সম্পাদকদের জন্য নীতিমালা দরকার : কামাল আহমেদ

শেয়ার
সম্পাদকদের জন্য নীতিমালা দরকার : কামাল আহমেদ
চট্টগ্রামে মতবিনিময়সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। ছবি : কালের কণ্ঠ

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে যারা উসকানিদাতা তাদের উসকানির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। উসকানির তো একটা শাস্তি আছে। হত্যার জন্য উসকানি হলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ।’

আজ রবিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিভাগের সাংবাদিকদের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের রাজনৈতিক দলবাজি বন্ধ করা দরকার পেশার জন্য। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সাংবাদিকতা এবং দলীয় রাজনীতির আদর্শ থেকে খবর সেন্সর করা, অথবা বিকৃত করা সাংবাদিকতাকে প্রভাবিত করছে, ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’

কামাল আহমেদ বলেন, ‘আপনারা বলছেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক সক্রিয়তা, দলীয় সক্রিয়তা, ফ্যাসিবাদের সহযোগিতা।

যারা ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছেন তাদের বিচারের প্রশ্ন এসেছে। সমস্যা হলো আমরা কোনো তদন্ত সংস্থা না। অপরাধগুলোর তদন্ত আমরা করতে পারব না।’

‘তবে আমরা এটা বলতে পারি, যারা উসকানিদাতা তাদের উসকানির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

উসকানির তো একটা শাস্তি আছে। হত্যার জন্য উসকানি হলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার কোনো নীতিমালা নেই, কথাটা ঠিক নয়। অনেকগুলো নীতিমালা আছে। কিন্তু সম্পাদকীয় নীতিমালা নেই।

সম্পাদকদের জন্য নীতিমালা হওয়া দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পাদক পরিষদকে বলেছি, আসলে একটা জাতীয় নীতিমালা হওয়া দরকার। আপনারা একটা মান নির্ধারণ করেন, যেটা ন্যূনতম হলেও মেনে চলা দরকার। আশা করছি, সম্পাদক পরিষদ সেই উদ্যোগ নেবে।’

সভায় কমিশনপ্রধান বলেন, ‘নীতিগতভাবে বা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সেসব প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। আসলেই অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একইভাবে হয়রানিমূলক মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, জেল খেটেছেন দিনের পর দিন, কাজ করতে পারেননি, সেই ব্যক্তিদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বলা দরকার। যাতে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হয়। আর যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষতিপূরণের দাবিটাও যৌক্তিক এবং ন্যায্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘এমনও উপজেলা আছে যেখানে চারটা প্রেস ক্লাব। এটি আসলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। প্রেস ক্লাব করলে হয়তো কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। প্রেস ক্লাবের নেতা হলে মনে হয় একটু আলাদা মর্যাদা, একটু আলাদা কোনো আর্থিক ব্যাপার থাকতে পারে। সেই কারণে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেগুলোর সমাধান আমরা করতে পারব না। আমরা বলতে পারি, এটা একটা সমস্যা। এটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার।’
 
পত্রপত্রিকার বিষয়ে কামাল আহমেদ বলেন, ‘পত্রিকার বিষয়ে অনেক নীতামালা আছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সরকার সেই নীতিমালাগুলো মানে না। সরকারের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক প্রভাবে অথবা অন্য কোনা কারণে সেগুলো অনুসরণ করেননি। পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রশ্ন, পেশাদার সাংবাদিকের সম্পাদক হওয়ার প্রশ্ন, এগুলো নীতিমালায় আছে। আপনারাই বলছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে ভাই অথবা পুত্রকে সম্পাদক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সেটা আবার সরকার গ্রহণ করছে। কারণ হতে পারে রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা অন্য কিছু। নীতি থাকলেও কার্যকর হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘হকারদের পত্রিকা বিক্রির হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। ঢাকা শহর থেকে ৩০২টি পত্রিকা মিডিয়া লিস্টে আছে, সারা দেশে ৫৯২টির মতো পত্রিকা আছে। আমরা দেখেছি হকারদের তালিকায় ৪৬টি কাগজ তারা লেনদেন করে। বাকি কাগজগুলোর কোনো পেপার (নথি) নেই। কেউ নেয় না ওই কাগজ। তাহলে এটা সরকারের মিডিয়া লিস্টিংয়ের মধ্যে ঢুকল কী করে? এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একইভাবে পত্রিকার প্রচারসংখ্যার দিকে থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিবের একার নামেই চারটি পত্রিকার ডিক্লারেশন ছিল। একটি পত্রিকার সার্কুলেশন যেটা ৬ হাজারেরও কম সেটাকে তিনি ২ লাখ ৯৯ হাজার দেখিয়েছেন, দেখাতে বাধ্য করেছেন। এখন তো হিসাবও বেরিয়েছে ২৯৬ কোটি টাকা উনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়েছে।’

টেলিভিশন নিয়ে কমিশনপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে ৪৬টি টেলিভিশন চলার মতো বাজার নেই। কিন্তু ৪৬টি টেলিভিশনকে সরকার অনুমতি দিয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই টেলিভিশন কেন্দ্রগুলোর যেহেতু বাজার নেই, সেহেতু তারা আয়ও করতে পারে না। আবার নিয়োগ দেয় বিনা বেতনে, কার্ডের ব্যবসায় চলে যায়। দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। এগুলো ভেঙে শৃঙ্খলায় আনতে হবে।’

ওয়েজ বোর্ডের বদলে সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করার প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা ভালো সমাধান হতে পারে; সারা দেশে সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন থাকবে। যে শহরে খরচ বেশি, বিশেষ করে ঢাকায় আলাদা করে ভাতা বা বাড়তি বেতন দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ ধরনের সমাধানগুলো আমরা আপনাদের কাছ থেকেই পাব। সেটার ভিত্তিতেই আমরা সুপারিশমালা তৈরি করব। একটি কার্যকর সুপারিশমালা আমরা তৈরি করে দিয়ে যেতে পারব। বাস্তবায়ন আমাদের হাতে নেই, বাস্তবায়ন সরকার করবে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকার হোক আর রাজনৈতিক সরকার হোক। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও তাদের সুপারিশ লিখিতভাবে চেয়েছি। আমরা আশা করছি, তারা সুপারিশ দেবেন। ইতিমধ্যে অনেকে সুপারিশ দিয়েছেনও।’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারতের সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে : দেবপ্রিয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে : দেবপ্রিয়

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির মনে রাখা উচিত তাদের দেশে মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে।’

ভারতের পাক্ষিক ম্যাগাজিন ফ্রন্টলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রন্টলাইনের এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা গণনার একাধিক উপায় আছে।

কেউ অস্বীকার করে না যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। পুলিশ বাহিনী বিপর্যস্ত ছিল। কিছু সময়ের জন্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর হাতে চলে গিয়েছিল, তবে পরিস্থিতি অস্থির ছিল।’

উপরন্তু বাংলাদেশের অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু ঐতিহাসিকভাবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে।

সুতরাং কিছু ক্ষেত্রে কোনো হিন্দু ব্যক্তির ওপর হামলা তার ধর্মের কারণে ছিল নাকি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমর্থক হওয়ার কারণে ছিল, তা আলাদা করা কঠিন। তবে আরেকটি দিক বিবেচনা করার আছে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা—যেমন হিন্দু ও বৌদ্ধরা ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। একইভাবে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা—যেমন মুসলমানরা বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ।

সুতরাং ভারত যখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হওয়া আচরণ নিয়ে মন্তব্য করে, তখন দেশটিকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে তার নিজের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী আচরণ হচ্ছে, সেটাও অন্যরা খতিয়ে দেখছে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নিরাপদ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো এ প্রশ্নের জন্য সেরা উদাহরণ নই। আমি দুইবার ভারতে শরণার্থী হয়েছিলাম। প্রথমবার, ১৯৬০-এর দশকের দাঙ্গার পর—১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু আমার মা-বাবা কখনোই বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি।

আমি ফিরে এসেছি, আমার মাতৃভূমিতে বিনিয়োগ করেছি এবং এখানেই আমার জীবন গড়েছি। আমি আমার দেশের জন্য অবদান রাখতে গিয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদ ছেড়ে দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার পরিবারের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমার মা আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন এবং আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। কিন্তু এই ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো আমার পেশাদারি এবং তথ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে না।’

ব্যক্তিগতভাবে আমি বাংলাদেশে থাকার ঝুঁকিগুলো মেনে নিয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি যে পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি যেখানে একটি ভূমিকা রাখে, এমন যেকোনো দেশের যেকোনো নাগরিকের জন্যই এ ধরনের ঝুঁকি বিদ্যমান। আমি আরো বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার এবং সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের—হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সমতলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর—সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্ভুক্তির প্রতি এই অঙ্গীকারই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি।

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে বহুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেবপ্রিয় বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আলোচনার টেবিলে। এই পর্যায়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো অপরিণত কাজ হবে, কারণ এটি এখনো পর্যালোচনাধীন।’

মন্তব্য

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস
সংগৃহীত ছবি

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান। তাই সব দেশের প্রধানদের সঙ্গে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা দরকার।

আরো পড়ুন
কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলনের প্রথমদিন ইয়ুথ কনফারেন্সে যোগ দেবেন তিনি। পরদিন সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। 

এতে আরো জানানো হয়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে পারে।

এ ছাড়া সাইডলাইনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্মেলনে তিনটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
ছবি : কালের কণ্ঠ

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আনাসের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই করা হবে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা তাদের বিচার করব।

দিল্লি থেকে কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

 

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসব শহীদের রক্তের ওপর দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের দেশ ছাড়ার সিগন্যাল দিয়েছিলেন।

দেশে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন সবাই পালিয়ে গেছেন।’

আরো পড়ুন
অসহায় আত্মসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না : কাদের গনি চৌধুরী

অসহায় আত্মসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না : কাদের গনি চৌধুরী

 

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতই ষড়যন্ত্র করুক ফ্যাসিবাদী খুনিদের বিচার আমরা করবই। দিল্লিতে বসে করা কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের মানুষকে সেই বিচার থেকে পেছনে ফেরাতে পারবে না।

জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মেহাম্মদ নসরুল্লাহ। দিনব্যাপী পুনর্মিলনী আয়োজনে কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

প্রসিকিউশনের হাতে শেখ হাসিনার মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট : চিফ প্রসিকিউটর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রসিকিউশনের হাতে শেখ হাসিনার মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট : চিফ প্রসিকিউটর
ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে  করা মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বুধবার (২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একাধিকবার অপরাধ প্রমাণে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে খসড়া তদন্ত রিপোর্টে। পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

চূড়ান্ত তালিকা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে খসড়ার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ফরমাল চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গত ২৭ মার্চ চিফ প্রসিকিউটর জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কমান্ড রেসপনসিবিলিটির মামলায় সবচেয়ে বেশি ডকুমেন্ট জড়িত। তিনি বলেন, ‘সেটারও চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে।

আশা করছি, ঈদের পর সেটাও চলে আসবে। কারণ শেখ হাসিনার কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করার জন্য সব মামলার সারসংক্ষেপ এখানে চলে আসবে। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাপারস্যাপার আসবে। এটা অনেক বড় মামলা।
সে জন্য একটু বেশি সময় লাগছে। আশা করছি, ঈদের পরপরই এটাও চলে আসবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ