কাল শুরু হচ্ছে তিন দিনের সম্মেলন, যেসব ক্ষমতা চাইতে পারেন ডিসিরা

উবায়দুল্লাহ বাদল
উবায়দুল্লাহ বাদল
শেয়ার
কাল শুরু হচ্ছে তিন দিনের সম্মেলন, যেসব ক্ষমতা চাইতে পারেন ডিসিরা
সংগৃহীত ছবি

শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

ডিসি সম্মেলনে তিন শতাধিক প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব ও সুপারিশ পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এসব প্রস্তাবের মধ্যে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে।

মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। তারাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মাঠ নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। একজন ডিসি জেলার অন্তত ৩০২টি কমিটির প্রধান।

এর পরও মাঠের আরো ক্ষমতা চান তারা।

ডিসিরা নতুন করে যে ক্ষমতা চাইছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা পুলিশের এসিআর দেওয়া, কনস্টেবল নিয়োগ কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখা, ডিসির অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন, অপরাধ ডেটাবেইস ও এনআইডি ডেটাবেইস সার্ভারে ডিসি ও ইউএনওদের প্রবেশাধিকার, উপজেলা পরিষদের কর্মচারী নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের বদলে উপজেলার সরকারি বাসা বরাদ্দের ক্ষমতা।

ডিসিদের পাঠানো প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তারা মাঠ প্রশাসনে আরো ক্ষমতা চান। সব কিছুতে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান।

উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের নিয়োগ ও বদলি ডিসিদের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ফরিদপুরের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।

কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাশাপাশি কর্মচারীদের জবাবদিহি ও দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা এবং বদলির মাধ্যমে কর্মচারীদের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। বর্তমানে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয় উপজেলা পরিষদ। গাড়িচালকদের বদলির ক্ষমতা আন্ত উপজেলায় ডিসি এবং আন্ত জেলায় বিভাগীয় কমিশনারদের।
পুলিশের এসিআর নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন একাধিক ডিসি।

তাঁরা পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩-এর ‘৭৫/এ’ ধারা উল্লেখ করে বলেছেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিবছর জানুয়ারিতে জেলায় কর্মরত পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে তাঁর সাধারণ মূল্যায়ন বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দেবেন। বিভাগীয় কমিশনার সেই প্রতিবেদনে নিজের মতামত যুক্ত করে তা পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে।

গাইবান্ধার ডিসি চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেছেন, অনেক আগে থেকেই জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রধান দায়িত্ব। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে মূলত পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের সার্বিক আচার-আচরণ ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিফলিত হয়—এমন বার্ষিক প্রতিবেদন বিধানসংবলিত পুলিশ প্রবিধানের ধারাটি কার্যকর নেই। এ কারণে প্রায়ই সরকার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

সাতক্ষীরার ডিসি মোস্তাক আহমেদ প্রস্তাবে লিখেছেন, জেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি। উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর ডিসি ও ইউএনওদের কোনো দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি ডিসি ও ইউএনওদের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

গত ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘জনপ্রশাসনের সংস্কারকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে যৌথভাবে যৌথ প্রতিবাদসভা করেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। সেখানেও তারা পুলিশের এসিআর দেওয়ার দাবি জানান।

জানা গেছে, সামরিক শাসনকালে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ডিসিদের প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি অকার্যকর হয়ে যায়। এটি চালু করা নিয়ে পুলিশের আপত্তি রয়েছে। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি। প্রতি মাসে কমিটির সভা হয়। তবে সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যান না জেলার এসপি। তার বদলে নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, জেলা প্রশাসন নির্বাহী বিভাগের অধীন, পুলিশও তেমন। একটি নির্বাহী বিভাগ কেন আরেকটি নির্বাহী বিভাগের কাছে জবাবদিহি করবে। এই জবাবদিহি হওয়া উচিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অথবা বিচার বিভাগের কাছে।

পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ কমিটিতে ডিসির প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তত দুজন ডিসি। মাগুরার ডিসি অহিদুল ইসলাম বলেছেন, নিয়োগটি স্থানীয়ভাবে হয়ে থাকে। তাই সেই নিয়োগে ডিসির প্রতিনিধি থাকলে নিয়োগপ্রক্রিয়া অধিকতর স্বচ্ছ, ফলপ্রসূ ও গ্রহণযোগ্য হবে। এ ছাড়া পিআরবি ও ১৯৪৩ সালের পরিদর্শক ও এর নিচের পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যের সক্ষমতা ও পারফরম্যান্স দেখার দায়িত্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারভুক্ত। একই ব্যাখ্যা তুলে ধরে প্রস্তাব করেছেন মানিকগঞ্জের ডিসি ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা।

ডিসির অধীনে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি বিশেষ ডিটেক্টিভ ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন মাগুরার ডিসি অহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ধরনের ফোর্স থাকলে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সুরক্ষা পাওয়া যাবে। এ ধরনের তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিদ্যমান বিভিন্ন বাহিনীর সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে  প্রস্তুতি নিতে সময়ক্ষেপণ হয়।

তিনি অপরাধ ডেটাবেইস ও এনআইডি ডেটাবেইস সার্ভারে ডিসি ও ইউএনওদের প্রবেশাধিকারের প্রস্তাব করেছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ডিসি ও ইউএনওরা। তাঁদের এ ক্ষমতা দেওয়া হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ইউএনওদের বাসভবন ও শারীরিক নিরাপত্তায় অঙ্গীভুত আনসারের বদলে সার্বক্ষণিক ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য নিয়োগের প্রস্তাব করেছেন মাগুরার ডিসি।

উপজেলার সরকারি বাসা বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠন করার প্রস্তাব করেছেন পিরোজপুরের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান। তিনি বলেছেন, বর্তমানে সরকারি বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদস্যসচিব উপজেলা প্রকৌশলী। উপজেলায় বিদ্যমান সরকারি বাসা-বাড়ি ও ভবনাদি ব্যবস্থাপনা টেকসইভাবে কার্যকর করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিলে কার্যক্রম বেগবান হবে।

এ ছাড়া জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন অনেক ডিসি। পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব-মেশিনগান (এসএমজি), ৯ এমএম পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন সিলেটের ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি বলেন, জনবিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্র ও ছররা গুলি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, ছররা গুলিও মানবদেহে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুন
মেট্রোরেলে একদিনে সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড

মেট্রোরেলে একদিনে সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড

 

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কর্তব্যরত অবস্থায় বাধ্যতামূলকভাবে তাদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন সিলেটের ডিসি। এ ছাড়া সার্কিট হাউস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ডিসির বাসভবনকে কেপিআই (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন) ঘোষণা করা এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বগুড়ায় সিটি করপোরেশন করা ও উড়োজাহাজের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর সুপারিশ করেছেন সেখানকার ডিসি হোসনা আফরোজা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দেশকে এগিয়ে নিতে ঈদুল ফিতরের বার্তা ধারণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশকে এগিয়ে নিতে ঈদুল ফিতরের বার্তা ধারণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের বার্তা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমরা একে অপরের কাছাকাছি যেতে পারি, আমাদের দূরত্ব কমিয়ে আনতে পারি, দেশ ও সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ, এবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অর্জন করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে এই বার্তা মনে রাখতে হবে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে (সিএও) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের প্রতি সহনশীল হব, আমরা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলব। এর মাধ্যমে একটি সমাজে শান্তি ফিরে আসে। বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এখন জরুরি এবং এটি প্রতিদিন আমাদের মনে রাখতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা (জনগণ) দেশে শান্তি চান যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের দিন কাটাতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের মঙ্গল কামনা করি এবং আমরা দেশ ও সারা বিশ্বের জন্য শান্তি কামনা করি’। 

ঈদের বার্তা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ঈদ জাতি এবং তার জনগণকে পরিশুদ্ধ করার একটি অনন্য দিন, যাতে তারা সকল দূরত্ব এবং সকল পার্থক্য কাটিয়ে তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে পারে।

তিনি বলেন, জাতির সেই ঐক্য দরকার, বিশেষ করে এই সময় যখন আমরা আমাদের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই ঐক্য গড়ে তুলতে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সবার সাহায্য কামনা করেন।

এ সময় উপদেষ্টাবৃন্দ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, কূটনীতিক, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য, সংস্কার কমিশনের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস’র।

মন্তব্য

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গভবনে নানা শেণি পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (৩১ মার্চ) বঙ্গভবনের লনে অনেকের সঙ্গে ঈদের নামাজে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। এর আগের ঈদগুলোতে নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহে যেতেন রাষ্ট্রপতি।

নামাজ শেষে সকাল ১০টায় সবার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

এসময় সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা।

ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেনসহ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল মো. নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নরুল ইসলাম, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টির মহাসচিব দিলীপ দাস ও জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা, যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামদানসহ বিভিন্ন মিশন প্রধান ও কূটনীতিকরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এদিন বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদুল ফিতরে ড. ইউনূসকে মোদির বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদুল ফিতরে ড. ইউনূসকে মোদির বার্তা
বাঁ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি : কোলাজ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বার্তা পাঠিয়েছেন।

এতে তিনি বলেছেন, ‘পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পরপরই ঈদুল ফিতরের আনন্দময় মুহূর্ত এসেছে। এ উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

পবিত্র রমজান মাসে ভারতের ২০ কোটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী সারা বিশ্বের মুসলমান ভাই-বোনদের সঙ্গে রোজা ও প্রার্থনায় ব্রত হন।

‘ঈদুল ফিতরের আনন্দময় উপলক্ষ উদযাপন, প্রতিফলন, কৃতজ্ঞতা এবং ঐক্যের প্রতীক। এটি আমাদের করুণা, উদারতা এবং সংহতির মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়; যা জাতি এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে আমাদের একত্র করে।’

এই শুভ উপলক্ষে আমরা বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য এবং সুখ কামনা করি। আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হোক।

মহোদয়, আমার সর্বোচ্চ অভ্যর্থনা গ্রহণ করুন।’

মন্তব্য
আরেক পাশে ছিলেন বিকল্প ইমাম

ইমামের অনুরোধেই ঈদ জামাতে সামনে আসেন আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইমামের অনুরোধেই ঈদ জামাতে সামনে আসেন আসিফ মাহমুদ
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাতারে দাঁড়ানোর দৃশ্যের ছবি এবং একদিক থেকে করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তবে ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক রিউমর স্ক্যানার বলছে, ঈদের নামাজের ইমামের পেছনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ একাই দাঁড়াননি। ইমামের আরেক পাশে পেছনে দাঁড়ান ওই জামাতের বিকল্প ইমাম।

অনেকের প্রশ্ন, এটা ইসলামের তথা নামাজের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় কি না।

কেউ কেউ বলছেন, আগের কাতার পূরণ করেই পরের কাতারে দাঁড়ানোর নিয়ম।

আরো পড়ুন
খুলনার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

খুলনার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

 

প্রচারিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইমামের ঠিক পেছনে আলাদা একটি কাতারে দাঁড়িয়েছেন আসিফ। প্রচারিত ভিডিওতে এই কাতারে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলেই আলোচনার সূত্রপাত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এই জামাতে আজ ইমামতি করেন কারি গোলাম মোস্তফা এবং বিকল্প ইমাম হিসেবে সঙ্গে ছিলেন মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আজহারি।

রিউমর স্ক্যানার এসংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে বের করে সেটি বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, আসিফ শুরুতে অন্য মুসল্লিদের সঙ্গে প্রথম কাতারেই দাঁড়িয়েছিলেন। নামাজ শুরুর আগে ইমাম সাহেব নামাজের জন্য সবাইকে দাঁড়াতে বলেন। বিকল্প ইমাম মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আজহারি তখন ইমামের হাতের ডান পাশে একটু পেছনে দাঁড়ান।

মাইকে প্রথম কাতার থেকে যেকোনো একজনকে ইমামের বাঁ পাশে একটু পেছনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। কয়েকজনের পরামর্শে আসিফ সামনে এসে দাঁড়ান।

অর্থাৎ ভিডিও দেখে এটা নিশ্চিত যে আসিফ শুরুতেই নতুন কাতারটিতে এসে দাঁড়াননি। ইমামের আহ্বানে এবং পরবর্তীতে অন্যদের পরামর্শে এসে দাঁড়ান।

এমনটি কেন করা হলো সে বিষয়ে জানতে রিউমর স্ক্যানার কথা বলেছে বিকল্প ইমাম (যিনি উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে একই কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন) মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আজহারির সঙ্গে।

তিনি জানান, ‘ইমাম সাহেবের সঙ্গে বিকল্প ইমাম সাহেব দাঁড়াবেন। এক পাশে দাঁড়ালে অন্য পাশে খালি থাকে। পেছনে জায়গা হচ্ছিল না বিধায় সামনে আরেকজন আসতে হয়। তখন প্রশাসক মহোদয় মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়কে সামনে আসার অনুরোধ করেন। উনি সামনে আসেন।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ