আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের সংগ্রামী বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই মহান দিবস উপলক্ষ্যে ভারতের প্রেসিডেন্ট শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ভারতের প্রেসিডেন্ট শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহামান্য মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের উদ্দেশ্যে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
সেই বার্তায় দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকার, ভারতের জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বহুমুখী সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র।
বার্তায় দ্রৌপদী মুর্মু আরো বলেছেন, ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ও এসএজিএআর (অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধি) মতবাদ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ।
ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহামান্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
এই দিনটি আমাদের ভাগ করা ইতিহাস এবং ত্যাগের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে চলেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিকশিত হয়েছে।
আমাদের জনগণের জন্যও এটি বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধির জন্য এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এই অংশীদারিত্বকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।