শিলংয়ে আসার পর থেকে একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই আছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সঙ্গে। গত পরশু কলকাতা হয়ে শিলংয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলারদের লাগেজ পেতে অনেকটা দেরি হয়। দুপুরে হোটেলে উঠলেও কেউ কেউ লাগেজ পেয়েছেন রাতে। এছাড়া আগেই বুকিং করে রাখা হোটেলেও পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা না থাকায় লবিতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককেই।
এরপর প্রস্তুতির মাঠ নিয়ে হয়েছে আরো নাটকীয়তা।
শুক্রবার বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে উঁচু-নিচু, অসমান মাঠে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা যেটাকে প্রস্তুতির জন্য আদর্শ মাঠ মনে করেননি। আর আজ শনিবার খেলোয়াড়রা অনুশীলন করেছে টার্ফের মাঠে।
বাংলাদেশ চেয়েছিল মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করতে, কিন্তু অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অনুমতি দেয়নি। ভারত অবশ্য জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে টানা অনুশীলন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কালকের অনুশীলনও ছিল নাটকীয়তায় ভরা। শুরুতে সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলনের সময় দিলেও তা পরিবর্তন করে সাড়ে ৭টায় নেওয়া হয়।
এসব ঘটনায় বিরক্ত পুরো টিম। শনিবার অনুশীলনের ফাঁকে রাইট ব্যাক সাদ উদ্দিন বিরক্ত আর লুকাতে পারেননি, ‘এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। আমাদের আজ অনুশীলন করার কথা ছিল সাড়ে ৫টায়, সাড়ে চারটার দিকে আমাদের মিটিং ছিল, সেটা করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। তখন কোচ আমাদের বললেন, অনুশীলন সাড়ে ৭টায়। এতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে, কেন না, যে সময় আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার কথা, সেটা আমরা যেতে পারছি না।
তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, আমাদের এটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে।’
২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ঘাসের মাঠে। এর দুই দিন আগে টার্ফে অনুশীলন করা মোটেও ভালো ব্যাপার নয়। তবু সব প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে সাফল্য পাওয়ায় আশাবাদী হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমরা তো টার্ফে অনুশীলন করতে চাইনি। ঘাসের মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু ওদের সীমাবদ্ধতা বা অন্য কোনো কারণ হয়তো ছিল। এগুলো নিয়ে ভাবছি না। আমরা অনুশীলনে মনোযোগ রাখছি। অন্য কিছুতে নয়। প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি, ভারতে আমাদের এরকম সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আমাদের প্রস্তত থাকতে হবে।’