জিভ ছাড়া কোনো কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা অসম্ভব। জিভ না থাকলে আমাদের খাওয়ার ৮০ শতাংশ মজাই নষ্ট হয়ে যেত। কেবল স্বাদ গ্রহণের জন্যই কিন্তু নয়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জিভ দেখেই কিন্তু বলে দেওয়া যাবে শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধছে। সেই কারণেই আমরা কোনো কারণে ডাক্তারের কাছে গেলেই দেখবেন প্রথমেই জিভ দেখাতে বলেন।
জিভের ধরন বলে দেবে রোগের লক্ষণ
অনলাইন ডেস্ক

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুখে। মুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে জিভে। তাই, সুস্থ থাকতে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
নোংরা জিভ পেট খারাপের কারণ হতে পারে।
যদি জিভ খুব নরম হয়, তাহলে তা শরীরে আয়রনের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। এমনকি রক্তাল্পতার শিকার হতে পারেন আপনি। আবার ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও জিভের হাল খারাপ হতে পারে।
খেয়াল করে দেখবেন অনেকের জিভে ফাটল থাকে। এটি কিন্তু মোটে ভালো লক্ষণ নয়। কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা যায়। এমন কিছু দেখলে একে অবহেলা করবেন না।
মুখের স্বাস্থ্যবিধির জন্য জিভ পরিষ্কার করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া জিভে বাস করে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াসমূহ মুখে বাসা বাঁধতে পারে না।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
সম্পর্কিত খবর

যক্ষ্মা হলে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে যাবেন

যক্ষ্মা একটি জটিল রোগ। পুরো দেহের জন্য এটি একটি লড়াই। এই লড়াইয়ে শুধু অ্যান্টিবায়োটিক নয়, খাবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং সুস্থ হতে সাহায্য করে।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা যক্ষ্মারোগীকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে।
১। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার:
চর্বিহীন মাংস (মুরগি, টার্কি, মাছ)
ডাল (মসুর, মটরশুঁটি, ছোলা)
ডিম
দুগ্ধজাত পণ্য (কম চর্বিযুক্ত দুধ, দই, পনির)
বাদাম ও বীজ
২। ফল এবং শাকসবজি :
পাতাযুক্ত সবুজ শাক (পালং শাক, পুঁইশাক)
সাইট্রাস ফল (কমলা, জাম্বুরা, লেবু)
বেরি (ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি)
মিষ্টি আলু
গাজর
৩।
বাদামি ভাত
গমের রুটি ও পাস্তা
ওটস
৪। স্বাস্থ্যকর চর্বি :
চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, সার্ডিন)
বাদাম ও বীজ
৫। তরল :
পানি
ভেষজ চা
স্যুপ (সবজি, মুরগির মাংস বা হাড়ের ঝোল)
যক্ষ্মা রোগে যে খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত—
প্রক্রিয়াজাত ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার,
তেলেভাজা খাবার,
বেকড পণ্য (কুকিজ, কেক, পেস্ট্রি্),
চিনিযুক্ত পানীয় ও স্ন্যাকস,
প্রক্রিয়াজাত মাংস (বেকন, সসেজ),
অ্যালকোহল,
ক্যাফেইন,
কাঁচা বা কম রান্না করা খাবার।
সূত্র : কেয়ার হসপিটাল

ঘুম না পেলেও বারবার হাই ওঠে? কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
অনলাইন ডেস্ক

হাই তোলা খুবই সাধারণ বিষয়। আলাদা করে কখনো হাই তোলা নিয়ে ভাবার অবকাশ হয়নি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের হাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ।
মানুষ হাই তোলে কেন
সাধারণত ঘুম পাওয়া অথবা একঘেয়ে লাগার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয় হাইকে।
হাইয়ের সঙ্গে রোগের সম্পর্ক
খুব স্বাভাবিক ও নিরীহ মনে হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাই তোলার অর্থ বেশ জটিল হতে পারে। কোনো শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে এটি। হার্টের রোগ থেকে শুরু করে মানসিক রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা হয় ঘটনাবিশেষে।
দিনে-রাতে সারা ক্ষণ বা ঘন ঘন হাই তোলা নিয়ে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা আরো জানান, অন্যান্য উপসর্গ, যেমন অবসাদ, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরার পাশাপাশি যদি ঘন ঘন হাই ওঠে, তবে তা জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।
ঘন ঘন হাই তোলার কারণ কী
ঘুমের অভাব, বিরক্তি বা ক্লান্তি, হৃদরোগ, স্নায়ুর রোগ, আয়রনের ঘাটতি, ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। যদিও বিরল, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হাই তোলা মস্তিষ্কের টিউমারের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে মনে করা হয়। স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ফুসফুসের সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে।
আয়রনের ঘাটতির সঙ্গে হাই কিভাবে সম্পর্কিত
রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য শরীরে সঠিক পরিমাণ আয়রনের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। কিন্তু যেই মুহূর্তে শরীরে আয়রনের অভাব ঘটে, অক্সিজেন ঠিক মতো সরবরাহ করতে পারে না শরীর। আর এই বার্তাই গিয়ে পৌঁছায় মস্তিষ্কে। সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক হাই তুলে তুলে শরীরকে সংকেত পাঠায় যে আয়রনের পরিমাণ কমে গেছে। হাই তোলার মাধ্যমে বেশ খানিক পরিমাণ অক্সিজেন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে।
ঘন ঘন হাই তোলা রোধে কী করবেন
এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেওয়া যায়। নিয়মিত ঘুমের রুটিন মেনে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হওয়ার দরকার প্রতিদিন। এ ছাড়া শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করতে পালং শাক, আপেল খেতে হবে। এগুলোর ফলে শরীরে আয়রন বৃদ্ধি হয়। অক্সিজেন সরবরাহ থেকে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার

ক্যান্সার প্রতিরোধী সবুজ ক্যাপসিকাম
জীবনযাপন ডেস্ক

সবুজ ক্যাপসিকাম পুষ্টিতে ভরপুর একটি সবজি। এই সবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নেই সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা।
সবুজ ক্যাপসিকাম নানা গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস।
ভিটামিন সি: এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বি-৬: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। স্নায়বিক সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
ভিটামিন ই: কোষের সুরক্ষা করে ও বয়সজনিত ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সবুজ ক্যাপসিকামে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
সবুজ ক্যাপসিকামে ক্যালোরি কম। তবে এটি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও জলীয় উপাদান সমৃদ্ধ। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধার অনুভূতি কমায়।
সবুজ ক্যাপসিকামে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে এবং হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমায়।
সবুজ ক্যাপসিকামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ভিটামিন সি ও ই ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। ভিটামিন বি-৬ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
সূত্র : আজতাক বাংলা

লিভারের ক্ষতি করে যেসব খাবার
জীবনযাপন ডেস্ক

মানবদেহের জন্য লিভার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে সেগুলো লিভারের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি খাবারগুলো আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলো কী কী।
মদ
প্রচুর পরিমাণে মদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মদ লিভারের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া মদ ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই আগেই সতর্ক হয়ে যান।
ভাজা খাবার
প্রতিদিন তেলে ভাজা খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমে। পরবর্তী সময়ে লিভারে চর্বি জমে যায়, যা ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে। এটি পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা সৃষ্টি করে লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ফাস্ট ফুড, কনফেকশনারি ও অতিরিক্ত লবণ বা চিনি জাতীয় খাবার লিভারের ওপর চাপ তৈরি করে।
কোল্ডড্রিংকস
প্রচুর পরিমাণে চিনি ও সোডা খাওয়া লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে লিভারে চর্বি জমতে পারে। কোল্ডড্রিংকস বা সোডা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি লিভারের বড় ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
লবণ
অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এটি লিভারের সমস্যা তৈরি করে এবং পেটে পানি জমে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
সূত্র : আজতাক বাংলা