ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি ক্যাংলেটের।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎকালে তারা ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। 

তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরো দৃঢ় করতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় কৃষি ও শিক্ষার মতো সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয় এবং উভয় পক্ষ ফিলিপাইন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে।

রাষ্ট্রদূত নিনা পি কেইনলেট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস ও ফিলিপাইনের জনগণের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছে পাকিস্তানের এনগ্রো

বাসস
বাসস
শেয়ার
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছে পাকিস্তানের এনগ্রো
বৃহস্পতিবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের এনগ্রো হোল্ডিংসের সিইও আব্দুল সামাদ দাউদ। ছবি: পিআইডি

পাকিস্তানের এনগ্রো হোল্ডিংসের সিইও আব্দুল সামাদ দাউদ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা।

সাক্ষাতকালে এনগ্রো সিইও বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কম্পানির কার্যক্রম প্রসারের ইচ্ছা জানান।

সামাদ দাউদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

পাশাপাশি ভোলার গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে শিল্পখাতের বিকাশে অংশগ্রহণের সুযোগও আমরা দেখছি।’

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে টেকসই এবং ভবিষ্যতমুখী অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে মনোযোগ দিতে চাই, যা আমাদের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।’

বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দাউদ চারদিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘বিডা সামিটে এক মানবিক ছোঁয়া ছিল— এটি আন্তরিক, স্বাগতপূর্ণ এবং লক্ষ্যনির্ভর মনে হয়েছে। এক ছাদের নিচে এত শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিকে দেখে আমি অভিভূত।’

অধ্যাপক ইউনূস এনগ্রোর নেতৃত্বকে বাংলাদেশে আবার আসার আমন্ত্রণ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সুযোগ দেখার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাকে আবার আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ অনেক কিছু দিতে পারে— শুধু বিনিয়োগকারীদেরই নয়, পুরো বিশ্বকে।’ 

সাক্ষাতকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে, প্রত্যাশা আমিরাত প্রেসিডেন্টের

আমিরাত প্রতিনিধি
আমিরাত প্রতিনিধি
শেয়ার
ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে, প্রত্যাশা আমিরাত প্রেসিডেন্টের
ছবি : আবু ধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের সৌজন্যে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের পরিচয়পত্র দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পেশ করা হয়। এ সময় শেখ মোহামেদ এ কথা বলেন।

আবু ধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের উদ্যোগে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্রও পেশ করা হয়। এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সুযোগে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সদয় অনুভূতির জন্য রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তুলে ধরার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ, দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তিতে চলমান সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ পূণর্ব্যক্ত করেন।

উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি কামনা করে শেখ মোহামেদ সাগ্রহে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে বানবে।

তিনি একইসঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের স্বার্থের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রতি তার আগ্রহও জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তিনি তাঁর শুভকামনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।

মন্তব্য

আজাদ পরিবারে আ. লীগের ‘চেরাগ’, সম্পদের পাহাড়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজাদ পরিবারে আ. লীগের ‘চেরাগ’, সম্পদের পাহাড়
আবুল কালাম আজাদ। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ আমলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজনীতি ছিল সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালাম আজাদ পরিবারের হাতে জিম্মি। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদও অর্জন করেছে পরিবারটির সদস্যরা। নানা অপকর্মে জড়িত আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে দেবিদ্বারের বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একটি ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নুরুল ইসলাম।

২০১৬ সালের আগস্টে তিনি বরকামতা ইউপির চেয়ারম্যান হন।

এরমধ্যে ২০২১ সালে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নুরুলের ছেলে আবুল কালাম আজাদ চেয়ারম্যান হন। অন্যদিকে, ২০২২ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান হন নুরুল।

২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে সংসদ নির্বাচন করে সংসদ সদস্য (এমপি) হন আবুল কালাম আজাদ।

২০২৪ সালের ২৯ মে তাঁর ভাই মামুনুর রশিদ দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ আমলের শেষ চার বছরে নুরুল ইসলামের পরিবার থেকে প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান, তারপর সংসদ সদস্য এবং সবশেষে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।

এভাবে দেবিদ্বারে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয় আজাদ পরিবার। নানা অপকর্মে জড়িয়ে তারা হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে।

আজাদের হাত থেকে দলীয় নেতাকর্মীরাও বাদ যাননি। তাদের ওপরও দমন-পীড়ন করেন আবুল কালাম আজাদ।

গেল বছর ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভা শেষে আজাদের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়িতে হামলা হয়। ওই হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজীবসহ আরো কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘটনায় জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে আজাদকে অব্যাহতি দেয় আওয়ামী লীগ।

এদিকে, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হামলার একাধিক মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই মামুনুর রশিদ। আন্দোলন চলাকালে আব্দুর রাজ্জাক রুবেল নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ, তার ছোট ভাই মামুনুর রশীদসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২০ আগস্ট কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামাল হোসেনের আদালতে মামলা হয়।

এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালে দেবিদ্বার সরকারি কলেজ রোডে সশস্ত্র হামলা ও কুপিয়ে আবু বকর নামে এক তরুণকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আজাদ ও মামুনুরসহ ৭৩ জনের নামে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতে ৫ সেপ্টেম্বর মামলা হয়।

জানা গেছে, নামে-বেনামে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন আবুল কালাম আজাদ। নামসর্বস্ব কম্পানি ঢাকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজাদ অবৈধ টাকার বিনিময়ে এমপি হয়েছিলেন। একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনেরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

দুর্নীতির টাকায় রাজধানীর গুলশান, বনানী এবং উত্তরা এলাকার অভিজাত স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট কিনেছেন আজাদ। সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নিজের অপকর্ম ঢেকে রাখতেন তিনি।

মন্তব্য

বীর উত্তম এ কে খন্দকারের নামে বিমান ঘাঁটির নামকরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের নামে বিমান ঘাঁটির নামকরণ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটির নাম ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার’ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা সেনানিবাসস্থ কুর্মিটোলার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নামকরণ করা হয়।

ঘাঁটির নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আইএসপিআর জানায়, বিমান বাহিনী প্রধান বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

আরো পড়ুন
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার

 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর এবং জাতির ইতিহাসের এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমের বীরত্ব গাথা অবদানের জন্য ওই ঘাঁটির পুনঃ নামকরণ করা হয়েছে।

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না; ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও। যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয়সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। 

স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এবং এই বাহিনীর উন্নয়নে অতুলনীয় ভূমিকা রাখার জন্য তাঁর নামে এই ঘাঁটির নামকরণ করে তাঁকে এবং তাঁর উত্তরাধিকারীগণকে সম্মান জানানো হয়।

 

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে  ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।  এছাড়াও, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’ এ ভূষিত করে।

নামকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, বীর উত্তমের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধানগণ, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এর এয়ার অধিনায়ক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য পদবির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ