ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার
সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন ও এই পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেওয়াটা আমাদের অঙ্গীকার ছিল এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই শহীদ পরিবারদের এককালীন টাকার পাশাপাশি মাসিক ভাতা ও চাকরির কথা বলা হয়েছে। চাকরিতে এটা কোনো নতুন কোটা হিসেবে যুক্ত হবে না।

পরিবারের কর্মক্ষম কোনো একজন ব্যক্তিকে একবারের জন্যই যোগ্যতার বিচারে সরকারি-আধা সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য এটা বিবেচ্য হবে না।

তিনি আরো বলেন, আহতদের ক্ষেত্রে যারা সারাজীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (অন্ধ কিংবা অঙ্গহানী) এবং আর কখনো কর্মক্ষম হতে পারবে না তাঁদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম আহতদের একটা বড় অংশই তরুণ এবং বাকি জীবন তাঁদেরকে আন্দোলনের ক্ষত বয়েই বেড়াতে হবে, অনেককে দীর্ঘকাল চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন এবং এই পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেওয়াটা আমাদের অঙ্গীকার ছিল এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। কয়েক হাজার পরিবার অচল হয়ে গেছে এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের ফলে। তাঁদের এই ক্ষতি আমরা কোনোকিছু দিয়েই পূরণ করতে পারব না। আর এই পরিবারগুলো যেকোনো সুযোগ সুবিধার চেয়ে কেবল সকলের থেকে সম্মান ও মর্যাদা চায়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
সংগৃহীত ছবি

দেশের ১০ অঞ্চলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা দেড় কোটি, ৮০ শতাংশই কিশোর-তরুণ

মোবারক আজাদ
মোবারক আজাদ
শেয়ার
দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা দেড় কোটি, ৮০ শতাংশই কিশোর-তরুণ
প্রতীকী ছবি

দেশে মাদকসেবী প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে এক কোটি মাদকাসক্ত এবং বাকি ৫০ লাখ মাঝেমধ্যে মাদক সেবন করে। মাদকাসক্তদের ৮০ শতাংশই কিশোর-তরুণ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাদকাসক্তদের ৩০ শতাংশ শুধু নেশার খরচ জোগাতে অপরাধ ও অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এসব তথ্য জানায়। 

আর দেশে দেশে যত রকমের অপরাধের ঘটনা ঘটছে তার বড় অংশ ঘটছে মাদকসংশ্লিষ্টতায়। মাদক সেবনের টাকা জোগানো ও কেনাবেচা নিয়ে সংঘটিত অপরাধ এখন সর্বত্র।

মাদকাসক্তি আধুনিক সময়ের ভয়ংকর ব্যাধিগুলোর অন্যতম এবং দিনে দিনে এই সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাদকের নেশার টাকা জোগাতে মাদকসেবীরা মা-বাবা, ভাই-বোনের মতো আপনজনকেও খুন করতে দ্বিধা করছে না।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপরও হামলা চালাচ্ছে মাদকাসক্তরা। সম্প্রতি বেশ কিছু পারিবারিক অপরাধমূলক ঘটনা ও পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদকাসক্তির বহু কারণের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় অন্যতম। এ ছাড়া ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিরতা, দারিদ্র্যের কশাঘাত, বেকারত্বের নৈরাশ্যও দায়ী।

মাদকসেবীদের মধ্যে একটি বড় অংশ বেকার। তারা মাদকের টাকা জোগাড় করতেই ঘরে-বাইরে চুরি-ছিনতাই ও খুনখারাবির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে অহরহ। রাস্তায় মাদকসেবীদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন অমান্য করার মতো ঘটনাগুলোও বাড়ছে।

ফলে সড়ক দুর্ঘটনা, অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেশে প্রায় ৩২ ধরনের মাদক সেবন চলে। মাদকের কারণে সার্বিকভাবে কী পরিমাণ অপরাধ ঘটছে, তার কোনো একক জরিপ না থাকলেও মাদকদ্রব্য জব্দ ও আসামি গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান বলছে, মাদকের বিস্তার দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে এবং প্রতিনিয়িত দেখা যাচ্ছে মাদকসংশ্লিষ্টতার কারণে ঘটছে চাঞ্চল্যকর অপরাধ। মাদকাসক্ত অনেকে নেশার টাকা না পেয়ে পরিবারের সদস্যদেরও খুন করছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একটি পরিবারে একজন সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে সেই পরিবারে নেমে আসে বিভীষিকাময় পরিবেশ। মাদককে ঘিরে যেসব সমস্যা তৈরি হয় তা একটি পরিবারকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। তছনছ হয়ে পড়ে সাজানো সংসার। মাদক সমস্যা পারিবার থেকে ছড়িয়ে পড়ে সমাজে। শেষ পর্যন্ত তা রাষ্ট্রীয় সমস্যায় পরিণত হয়।

লেখক ও মনোচিকিৎসক এম এ মোহিত কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি মনে করি, মাদক হচ্ছে মস্তিষ্কের রাসায়নিক দানব। কোনো কোনো মাদক ব্রেইনে ঢুকে এক বছর পর্যন্ত অ্যাক্টিভ ফর্মে থাকে এবং চিন্তা-ভাবনা, আবেগ-অনুভূতি সব নিয়ন্ত্রণ করে। এ নিয়ন্ত্রণ সুশৃঙ্খল থাকে না, বিশৃঙ্খল করে দেয়। ব্যক্তি সহিংস হয়ে পড়ে, নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে মাদকাসক্তরা রাগের বশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খুনখারাবিও করতে দ্বিধা করে না। মা-বাবার মুখে বালিশ চাপা দিতে পারে, তাদের ওপর ছুরি-বঁটি চালাতে পারে। সাধারণ মানুষ এসব কর্ম করতে পারে না। অনেকে বলেন, আমার সন্তান এমন (বিশৃঙ্খল আচরণ) করছে, তার ভেতর দানব ঢুকে গেছে, সেটা বের করে দেন। এই সমস্যা বর্তমানে অনেক পরিবারেই রয়েছে।’

এই মনোচিকিৎসক আরো বলেন, ‘কোথাও কোথাও দেখা যায় মাদকাসক্তরা পুলিশের ওপর হামলা করছে। সুতরাং সবাইকে এর প্রতিরোধে, প্রতিকারে এগিয়ে আসতে হবে এবং আইনের সুরক্ষা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সার্বিক অপরাধ কমে আসবে।’

ঢাকার মানসিক ও মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের মেন্টাল হেলথ কাউন্সেলর নুসরাত সাবরিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশির ভাগ পরিবার মাদকসেবীর কথা চেপে রাখে। এ নিয়ে কারো সঙ্গে বলতে চায় না বা চিকিৎসার প্রয়োজন মনে করে না। এভাবেও কিন্তু মাদকসেবী দিন দিন বাড়ছে।’

সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যাকাণ্ড : গত ১৪ মার্চ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নে নেশার টাকা না দেওয়ায় মাদকাসক্ত ছেলে রাজিবের হাতে মা রেজিয়া খাতুন (৫০) খুন হন। ৮ মার্চ যশোর জেলায় পারিবারিক কলহের জেরে শরিফুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করেন তাঁর মাদকাসক্ত ছেলে মো. রমেন (২১)। ৪ মার্চ রংপুরের মিঠাপুকুরে মাদকাসক্ত ছোট ভাই শরিফুল ইসলামের (৪০) হাতে বড় ভাই আতিয়ার রহমানের (৫৫) মৃত্যু হয়। ৬ মার্চ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়িতে বাবা আব্দুর রহিম (৭০) এবং মা আমেনা বেগমকে (৬০) কুপিয়ে জখম করেন মাদকাসক্ত ছেলে আবুল কালাম (৩৮)।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার শহরতলির জগন্নাথপুর গ্রামে সাত বছর বয়সী ছেলে মাহিদকে মারধর করে হত্যা করেন মাদকাসক্ত বাবা খোকন মিয়া।

গত ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় ছেলে রিফাত (১৮) তাঁর বাবা শফিকুল ইসলামকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ ছাড়া ১ ডিসেম্বর মাগুরার আঠারোখাদা গ্রামে চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে মাদকাসক্ত ছেলে মো. মফিজুর তাঁর বাবাকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে বাবা সুরমান শেখের মৃত্যু হয়।

মনোচিকিৎসকরা বলছেন, মাদক সেবনে শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার ক্ষতি হয়। নিয়মিত মাদক সেবনে ব্যক্তির সুস্থ চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণ লোপ পায়। এ কারণে কোনো ঘটনা, পরিস্থিতি কিংবা কোনো বিষয়ে সঠিক বিচার-বিবেচনা, মূল্যায়ন এবং অনুধাবন করার ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে না। এরই পরিণামে সন্তানের হাতে মা-বাবা খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদকসেবীদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। তাদের অনেকের মধ্যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। ফলে তারা মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহ করতে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা কিংবা ছিনতাইকালে সামান্য টাকার জন্য খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের একাংশ মাদক সেবনের টাকা জোগাড়ে চুরি-ছিনতাইসহ খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যও বলছে, খুন, ধর্ষণ, পরকীয়া, দাম্পত্য কলহ, অর্থ লেনদেন, হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম সব কিছুর মূলেই রয়েছে এই মাদকের নেশা।

মাদকে শারীরিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারের কর্মকর্তারা জানান, পুরনো মাদকের পাশাপাশি নতুন অনেক মাদকও দেশে আসছে। নতুন মাদকের মধ্যে আইস সেবনের ফলে অনিদ্রা, অতি উত্তেজনা, মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা, স্মৃতিভ্রম, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভারের জটিলতা হতে পারে। এভাবে প্রতিটি মাদকই মানবদেহের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ।

মাদক নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, মাদকাসক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা। এ ছাড়া পারিবারিক কলহ, বেকারত্ব, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, বিবাহবিচ্ছেদে সংসার ভেঙে যাওয়া, প্রেম ও চাকরিতে ব্যর্থতা থেকে হতাশা ইত্যাদি কারণেও যুবসমাজ মাদকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে। এভাবে স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক পৌঁছে গেছে অনেক আগ থেকেই। বেশির ভাগ মাদক ব্যবহারকারী বন্ধুবান্ধবের পাল্লায় পড়াকে দোষারোপ করে। প্রথমবারের মতো মাদক গ্রহণের জন্য কৌতূহল অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে কাজ করে।

এদিকে বিভিন্ন এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চললেও অভিযান চালানো হয় না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ফলে দেশে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপদ মাদক গ্রহণের স্থানে পরিণত হচ্ছে বলে জনপরিসরে আলোচনা আছে।

অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। মাদকের এই নীল দংশন থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে হলে গড়ে তুলতে হবে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা। এতে সমাজ, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া দেশে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে মাদকের সরবরাহ চেইন বন্ধ করতে চোরাচালানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। 

সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
মহেশপুর সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

মহেশপুর সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

 

এতে আরো বলা হয়েছে, এ সময় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে।

সেই সঙ্গে পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৫ শতাংশ। 
 

মন্তব্য

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (২১ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (২১ মার্চ)
ঋণ পুনঃ তফসিলে বাধা বিপাকে ব্যবসায়ীরা

ঋণ পুনঃ তফসিলে বাধা বিপাকে ব্যবসায়ীরা

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, উচ্চ সুদের হার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, আস্থাহীনতাসহ নানা...

 
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে...

 
কাঁদছে গাজা ঝরছে প্রাণ

কাঁদছে গাজা ঝরছে প্রাণ

ফিলিস্তিনের ছিটমহল গাজায় পবিত্র রমজানে এখন ইসরায়েলি বাহিনীর চরম বর্বরতা চলছে। শুধু এক টুকরা রুটির আশায় চার...

 
বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব

বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব

আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব। যাতে দেশের জিডিপি ও কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়এমনটা জানিয়েছেন...

 
দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য...

 
তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

একুশ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রমনা থানার করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক...

 
সিমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিলের নির্দেশ

সিমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিলের নির্দেশ

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমান হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব...

 
মাদকে মানব হয়ে উঠছে দানব

মাদকে মানব হয়ে উঠছে দানব

দেশে যত রকমের অপরাধের ঘটনা ঘটছে তার বড় অংশ ঘটছে মাদকসংশ্লিষ্টতায়। মাদক সেবনের টাকা জোগানো ও কেনাবেচা নিয়ে...

 
গাজাবাসী কোরআনের সঙ্গী, কোরআনের যোদ্ধা

গাজাবাসী কোরআনের সঙ্গী, কোরআনের যোদ্ধা

গাজায় নির্মম হামলা ও গণহত্যা বন্ধে এবং মজলুম গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের বিবেকবান ও...

 
সংস্কার শেষ করে গণপরিষদ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে

সংস্কার শেষ করে গণপরিষদ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার শেষ করে এরপর নির্বাচন হবে। আর এটা নির্ধারিত...

 
কাগজ আমদানিতে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব

কাগজ আমদানিতে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব

মিথ্যা ঘোষণা ও চোরাচালানের মাধ্যমে আমদানি এবং বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের কারণে দেশীয় কাগজশিল্পে অস্তিত্ব হুমকির...

 
মাদক আর অস্ত্রসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আরসা

মাদক আর অস্ত্রসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আরসা

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা দেশের...

 
চাঁদরাত পর্যন্ত ব্যস্ত দরজিঘর

চাঁদরাত পর্যন্ত ব্যস্ত দরজিঘর

ঈদের ব্যস্ততা সবার আগে শুরু হয় দরজিঘরে। আগে ফরমায়েশ পেলে পোশাকটি মনোযোগ দিয়ে বানান কারিগররা। সেলাই আর নকশায়...

 
এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা...

 
ডাকসু গঠনতন্ত্রে জুলাই অভ্যুত্থান যুক্ত করার প্রস্তাব

ডাকসু গঠনতন্ত্রে জুলাই অভ্যুত্থান যুক্ত করার প্রস্তাব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের সংশোধিত গঠনতন্ত্রের খসড়ায় বেশ কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে...

 
সংস্কার না হলে দেশে দুঃশাসন ফিরে আসবে : আলী রীয়াজ

সংস্কার না হলে দেশে দুঃশাসন ফিরে আসবে : আলী রীয়াজ

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, বিদ্যমান...

 
রাজধানীতে পৃথক স্থানে পাঁচ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজধানীতে পৃথক স্থানে পাঁচ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজধানীর মুগদা ও খিলগাঁও এলাকায় পৃথক ঘটনায় পাঁচ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায়...

 
মুহূর্তে শেষ ট্রেনের টিকিট অবিক্রীত বাসের

মুহূর্তে শেষ ট্রেনের টিকিট অবিক্রীত বাসের

ঈদে বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিট কাটাও এ ধরনের উৎসবের আমেজ তৈরি করত। তবে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাড়ি...

 
পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় নিয়োগ পেতে সিভিতে মিথ্যা তথ্য এবং সূচনা ফাউন্ডেশনে জোর করে ৩৩ কোটি টাকা জমার অভিযোগে...

 
জাতিসংঘের সুপারিশ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ চায় এইচআরএফবি

জাতিসংঘের সুপারিশ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ চায় এইচআরএফবি

দেশের মানবাধিকারকর্মী, সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের উদ্বেগ এবং দাবি বিবেচনায় নিলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে...

 
সরকার যা বলে বাস্তবতার সঙ্গে তার ফারাক থাকে

সরকার যা বলে বাস্তবতার সঙ্গে তার ফারাক থাকে

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্দেশে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা সাম্প্রতিক দেখেছি, প্রধান...

 
দুই দশকে অপসারিত হলেন দুই বিচারপতি

দুই দশকে অপসারিত হলেন দুই বিচারপতি

অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের অভিযোগে বিচারক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি...

 
ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা

ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা

ঈদের আনন্দ উদযাপনে রাজধানীবাসী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার পবিত্র...

 
ভোট বিলম্বিত হবে না : ড. ইউনূস

ভোট বিলম্বিত হবে না : ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং কোনো দাবির কারণে ভোট বিলম্বিত হবে না...

 
ঈদ ঘিরে রেমিট্যান্সে জোয়ার

ঈদ ঘিরে রেমিট্যান্সে জোয়ার

পবিত্র রমজান মাস পার করে কয়দিন পরই ঈদ। ফলে আনন্দঘন ঈদ উদযাপনে কেনাকাটা করছেন বাংলাদেশের মুসলিমরা। ছোট-বড় সবার...

 
চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৮ মাসে রাজস্ব আদায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৮ মাসে রাজস্ব আদায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা

এলসি খোলায় ডলারের সহজলভ্যতার পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি রোধ করায় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে...

 
বাংলাদেশের আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল নেবে চীন

বাংলাদেশের আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল নেবে চীন

বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। সম্প্রতি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক...

 
রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের গুরুত্ব

রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের গুরুত্ব

রহমত ও মাগফিরাতের দশক শেষ হওয়ার পর আমাদের মধ্যে হাজির হলো নাজাতের দশক। পবিত্র রমজানের এই দশক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।...

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ