<p>সারা দেশে অবরোধ চলছে। গাড়িতে আগুন লাগানো তো আছেই, পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ হচ্ছে প্রায়ই। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায়ই টিয়ার গ্যাস বা কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। কাঁদানে গ্যাস শুধু যে অবরোধ-হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করছে তা নয়, সাধারণ মানুষও এতে আক্রান্ত হচ্ছে।</p> <p>কাঁদানে গ্যাসের প্রভাবে চোখ ও ত্বকে জ্বালাপোড়া করে, শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হতে পারে, এমনকি দেখতেও সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই কাঁদনে গ্যাসের প্রভাব থেকে সহজে মুক্তি পেতে আপনাকে সতর্কতার পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।<br /> রাস্তাঘাটে বের হলে চশমা আর মাস্ক পরুন।</p> <p>এতে কাঁদানে গ্যাসের প্রভাব থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন।</p> <p>টিয়ার গ্যাসে আক্রান্ত হলে প্রথমেই খেয়াল করুন বাতাস কোন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাস যেদিকে প্রবাহিত হচ্ছে আপনিও সেদিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেলুন। এতে আপনার চোখ বাতাসের পেছন দিকে চলে যাবে, তাই সরাসরি কাঁদানে গ্যাস আপনার চোখে পড়বে না।</p> <p>এরপর আপনি কাঁদানে গ্যাস যে জায়গাটুকু ঘিরে ধরেছে, সেখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসুন।</p> <p>সম্ভব হলে দ্রুত ঠাণ্ডা পানির খোঁজ করুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ-মুখ ধুয়ে ফেলুন। টিয়ার গ্যাস ধোয়া পানি আবার গড়িয়ে আপনার দেহে না পড়ে সেদিকেও লক্ষ রাখুন। এ জন্য মাথা নিচু করে ঝুঁকে চোখ-মুখে পানি দিন।</p> <p>তবে ভুল করেও গরম পানি ব্যবহার করবেন না, হীতে-বিপরীত হতে পারে। কারণ গরম পানির স্পর্শে ত্বকের লোমকূপ বড় হয়ে যেতে পারে। তখন আরো বেশি করে টিয়ার গ্যাসের উপাদান শরীরের ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। </p> <p>ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুলেও ভুল করেও গোসল করবেন না এ সময়। তাহলে টিয়ার গ্যাসের ক্ষতিকর রাসায়নিক সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।</p> <p>সূত্র : পপুলার সায়েন্স</p>