<p>কখনো কি খেয়াল করেছেন, কেউ হাসলে আশেপাশের মানুষও অজান্তেই হাসি থামাতে পারে না? কেউ গল্প বলার সময় হেসে ফেললে বা মজার কিছু হলে আমরা প্রায়ই তার সাথে সাথে হাসতে শুরু করি। এটা কেবল মজার ঘটনা নয়; আসলে এটি একটি বৈজ্ঞানিক ঘটনা। চলুন দেখি, কেন হাসি সংক্রমিত হয়!</p> <p>মস্তিষ্কে এক ধরনের স্নায়ুকোষ আছে, যাদের বলা হয় মিরর নিউরন। এই নিউরনগুলো অন্যের আবেগ বা আচরণ দেখলে সেটি আমাদের মস্তিষ্কেও নকল করে। উদাহরণ হিসেবে, কেউ হাসলে তার মুখের হাসির মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক সেই অনুভূতি নকল করে এবং আমাদেরও হাসির অনুভূতি দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রক্তবমি হলে কী করবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731159606-62bf1edb36141f114521ec4bb4175579.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রক্তবমি হলে কী করবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444654" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মানুষ সামাজিক জীব। আমাদের মস্তিষ্ক সামাজিক পরিস্থিতিতে অন্যদের সাথে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করে। যখন আমরা হাসি বা আনন্দের প্রতিক্রিয়া দেখি, তখন আমাদের মন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে এবং আমরা মজার অনুভূতিতে মেতে উঠি। এটি আমাদের সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে।</p> <p>হাসি একটি প্রাকৃতিক স্ট্রেস রিলিভার বা মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যম। যখন আমরা হাসি, তখন আমাদের শরীরে এন্ডরফিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এটা আমাদেরকে আনন্দ দেয় এবং চাপমুক্ত করে। তাই হাসির সংক্রমণ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। অন্য কেউ হাসলে আমাদের মন তা গ্রহণ করে এবং নিজেও সেই আনন্দময় অনুভূতির মধ্যে চলে আসে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সব সাপের ফণা থাকে না কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731156683-4e334e5d9cb3f7c5f4d84e888e36c6f3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সব সাপের ফণা থাকে না কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444639" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আমরা অনেক সময় অন্যের আবেগ অনুভব করি, এটাকে বলে ‘এমোশনাল কন্টাজন’ বা আবেগ সংক্রমণ। এটি মানে হচ্ছে অন্য কেউ কোনো অনুভূতি প্রকাশ করলে, আমরা নিজেরাই সেই অনুভূতির প্রভাব পেতে শুরু করি। কেউ হাসলে, তার সুখ বা আনন্দের অনুভূতি আমাদের মস্তিষ্কেও প্রতিফলিত হয় এবং আমরা নিজেও হাসি।</p> <p>আমাদের আশেপাশের পরিবেশ এবং মানুষের আচরণ আমাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। যদি আশেপাশে ইতিবাচক মানুষ থাকে যারা হাসি-মজার মাধ্যমে আনন্দ ছড়ায়, তাহলে আমাদের মনেও সেই ইতিবাচক অনুভূতির প্রভাব পড়ে। এটি নিজেও হাসির মাধ্যমে ছড়ায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মানুষ কেন ভূত দেখে, বিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731138036-7930b2f0044cec9dd6a2a83c4cc7d0a3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মানুষ কেন ভূত দেখে, বিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444553" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হাসির সংক্রমণ একটি প্রাকৃতিক এবং আনন্দময় প্রক্রিয়া, যা আমাদেরকে সামাজিক সংযোগে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সুতরাং, হাসুন এবং অন্যকে হাসতে সাহায্য করুন—এটা সংক্রমণ ঘটানোর মতোই সুন্দর একটি অভ্যাস!</p> <p>সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস</p>