<p>সময় কী? সময়ও আসলে স্থানের মতো কাল্পনিক বস্তু। যা কোনো ঘটনার ব্যাপ্তী পরিমাপে সহায়ক। স্থানের মতো এক সময় মনে করা হতো গোটা মহাবিশ্ব জুড়ে একটা কমন মহাজাগতিক সময় রয়েছে। ছোটখাট ঘটনাগুলি সেই বিশাল সময়ের একেকটি অংশ।</p> <p>সময়ের চমকপ্রদ ব্যপারটা হলো, এটা সবসময় সামনের দিকে চলে। আর সময় চলে বলেই বস্তুরা গতিশীল হয়, আর পৃথিবীতে-মহাবিশ্বে নানা ঘটনা ঘটে। ব্যাপারটা উল্টো করেও বলা যায়। বস্তুর গতি পরিমাপ করতে যে সহায়ক ব্যাপারটাকে আমরা কল্পনা করে নিই তাই সময়। আর এই সময় মহাহজাগতিক সময়ের একটা অংশ। কিন্তু এ সময়ের এই সংজ্ঞাও এখন বদলে গিয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্থান বলে কিছু নেই—পদার্থবিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729072601-901c70288d4892d9ab06670caa932a19.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্থান বলে কিছু নেই—পদার্থবিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/16/1435760" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সর্বকালের অন্যতম সেরা পদার্থবিদ আইজ্যাক নিউটন মনে করতেন, ঘটনা ঘটুক আর না ঘটুক মহাজাগতিক সময় তার নিজস্ব গতিতে চলছে। তাতে কোনো বস্তু গতিশীল হোক বা না হোক, কোনো ঘটনা ঘটুক আর না ঘটুক, মহাজাগতিক সময়, সবসময় সুষম গতিতে চলমান।</p> <p>কিন্তু স্থান ও কাল—এই দুটি ক্ষেত্রেই নিউটনীয় ধারণা পুরোপুরি গুড়িয়ে দেন আইনস্টাইন। তিনি দেখান, সময়ে গতি পরম নয়। স্থানও তেমন গোটা মহাশূন্য জুড়ে একটি মাত্র বিশাল জায়গা নয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="তরঙ্গ-ফাংশনের ভাঙন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729055562-3b82b6e2e9f62bcaac7bb7dfe0be9c18.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>তরঙ্গ-ফাংশনের ভাঙন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/16/1435698" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ফাংশনের</p> <p>বস্তুর গতিভেদে সময়ের তারতম্য। অর্থাৎ গতিশীল বস্তর ঘড়ি তুলনামূল কম গতির বা স্থির বস্তুর তুলনায় ধীরে চলে।<br /> বস্তুর গতি যত যত আলোর বেগের কাছাকাছি চলে তারজন্য সময় তত ধীরে চলে। </p> <p>এটা ছিল আইনস্টাইনের বিশেষ আপক্ষিকতা থেকে পাওয়া ফল। </p> <p>এখান বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া গেল, সময় সবার জন্য সমান বেগে চলে না। যে লোকটা পৃথিবী স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছে তার সময়, মহাকাযানে বসে দুরন্ত গতিতে চলমান নভোচারীর সময় একই গতিতে চলে না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভার্চুয়াল কণা আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728984263-6b270cb47b88bb972cfc2a02eec87d18.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভার্চুয়াল কণা আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435377" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দেখা গেল, পৃথিবীর লোকটা দীর্ঘ ত্রিশ বছর সময় কাঠিয়ে দিয়েছেন, সেই ত্রিশ বছরে নভোচারীর বয়স বেড়েছে মাত্র তিন বছর। ব্যাপারটা আজগুবি মনে হতে পারে, বাস্তবে কিন্তু সত্যি।</p> <p>এখন কেউ প্রশ্নই করতে পারেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাহলে এমন ঘটনা ঘটছে না কেন?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে বাতাস থাকে না কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728980499-48d0fdc715bc0b65ba85de46c79fde3e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে বাতাস থাকে না কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435359" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আগেই বলেছি, দুটি বস্তর মধ্যে গতির ব্যবধান যত বেশি হবে, তাদের মধ্যে সময়ে গতির পার্থক্যও তত বেশে হবে। যে লোকট বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন, তারচেয়ে সাইকেলে ভ্রমণ করা লোকটার সময় ধীর হবে। কিন্তু এই পার্থক্যটা খুব সামান্য হবে। তাই দৈনন্দিন জীবনে সময়ের পার্থ্যকটা অনুভব করা কঠিন। পার্থক্য বেশি পেতে হলে একজনকে প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে ভ্রমণ করতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জেমস ওয়েব আবিষ্কার করেছে সবচেয়ে শীতল এক্সোপ্ল্যানেট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728976196-272df6c5e8b16f4cd6b8a632444060c9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জেমস ওয়েব আবিষ্কার করেছে সবচেয়ে শীতল এক্সোপ্ল্যানেট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435342" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বলে রাখা জরুরি, মানুষের তৈরি সবচেয়ে গতিশীল মহাকাশযান হলো পার্কার সোলার প্রোব। যার গতি সেকেন্ডে মাত্র ১৬৩ কিলোমিটারের মতো। অন্যদিকে আলোর গতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, মোটা দাগে সময়ের পার্থক্য বোঝার মতো গতিশীল কোনো যানবাহন আমাদের হাতে নেই।</p> <p>তাই বলে কি প্রমাণ নেই, সময়ের এই ধীরগতিতে চলার ব্যাপারটার?</p> <p>আছে, বড়সড় বস্তুগুলো অতটা গতিতে ছুটতে না পারলেও, ইলেকট্রন প্রোটনের মতো খুদে কণিকারা ঠিকই সেকেন্ডে দুলাখ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। এদের থেকেই প্রমাণ মেলে সময় ধীর হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইস্পাতের চেয়েও শক্তিশালী মাকড়সার জাল? কিভাবে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728971158-3c1d313a6f3fd15fa61c6426360b5c03.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইস্পাতের চেয়েও শক্তিশালী মাকড়সার জাল? কিভাবে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435321" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মহাজাগতিক রশ্মি থেকে প্রতিদিন ঝাঁক ঝাঁক মিউয়ন কণা ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। মিউয়ন হলো ঋণাত্মক চার্জধারী এক ধরনের কণা। যার চার্জ -১, অর্থাৎ ইলেকট্রনের সমান, ভর ইলেকট্রনের চেয়ে বেশ খানিকটা বেশি। কিন্তু এই কণাগুলোর আয়ু মাত্র ৩ মাইক্রোসেকেন্ড। এরমধ্যেই কণাটি ভেঙে ভর হারিয়ে একেবারে আসল ইলেকট্রনের সমান হয়ে যায়। কিন্তু মহাকাশের যেখানে এই কণাটির জন্ম হয় এবং এর যা গতি, তাতে কিছুতেই এর পক্ষে পৃথিবীতে পৌঁছেুনো সম্ভব নয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পৃথিবী কেন ঘুরছে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728968875-c61c2049f35221e19871eac8849e47e0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পৃথিবী কেন ঘুরছে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435316" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পৃথিবীতে আসার বহু আগে ভেঙে ইলেকট্রনে পরিণত হওয়ার কথা। তারপরও প্রচুর মিউয়ন পৃথিবীতে পৌঁছুতে পারে, তার কারণ এরা আলোর বেগের প্রায় কাছাকাছি বেগে ছুটে আসে। তাই এদের সময় ধীরে চলে। ওদের জন্য যেটা ৩ মাইকোসেকেন্ড আসলে আমাদের কয়েক মিনিটের সমান। অর্থাৎ মিউওনেরা সময় ভ্রমণ করে পৃথিবী পৌঁছায়।</p> <p>সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট</p> <p><br />  </p>