<p>লম্বা সময় পর বাংলাদেশের কোনো দল আজ অস্ট্রেলিয়া সফরে রওনা হয়েছে। হোক সেটা বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)। এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গেছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেললেও সর্বশেষ ২০০৮ সালের সফরটি ছিল মাত্র তিন ওয়ানডের।</p> <p>প্রায় ১৬ বছর পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সুযোগ এসেছে এইচপির এই সফরের মাধ্যমে। সময়ের ব্যবধান তো আছেই, নামটা অস্ট্রেলিয়া হওয়ার কারণেও ক্রিকেটারদের মধ্যে আলাদা একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন হান্নান সরকার। বিসিবির এই নির্বাচক অস্ট্রেলিয়াগামী এইচপি দলের সঙ্গী হয়েছেন। যাওয়ার আগে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে হান্নান বলেছেন, ‘রোমাঞ্চ তো থাকারই কথা, লম্বা সময় পর যেহেতু তাই একটা রোমাঞ্চ কাজ করার কথা। নামটা যেহেতু অস্ট্রেলিয়া রোমাঞ্চ কাজ করবেই। আমি যখন ২০০৩ সালে টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম, আমাদেরও রোমাঞ্চ কাজ করেছিল। আমরা টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার তিন বছর পরই খেলতে গিয়েছিলাম, আমাদের অপেক্ষা অবশ্য এত লম্বা ছিল না।’</p> <p>তিন ফরম্যাটের এই সফরে চার দিনের দলকে নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদুল হাসান জয়। তাঁর মতে, ২০২৭ সালে বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি হিসেবে কাজে দেবে এই সফর। আইসিসির ভবিষ্যত সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই সফরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলার কথা বাংলাদেশ দলের। এই সফরকে মাহমুদুল সেটির প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটা সুযোগ, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছি। এখানে যে গ্রুপটা আছে কারোরই অস্ট্রেলিয়া সফর করা হয়নি। এটা আমাদের প্রথম সফর, এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৭ সালে ওখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আছে, ওটার জন্য খুব ভালো প্রস্তুতি হবে।’</p> <p>বয়সভিত্তিক পর্যায়ের বেশির ভাগ ক্রিকেটার আছেন এই সফরে। এর বাইরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারও সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পূর্ণ আফিফ হোসেন। ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আফিফের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে হান্নান বলেছেন, ‘আমরা তিনজন নির্বাচক অনেক আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কন্ডিশনের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আফিফ সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে দূরে আছে। বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে গেলেও খেলার সুযোগ হয়নি। আফিফের নিয়মিত ম্যাচ খেলার সংখ্যাটা দেখলে দেখবেন খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি বা যতটা খেলার কথা ছিল তেমন খেলেনি। সাত-আট বছর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সে খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি। সেসব বিচার-বিশ্লেষণ করেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’</p>