<p>‘নিঃসঙ্গ শেরপার’ মতো একাই লড়ে গেলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তার সঙ্গে তাল মেলাবেন এমন সঙ্গী একজনও পেলেন না তিনি। মাঝে মাঝে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে চট্টগ্রাম কিংসকে ম্যাচ জয়ে সহায়তা করবেন।</p> <p>সেই সঙ্গী না পাওয়ার ফল খুলনা টাইগার্সের কাছে ৩৭ রানে হার চট্টগ্রামের। হারটা অবশ্য বড় ব্যবধানের হতে পারত। তা হতে দেননি শামীম। ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে জয় এনে দিতে না পারলেও বুক চিতিয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। হাসান মাহমুদ-আবু হায়দার রনিদের ওপর চড়া হয়ে হাঁকাতে থাকেন একের পর এক চার-ছক্কা। ৯ ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হলেন তখন তার নামের পাশে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ২০৫.২৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ৫ ছক্কায়।</p> <p>শামীমকে দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলতে নবম উইকেট সঙ্গ দেন আলিস আল ইসলাম। দুজন মিলে ৭৭ রান যোগ করেন। যার মধ্যে ৬৯ রানই শামীমের।</p> <p>মিরপুরে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন নাঈম ইসলাম। কিন্তু ওশান থমাসের বলটি নো হওয়ায় বেঁচে যান তিনি। এমন সুযোগ পেয়ে ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটার। থেমেছেন ১২ রানে। পরে আউটও হয়েছেন থমাসের বলেই। তার দেখানো পথে দ্রুতই ফিরেছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও।</p> <p>ব্যাট হাতে ভুলের প্রায়শ্চিত করার সুযোগ ছিল ইমনের। কিন্তু সেটা পারেননি তিনি। খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিং ইনিংসের সময় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে জীবন দিয়েছিলেন তিনি। সেই জীবন পেয়ে পরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে বিপিএলে দ্রুততম ফিফটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। </p> <p>১৮ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়া অঙ্কনকে জীবন দিলেও খুলনার উইকেটরক্ষক ইমনকে জীবন দেননি। সতীর্থ আবু হায়দার রনির বলে উইকেটের পেছনে ইমন (১৩) যে ক্যাচ তুলে দেন তা সহজে গ্লাপসবন্দি করেন অঙ্কন। দুই ওপেনারের পর একের পর এক উইকেট হারিয়ে নিজেদের হার নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।</p> <p>এর আগে উইলিয়াম বসিস্টো ও অঙ্কনের জোড়া ফিফটিতে ৪ উইকেটে ২০৩ রান করে খুলনা। অথচ, একটা সময় ১৭০ রান করতে পারত কিনা সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেননা ১১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা। ওভারো তখন ১৪.২ চলছিল। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক ইনিংসে সব শঙ্কা দূর করেন অঙ্কন। </p> <p>ম্যাচে মোটে তিনবার জীবন পেয়ে ৫৯ রান করেছেন অঙ্কন। ২৬৮.১৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে এক চারের বিপরীতে হাঁকিয়েছেন ৬ ছক্কা। তার ক্যামিও ইনিংসের আগে অবশ্য খুলনার হাল ধরেন সর্বোচ্চ ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা বসিস্টো। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৩৫ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী জুটিও গড়েছেন।</p>