ট্রেনে ঈদ যাত্রা : ২৭ মার্চের টিকিট মিলছে আজ

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
ট্রেনে ঈদ যাত্রা : ২৭ মার্চের টিকিট মিলছে আজ
ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার চতুর্থ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এদিন আগামী ২৭ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

দুপুর ২টায় মিলবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। 

এবারের ঈদ যাত্রায় টিকিটের ১০০ শতাংশ বিক্রি অনলাইনে হবে। পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার্থে আলাদা সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

রেল মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৬ মার্চ মিলবে ২৬ মার্চের টিকিট, ১৭ মার্চ পাওয়া যাবে ২৭ মার্চের টিকিট।

এ ছাড়া ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ, ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া চাঁদ দেখার ওপর ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। 

ঈদ যাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে ঈদ যাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাত বাংলাদেশ রেলওয়ে।

কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে পাঁচ জোড়া করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মায়ানমারের দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে ঘরে ফিরছেন ১৮ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মায়ানমারের দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে ঘরে ফিরছেন ১৮ বাংলাদেশি
সংগৃহীত ছবি

মানবপাচারের শিকার হওয়া ১৮ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন আজ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে থাইএয়ারওয়েজ (TG-339) একটি বিমানে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। মায়ানমারের ভয়ংকর স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ছিলেন তারা। অবশেষে সেই দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে ঘরে ফিরছেন ১৮ বাংলাদেশি।

 

জানা যায়, চাকরি ও ভালো ভবিষ্যতের প্রলোভনে ফেলে মানবপাচারকারীরা তাদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। এরপর মায়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বিক্রি করে দেয়। সেখানে তাদের দিয়ে জোরপূর্বক সাইবার অপরাধমূলক কাজে বাধ্য করা হতো। আর প্রতিদিন তারা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতেন।

আরো পড়ুন
পরকীয়ার অপবাদ, শিশু কন্যাকে নিয়ে না ফেরার দেশে মা

পরকীয়ার অপবাদ, শিশু কন্যাকে নিয়ে না ফেরার দেশে মা

 

অবশেষে ভুক্তভোগীদের পরিবার, ব্র্যাক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সেই দুঃসহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলছে। আজ রাতে তারা মাতৃভূমিতে ফিরবেন। 

যারা দেশে ফিরছেন তারা হলেন ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম রিফাত, আলিফ ইমরান, মোহাম্মদ রায়হান সুবহান, এস কে আরমান, পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, নাজিম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আহাম্মেদ রাফি, তাইনুর খলিলুল্লাহ, সায়মন হোসেন আবির, উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান শান্ত, মোহাম্মদ কায়সার হোসেন, শাহ আলম ও আকাশ আলী।

মন্তব্য

পুলিশে পদোন্নতি, ১২৯ এসআই হলেন ইন্সপেক্টর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুলিশে পদোন্নতি, ১২৯ এসআই হলেন ইন্সপেক্টর
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) থেকে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১২৯ কর্মকর্তা।

আজ মঙ্গলবার তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

প্রজ্ঞাপনগুলো থেকে জানা গেছে, সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (নিরস্ত্র) থেকে ইন্সপেক্টর অব পুলিশে (নিরস্ত্র) পদোন্নতি পেয়েছেন ৬২ জন, সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (সশস্ত্র) থেকে ইন্সপেক্টর অব পুলিশে (সশস্ত্র) পদোন্নতি পেয়েছেন ৩৩ জন এবং পুলিশ সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর অব পুলিশে (শহর ও যানবাহন) পদোন্নতি পেয়েছেন ৩৪ জন কর্মকর্তা।

মন্তব্য

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি

সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঐকমত্য কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশনের কাজ শুরু হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে চাওয়া হয়। সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হলেও মাত্র ১৫টি রাজনৈতিক দলের থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।

মন্তব্য

ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে ১৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে ১৬ নির্দেশনা
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে হাসপাতালগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, জরুরি অস্ত্রোপচার, পরীক্ষাগার চালু থাকবে ঈদের ছুটিতেও।

আজ মঙ্গলবার অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনাগুলো হলো-

(১) জরুরি বিভাগে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়নের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

(২) জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি, ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

(৩) কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।

(৪) প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করতে পারবেন।

(৫) সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে ঈদের ছুটিকালে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করা যাবে।

(৬) হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন তাদের বিভাগীয় কার্যক্রম তদারক করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অন কল সেবা চালু রাখতে হবে।

(৭) ছুটি শুরু হওয়ার আগেই পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-অ্যাজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটি চলাকালে দায়িত্ব পাওয়া স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন।

(৮) অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

(৯) ছুটি চলাকালে হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগামপত্র দিতে হবে।

(১০) ছুটি চলাকালে সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

(১১) প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটি কালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।

(১২) প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকর্তা সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

(১৩) প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

(১৪) বহির্বিভাগ একাধারে ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন।

১৫) ক) বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতালকে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে সার্বক্ষণিক জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখতে হবে।

খ) কোনো রোগী রেফার করার আগে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা এবং যাত্রাপথের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

গ) রেফার্ড রোগীরা যাতে অ্যাম্বুলেন্স পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।

(১৬) যেকোনো দুর্যোগ, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ