<p>জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি বেশ কিছু নতুন গ্যালাক্সি আবিষ্কার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। নাসার এই স্পেস টেলিস্কোপ খুঁজে পেযেছে ১৩৪০ কোটি বছরের পুরোনো।</p> <p>অর্থাৎ এই গ্যালাক্সিগুলোর বয়স  মহাবিশ্বের বয়সের কাছাকাছি। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। সেই হিসেবে এই গ্যালাক্সিগুলোর জন্ম মহাবিশ্বের জন্মের মাত্র ৪০ কোটি বছর পর।</p> <p>জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড সেন্সরগুলো এই গ্যালাক্সিগুলো আবিষ্কার করেছে। এই সেন্সরগুলো বিশেষভাবে তৈরি। এগুলো অনেক দূরের আলোর আলোক শনাক্ত করতে সক্ষম।</p> <p>মহাবিশ্বের প্রাচীনতম গ্যালাক্সিগুলো থেকে আসা আলো এতটাই দুর্বল যে  অত্যন্ত শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়েও সেগুলো দেখা প্রায় অসম্ভব। তবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের শক্তিশালী ইনফ্রারেড প্রযুক্তি এই আলোকতরঙ্গ শনাক্ত করতে সক্ষম। </p> <p>নতুন আবিষ্কৃত এই গ্যালাক্সিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে নীল আলোর নক্ষত্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই নীল নক্ষত্রগুলো আসলে মহাবিশ্বের জন্মের প্রাথমিক দিকের নক্ষত্র বলে মনে করছেন গবেষকেরা।</p> <p>এই গ্যালাক্সিগুলোর খোঁজ পাওয়া মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও প্রাথমিক অবস্থার সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধ্যান-ধারণাকে আরো সমৃদ্ধ করছে। মহাবিশ্বের প্রথম তারকা ও গ্যালাক্সি কীভাবে গঠিত হয়েছিল এবং কীভাবে এর পরবর্তী গঠন তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে নতুন তথ্য জানাবে এগুলি।</p> <p>এই আবিষ্কার সম্পর্কে বিজ্ঞানী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সঙ্গে যুক্ত গবেষক লিসা ক্যালডওয়েল বলেন, ‘এই আবিষ্কার কসমোলজির জন্য বিশাল অগ্রগতি। মহাবিশ্বের প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যালাক্সির গঠন কেমন ছিল, সঠিকভাবে তা আমরা জানি না। এখন, জেমস ওয়েবের মাধ্যমেসে সময়ের কিছু ঝলক দেখতে পাচ্ছি।’</p> <p>এদিকে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যালেক্স কার্টার বলেন, ‘এই টেলিস্কোপটি আমাদের নতুন ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করতে সহায্য করছে। যেমন, এই প্রাচীন গ্যালাক্সিগুলো কি গ্রহ তৈরির উপাদান ধারণ করেছিল? এই ধরনের প্রশ্ন ভবিষ্যতে আরও গবেষণার দিকে পথ দেখাবে।’</p> <p>জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের এই আবিষ্কার মহাবিশ্বের আরো প্রাচীন গ্যালাক্সির সন্ধান পাওয়ার আশা জাগিয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন, মহাবিশ্বের প্রাচীনতম ও নিভৃততম স্থানে আরও অনেক গ্যালাক্সি লুকিয়ে আছে। সেগুলো হয়তো মহাবিশ্বের উৎপত্তির কাহিনীকে আরও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।</p> <p>সূত্র: সায়েন্স ডেইলি<br />  </p>