটরগাড়ি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে না’ বিধানের পরিবর্তে ‘তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) ও অনুরূপ যানবাহন সাধারণ যানবাহন হিসাবে গণ্য হবে’ বিধান প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করে অধ্যাদেশে সাধারণ যানবাহনের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের ১৯.২-এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি করপোরেশনের দেওয়া লাইসেন্স ছাড়া নগরীতে (মোটরগাড়ি ছাড়া) অন্য কোনো সাধারণ যানবাহন রাখতে, ভাড়া দিতে বা চালাতে পারবেন না।
তবে বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের ১৯.৩ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে এবং প্রবিধানের আওতায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে এবং কোনো ব্যক্তি এরূপ নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া দাবি করতে পারবে না বলে বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোনো কিছু নির্ধারণ বা প্রস্তাব করা হয়নি।