ডিপিএলে চার-ছক্কার যে কীর্তি করতে চান নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ডিপিএলে চার-ছক্কার যে কীর্তি করতে চান নাঈম শেখ
নাঈম শেখ। ছবি : কালের কণ্ঠ

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম শেখ। ৬ ম্যাচে ৫৯.১৭ গড়ে ৩৫৫ রান করেছেন ১১২.৩৪ স্ট্রাইক রেটে। খেলেছেন ১২৫ বলে ১৭৬ রানের ক্যারিয়ারসেরা এক ইনিংস। সম মিলিয়ে দারুণ সময় পার করতে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটার ভিন্ন এক লক্ষ্য পূরণ করতে চান চলতি মৌসুমে।

নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে নাঈম নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন ১০০ চার ও ৫০ ছক্কা হাঁকানোর।  নাঈম লিখেছেন, ‘আমি চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১০০টি চার ও ৫০টি ছক্কা হাঁকাতে চাই। আমার চ্যালেঞ্জ আমার নিজের সঙ্গে। আমি কি করতে পারব? আপনি কী মনে করেন?’

নিজের লক্ষ্য পূরণের জন্য এখনো অনেকগুলো ম্যাচ পাবেন প্রাইম ব্যাংকের এই ক্রিকেটার।

এরই মধ্যে ৩৪টি চার ও ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নাঈম। নিজের দেওয়া চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে পারলে জাতীয় দলের বন্ধ দরজাটা হয়তো আবারও খুলে যেতে পারে এই ওপেনারের।

গত নভেম্বরে জাতীয় লিগের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৭১ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন, এরপর ডিসেম্বরে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ৩১৬ রান করে আবারও হন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সর্বশেষ বিপিএলে ৫১১ রান করে যথারীতি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জুয়ার বিজ্ঞাপনে সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
জুয়ার বিজ্ঞাপনে সাকিব

বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর যখন তাঁর ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষা, তখন আবারও বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার, সেখানে একটি বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে দেখা গেছে তাঁকে। একে তো প্রকাশ্যে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন, তার ওপর মানুষকে বেটিংয়ের জন্য আহবান করতে দেখা গেছে সাকিবকে। অথচ বাংলাদেশের আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ।

এর আগে ২০২২ সালে একবার সেরোগেট বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব। ওই সময় বোর্ডের কঠোর সিদ্ধান্তের কারণে ভুল স্বীকার করে সরে এসেছিলেন তিনি। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব। তবে এ বছর চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশেও ফেরেননি তিনি।

মন্তব্য

হামজার কাছ থেকে শিখছেন হৃদয়রা

রানা শেখ, শিলং থেকে
রানা শেখ, শিলং থেকে
শেয়ার
হামজার কাছ থেকে শিখছেন হৃদয়রা
ছবি : মীর ফরিদ, শিলং থেকে

দিন যত যাচ্ছে দলের সঙ্গে তত মানিয়ে দিচ্ছেন হামজা চৌধুরী। চার দিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইতোমধ্যে দলের সবার সঙ্গে মিশে গেছেন ২৭ বছরের এই মিডফিল্ডার। প্রিমিয়ার লিগ ও ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ফুটবলারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছেন হৃদয়-সাদ উদ্দিনরা।

জওয়াহেরলাল নেহরু স্পোর্টস কমপ্লেক্সের টার্ফের মাঠে শনিবার অনুশীলনের ফাঁকে হামজাকে নিয়ে প্রশংসা করে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় বলেছেন,'সবসময় ইতিবাচকভাবে আমরা সবাই সবার সাথে কথা বলছি।

যেভাবে আমরা মাঠে ফুটবল খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল হবে, সেটা নিয়েই কথা বলছি। হামজা ভাইকে সবসময় জিজ্ঞেস করছি, কি করলে ভালো হয়, কোনটা আমাদের জন্য সেরা, যেহেতু একই সাথে মিডফিল্ড পজিশনে আমরা খেলছি, সবকিছু ইতিবাচক আছে।'

হামজার সঙ্গে সময়টা বেশ উপভোগ করছেন জানালেন হৃদয়,'আসলে উনাকে (হামজা) নিয়ে যদি বলতে চাই, যদি উনাকে আমাকে ভোট দিতে বলা হয়, তাহলে আমি তাকে ১০০ তে ১০০-ই দিব। কেননা, আমাদের আর উনার মানে অনেক পার্থক্য।

শুধু আমি না, এটা আপনারা সবাই জানেন। প্রতিটি মুহূর্তে অনেক কিছু শেখার আছে, আসলে উনার জীবনযাপন খুব সাধারণ, আমরা মানিয়ে নিতে পারছি সহজেই। এটা খুব উপভোগ করছি।'

অনুশীলনেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে হামজাকে।

মাঝে মধ্যেই সতীর্থদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মেতেছেন তিনি। সহকারী কোচ হাসান আল মামুন তাই বলছিলেন,'ও (হামজা) দলের সঙ্গে মিশে গেছে। ও জানে দেশ ও দলের জন্য নিজের দায়িত্ববোধ আছে। প্রথম দিন থেকেই সে কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের সঙ্গে উজ্জীবিত। নিজে থেকেই সবাইকে সম্মান করছে, কথা বলছে।
'

মন্তব্য

শিলংয়ে ‘বিরক্ত’ ফুটবলাররা

শিলং থেকে প্রতিনিধি
শিলং থেকে প্রতিনিধি
শেয়ার
শিলংয়ে ‘বিরক্ত’ ফুটবলাররা
ছবি : মীর ফরিদ, শিলং থেকে

শিলংয়ে আসার পর থেকে একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই আছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সঙ্গে। গত পরশু কলকাতা হয়ে শিলংয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলারদের লাগেজ পেতে অনেকটা দেরি হয়। দুপুরে হোটেলে উঠলেও কেউ কেউ লাগেজ পেয়েছেন রাতে। এছাড়া আগেই বুকিং করে রাখা হোটেলেও পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা না থাকায় লবিতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককেই।

এরপর প্রস্তুতির মাঠ নিয়ে হয়েছে আরো নাটকীয়তা।

শুক্রবার বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে উঁচু-নিচু, অসমান মাঠে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা যেটাকে প্রস্তুতির জন্য আদর্শ মাঠ মনে করেননি। আর আজ শনিবার খেলোয়াড়রা অনুশীলন করেছে টার্ফের মাঠে।

বাংলাদেশ চেয়েছিল মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করতে, কিন্তু অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অনুমতি দেয়নি। ভারত অবশ্য জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে টানা অনুশীলন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কালকের অনুশীলনও ছিল নাটকীয়তায় ভরা। শুরুতে সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলনের সময় দিলেও তা পরিবর্তন করে সাড়ে ৭টায় নেওয়া হয়।

এসব ঘটনায় বিরক্ত পুরো টিম। শনিবার অনুশীলনের ফাঁকে রাইট ব্যাক সাদ উদ্দিন বিরক্ত আর লুকাতে পারেননি, ‘এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। আমাদের আজ অনুশীলন করার কথা ছিল সাড়ে ৫টায়, সাড়ে চারটার দিকে আমাদের মিটিং ছিল, সেটা করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। তখন কোচ আমাদের বললেন, অনুশীলন সাড়ে ৭টায়। এতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে, কেন না, যে সময় আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার কথা, সেটা আমরা যেতে পারছি না।

তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, আমাদের এটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে।’

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ঘাসের মাঠে। এর দুই দিন আগে টার্ফে অনুশীলন করা মোটেও ভালো ব্যাপার নয়। তবু সব প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে সাফল্য পাওয়ায় আশাবাদী হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমরা তো টার্ফে অনুশীলন করতে চাইনি। ঘাসের মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু ওদের সীমাবদ্ধতা বা অন্য কোনো কারণ হয়তো ছিল। এগুলো নিয়ে ভাবছি না। আমরা অনুশীলনে মনোযোগ রাখছি। অন্য কিছুতে নয়। প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি, ভারতে আমাদের এরকম সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আমাদের প্রস্তত থাকতে হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

৭২ বলে ১৬২ রান, টি-টোয়েন্টিতে গেইল-ফিঞ্চের পর ফারহান

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
৭২ বলে ১৬২ রান, টি-টোয়েন্টিতে গেইল-ফিঞ্চের পর ফারহান
১৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে সাহিবজাদা ফারহান। ছবি : পিসিবি ওয়েবসাইট

টি-টোয়েন্টিতে দেড় শ ছাড়ানো দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান। চলমান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে পেশাওয়ার রিজিয়নের হয়ে ৭২ বলে অপরাজিত ১৬২ রানের ইনিংস খেলেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

মুলতান ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাতে কোয়েটা রিজিয়নের বিপক্ষে দেড় শ ছাড়ানো ইনিংস খেলার পথে  ১১ ছক্কা ও ১৪ চার মেরেছেন ফারহান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ, সব দল মিলিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি।

 

ফারহানের সমান ১৬২ রানের ইনিংস আছে জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রেভিসের। ফারহানের ওপরে আছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও ক্যারিবিয়ান মহাতারকা ক্রিস গেইল। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৬ বলে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা সর্বোচ। ২০১৩ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৬৬ বলে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেন গেইল।

পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল এত দিন কামরান আকমলের। ২০১৭ সালে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপেই লাহোর হোয়াইটসের হয়ে ইসলামাবাদের বিপক্ষে ৭১ বলে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। এত দিন পাকিস্তানের মাটিতে কারও সর্বোচ্চ ইনিংসও ছিল সেটি।

ফারহান এবারের আসর শুরু করেন লাহোরের বিপক্ষে ৫৯ বলে অপরাজিত ১১৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে।

পরের ম্যাচে করাচির বিপক্ষে করেন ৪৮ বলে ৬২, ওই ম্যাচে হেরে যায় তার দল। পরের ম্যাচে ৩৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে আবার দলের জয়ের নায়ক তিনি। রান তাড়ায় ওই তিনটি ইনিংস খেলার পর কোয়েটার বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পেশাওয়ার। তবে ফারহানের ছন্দে ভাটা পড়েনি, বরং এই ম্যাচে আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। তার ১৬২ রানের রেকর্ড ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩৯ রানের পুঁজি গড়ে বড় জয় তুলে নেয় পেশাওয়ার।
চার ইনিংসে ২৭ ছক্কায় ২০৭ গড় আর ১৮৯.৯০ স্ট্রাইক রেটে ফারহানের রান এখন ৪১৪। আসরে আড়াই শ রানও নেই আর কারও।

ফারহানের জাতীয় দলের হয়ে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০১৮ সালে। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানের পর দ্বিতীয়টিতে করেন ৩৯। পরের ম্যাচে ১ রানের পর বাদ পড়েন দল থেকে। তবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ফারহানের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ