<p>দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিন গ্রামের একাধিক কৃষকের বাড়িতে গরু চরি হয়েছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার আড়ালে গরু চুরি করা হচ্ছে বলে ধারণা পুলিশের। </p> <p>গ্রামবাসীরা জানায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে পৌরসভার বৃত্তিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের বাড়িতে চোরের দল প্রবেশ করে। গোয়াল ঘর থেকে চার লাখ টাকা মূল্যের চারটি গুরু চুরি করে নেয় তারা। অপরদিকে একই সময়ে রামপুর ইউনিয়নের বাওদিয়া পাড়া গ্রামের একরামুলের বাড়ি থেকেও তিন লাখ টাকা মূল্যের দুটি গরু নিয়ে যায় চোর। চারিদিকে হৈচৈ ও ব্যাপক খোঁজ-খবর করেও গরুগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিন দিন আগে ডাঙ্গা কালিকাবাড়ী গ্রামের ছমির উদ্দিনের বাড়ি থেকেও ৩টি গরু চুরি হয়। </p> <p>রামপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, সংঘবদ্ধ চোরের দল এসব কাজে বড় পিকআপ বা ট্রাক ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে তাদেরকে ধরা বা শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। </p> <p>সুন্দরী পাড়া রেলগেট এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, গত বছর হাবড়া এলাকার এক কৃষকের বাড়ির ৪-৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে গরু বোঝাই একটি ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায় চোরের দল। ট্রাকটির নাম্বার প্লেটসহ গায়ে ট্রাক মালিক ও ড্রাইভারের মোবাইল নম্বরও লেখা ছিল। তাদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তারের সুযোগ থাকলেও সেই সময় তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি। থানা পুলিশের এমন রহস্যজনক ভূমিকা ও গাফিলতির কারণে প্রতি বছরই এমন ঘটনা ঘটছে। </p> <p>পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশায় মানুষের অসাবধানতার কারণে মাঝে মধ্যে চুরি হচ্ছে। রাতের চুরির ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে ১০ দিন আগে আমবাড়ী এলাকায় চুরি হওয়া কয়েকটি গরু উদ্ধার করে থানা পুলিশ</p>