জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা? যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা? যা জানা গেল
ফাইল ছবি

জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন বলে ভারতীয় সাংবাদিকদের বলছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা— এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

আলোচিত ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ হাসিনার দুটি ভিডিওর ফুটেজ শুরুতে শেখ হাসিনার দুটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি সেটা করতে পারেননি তবে, শেখ হাসিনা সেই ভাষণ ভারতে গিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য ০৬ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন দাবি করেন।

এছাড়াও উপস্থাপক দাবি করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন— সাময়িক সময়ের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি আজীবনের জন্য নয়। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সব কিছুর হিসাব নিব আমি। এটা আমার বাবার দেশ, এটা আমার হাতে গড়া বাংলাদেশ। এতো সহজে ছেড়ে দেওয়ার মতো পাত্রী আমি নই।
মনে রেখো দিনটা তোমার ছিল বাট বছরটা আমার হবে।’ তবে, টিকটকের এই ভিডিওর ফুটেজে শেখ হাসিনাকে এমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি।

অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এর  ‘ANI News’ ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি “India is trusted friend…” Bangladesh PM Sheikh Hasina lauds India’s role during 1971 Liberation War শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি প্রতিবেদনে থাকা শেখ হাসিনার ফুটেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফুজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। পুরো প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালের পরে, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবার হারিয়েছিলাম তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা।”

এছাড়াও, ভারতের এনডিটিভির ওয়েবসাইটে একই দিনে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও একই তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ, ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর তিনি যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় শহীদ জাহাঙ্গীরের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর শহীদ হন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।

উপদেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আরো পড়ুন
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি : নাহিদ

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি : নাহিদ

 

শহীদ জাহাঙ্গীরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শহীদ সুমাইয়ার বাসায় যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সুমাইয়ার মতো অসংখ্য মানুষ বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে।’

এ সময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। গতবছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে নিজ বাসায় শহীদ হন সুমাইয়া।

মন্তব্য

শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব : উপদেষ্টা মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব : উপদেষ্টা মাহফুজ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

এ সময় তথ্য উপদেষ্টা শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও খোঁজ খবর নেন এবং তাদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।

মাহফুজ আলম বলেন, সুমাইয়ার মতো অনেক মানুষকে ফ্যাসিবাদীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুনিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ সুমাইয়ার নয় মাস বয়সী শিশু কন্যার হাতে ঈদের উপহারও তুলে দেন।

মন্তব্য

ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, যে কথা হলো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, যে কথা হলো
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শেহবাজ শরিফ।

বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।  আজ সোমবার (৩১ মার্চ) ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাকিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে একটি মনোরম কথোপকথন হয়েছে জানিয়ে ওই পোস্টে শেববাজ শরিফ বলেন, আমরা ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। 

২২ এপ্রিল একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডক্টর ইউনূসকে তার সুবিধামত পাকিস্তান সফরের জন্য আমার আন্তরিক আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং কিংবদন্তি মিসেস রুনা লায়লাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য

বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।  

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় জানান।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে, তিনি জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায়ের জন্য আসেন। ময়দানে প্রবেশ করার সময় সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।  

মোনাজাত শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে হাত মেলান জামাতে অংশ নেওয়া নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ