শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘ : গুতেরেস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘ : গুতেরেস
সংগৃহীত ছবি

পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের শান্তি ও সংলাপ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে জাতিসংঘ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা, কারণ এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের নেতৃত্বে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং আমি জানি জনগণ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধির এক নতুন ভবিষ্যতের আশায় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক সন্ধিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।

সংবাদ সম্মেলনের আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, রাজনৈতিক দল, তরুণসমাজ ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন এবং জনগণের সংস্কার ও আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, রমজান মাস মানবতার সর্বজনীন মূল্যবোধ-সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও উদারতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় আর বাংলাদেশ শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে এই মূল্যবোধগুলোর প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় ইইউও : সিইসি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় ইইউও : সিইসি
সংগৃহীত ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচন দেখতে চায়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে তাদের কোনো দ্বিমত নেই। রবিবার (১৬ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন

আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার

আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ‘উনারা (ইইউ) মূলত জানতে চেয়েছিলেন যে, আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি কী আছে। আমরা যা যা করছি তাদের জানিয়েছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতির সকল কিছু জানিয়েছি।

তারা জানতে চেয়েছিলেন, ভোটের বাজেট কত, টাকা পয়সা ঠিকমত আছে কি না, অসুবিধা কোনো রকম আছে কি না। আমরা বলেছি, আমাদের টাকা-পয়সার কোনো অসুবিধা নেই। সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছি।’

সিইসি বলেন, ‘উনারা আমাদের সাহায্য করতে চান।

আমাদের কী প্রয়োজন সেটা জানতে চান। আমরা বলেছি, ইউএনডিপি ইতোমধ্যে একটা নিড এসেসমেন্ট করেছে। একটা টিম পাঠিয়েছিল তারা। তারা সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ উন্নয়নে সহায়তা করতে চায়।
তারা আগামী মাসে একটা কর্মশালা করবে। সেখানে সিভিল সোসাইটি থাকবে। আমরা পোলিং এজেন্ট, ভোটার এডুকেশন ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে চেয়েছে।’

আরো পড়ুন

ব্যাটারি ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১ জনের মৃত্য, আহত ৩

ব্যাটারি ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১ জনের মৃত্য, আহত ৩

 

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের একটা নির্বাচন উনারা দেখতে চান। আমরা তো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে আমাদের দ্বিমত নাই। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযেগ্য নির্বাচন চান, যেটা আমাদেরও ওয়াদা। এটা আমরাও চাই। নিরপেক্ষভাবর আমরা কাজ করব, এটাতো আমরা ঘোষণা দিয়েছি। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি। এমন কোনো দিন আছে যে, আমাদের কেউ কথা বলছে না আপনাদের সঙ্গে৷ তো এটা আসলে কী বোঝায়, আমরা কোনো লুকিয়ে ছাপিয়ে করছি না। আমরা যা করছি একদম স্বচ্ছতার সঙ্গে। আশা করছি সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে পারব।’

আরো পড়ুন

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে যা হয়েছে ভুলে যান। এটা বর্তমান। দয়া করে কনফাইন টু দি কারেন্ট সিচুয়েশন। আমরা তো কাজ করব না এটাতো বলিনি কোথাও। অতীতের কথা ভুলে যান, সবাই যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে পরিবেশ আমরা তৈরি করে দেব ইনশাআল্লাহ।’

মন্তব্য

আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার
সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচজনের যাবজ্জীবনের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

রায় প্রকাশের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শহিদ আবরারের বাবা ও ভাই। এ সময় ছোট ভাই বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বড় ভাই হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য হতাশার। কারণ আমরা অপেক্ষায় আছি কবে রায় কার্যকর হবে। সেখানে হঠাৎ করে জানতে পারি, ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে গেছে এবং হত্যার সময় যে রুমে ছিল সে-ই পালিয়েছে।

আর পালিয়ে যাওয়ার পর কেন বিষয়টি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, সেটার উত্তর আমরা জানি না।’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’

অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এস এম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

মন্তব্য

ট্রেনের টিকিট কাটতে ৩০ মিনিটে ৯৮ লাখ হিট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রেনের টিকিট কাটতে ৩০ মিনিটে ৯৮ লাখ হিট

ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য গত ১৪ মার্চ অনলাইনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার বিক্রি হচ্ছে আগামী ২৬ মার্চের টিকিট। আজ প্রথম ৩০ মিনিটে সারা দেশে প্রায় ২৬ হাজার আসন বিক্রি হয়েছে। এ সময় রেলেওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে মোট ৯৮ লাখ হিট করেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।

 

রবিবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।  

আরো পড়ুন
রায়ে সন্তুষ্ট আবরারের বাবা, দ্রুত কার্যকরের দাবি

রায়ে সন্তুষ্ট আবরারের বাবা, দ্রুত কার্যকরের দাবি

 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর আসন সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৬৩টি। এর মধ্যে সকাল ৮টা থেকে প্রথম ৩০ মিনিটে পশ্চিমাঞ্চল ট্রেনগুলোর ১১ হাজার ৩০০টি আসন বিক্রি হয়। আর সারা দেশে বিক্রি হয় ১৪ হাজার ৪৪৪টি।

প্রথম ৩০ মিনিটে ঢাকাসহ সারা দেশে মোট টিকিট বিক্রি হয় ২৫ হাজার ৭৪৪টি।

সূত্র জানায়, ২৬ মার্চের জন্য ঢাকা থেকে ট্রেনের মোট আসন ২৬ হাজার ৬৫১টি এবং সারা দেশের সব ট্রেনগুলোর মোট আসন এক লাখ ৪০ হাজার ৮৫৬টি।

মন্তব্য

রায়ে সন্তুষ্ট আবরারের বাবা, দ্রুত কার্যকরের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রায়ে সন্তুষ্ট আবরারের বাবা, দ্রুত কার্যকরের দাবি
সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এই রায় দেন। 

হাইকোর্টের এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট।

এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’ রোববার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী,সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন।

আদালত কক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ 

অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এস এম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ