ভারতের বিপক্ষে গোল করে আক্ষেপ ঘোচাতে চান ইব্রাহিম

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের বিপক্ষে গোল করে আক্ষেপ ঘোচাতে চান ইব্রাহিম
শিলংয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ছবি : মীর ফরিদ, শিলং থেকে

সর্বশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পর দলে ফেরার মুহূর্তটা এবার রাঙাতে চান ফরোয়ার্ড। সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে গোল করে আক্ষেপও ঘোচাতে চান তিনি।

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে শিলংয়ে বাংলাদেশ দল।

আগামী ২৫ মার্চকে সামনে রেখে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন ইব্রাহিম। তিনি বলেছেন, ‘সল্টলেকে যে ম্যাচটা ২০১৯ সালে হয়েছিল, ওই ম্যাচেও ছিলাম। এবারও দলে আছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার লক্ষ্য আছে, ওই বার গোল করতে পারিনি, এই ম্যাচে গোল করে আত্মতৃপ্তি পাওয়ার।

ভারতের বিপক্ষে আক্রমণভাগের সতীর্থদের নিয়ে সুযোগ বুঝে কোপ মারার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ইব্রাহিম। আবাহনীর হয়ে মাঠ মাতিয়ে সুযোগ পাওয়ার ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আসলে গোল পাওয়াটা একটা টিম ওয়ার্কের উপর নিরভর করে। আমরা সবাই চেষ্টা করব। সুযোগ যে পাবে, আমাদের টার্গেট থাকবে কোচ যে পরিকল্না করছে, সেটা বাস্তবায়ন করা।

দলে ফিরতে পেরে খুশি হয়েছেন ইব্রাহিম। ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার বলেছেন, ‘দলের সবার অবস্থা ভালো। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে, অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। যদি সেরা একাদশে খেলতে পারি, ভালো লাগবে। যদি বদলি নেমেও খেলতে পারি, চেষ্টা করব দলে প্রভাব রাখার।

অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে এবার গোল কনসিড করতে চান না তপু বর্মণ। অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘অনেকগুলো ম্যাচই খেলেছি ভারতের সঙ্গে। এবারের ম্যাচ ব্যতিক্রম। কারণ কি একটা হাইপ উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ ইতিবাচক, আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বড় দয়িত্ব থাকবে আমার। সবচেয়ে বড় ব্যপার হল গোল কনসিড না করা। সে সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করা। আমার সঙ্গে (রক্ষণে) যে তিনজন থাকবে, তাদের নিয়ে ভাল একটা ফাউট দেওয়ার চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে অবসর ভেঙে মাঠে ফিরেছেন সুনীল ছেত্রী। তার ওপর বাড়তি নজর থাকবে বলে জানিয়েছেন তপু। তিনি বলেছেন, ‘ভারত দল সবসময় ভাল হয়। তাদের সকল খেলোয়াড় আইএসএল খেলে এসেছে। যারা ইনজুরড, তাদের পরিবর্তে যারা এসেছেন, তারাও ভাল। তারা ভাল দল, ভাল প্রতিপক্ষ। সুনীল ছেত্রীর কথা বলি সে অবসরে যাওয়ার পর কিন্তু ভারত ম্যাচ জিতেনি। দলের জন্য অনুপ্রেরণা। সে ফেরার পর কিন্তু ম্যাচ জিতেছে। তার ওপর বাড়তি নজর দিতে হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘হামজা দেখিয়েছে সে কতটা ভালো’

শিলং থেকে প্রতিনিধি
শিলং থেকে প্রতিনিধি
শেয়ার
‘হামজা দেখিয়েছে সে কতটা ভালো’
ছবি: মীর ফরিদ, শিলং থেকে

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ফুটবলার বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেয় সেটা নিয়ে ছিল কৌতূহল। রাকিব হোসেন-শেখ মোরসালিনরা হামজাকে বুঝতে পারবেন কিনা এ নিয়েও ছিল নানা প্রশ্ন। তবে লাল-সবুজের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য দেখিয়েছেন হামজা। কড়া ট্যাকেল, নিখুঁত পাসিংয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি।

মোরসালিন, হৃদয়রা ভুল করলে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। আবার ট্যাকেল জিতে পুরো দলকে সাহস জুগিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ে কাবরেরা তাই হামজার প্রশংসায় মেতে উঠলেন।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে কাবরেরা বলেছেন, ‘হামজা দেখিয়েছে সে কতটা ভালো।

সে তার মান দেখিয়েছে। দারুণ ফুটবলার সে। এই দলের সঙ্গে সে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে।’ র‍্যাংকিংয়ে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে পেরেই খুশি কাবরেরা, ‘ম্যাচে কোনো সময়ই ভারত আমাদের উপরে ছিল না।
আমরা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি। প্রথমার্ধে আমরা তিনটা-চারটা সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু কোনোটাই কাজে লাগাতে পারিনি।’

ফিনিশিং আরো নিখুঁত হওয়ার আশা করেছিলেন কাবরেরা, ‘আসলে আমাদের নিখুঁত স্ট্রাইকারের অভাব নেই। রাকিব আজ অসাধারণ ছিল, সে সারাক্ষণ ওদের রক্ষণে চাপ দিয়ে গেছে। আল আমিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শাহরিয়ার ইমন আছে স্ট্রাইকার হিসেবে, কিন্তু আমাদের ফিনিশিংয়ে নিখুঁত হতে হবে।


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আমরা জিততে পারতাম বললেন হামজা

রানা শেখ শিলং থেকে
রানা শেখ শিলং থেকে
শেয়ার
আমরা জিততে পারতাম বললেন হামজা
ছবি : মীর ফরিদ, শিলং থেকে

ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মিক্সড জোনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। উদ্দেশ্য হামজা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলা। সুনীল ছেত্রী, লিস্টন কোলাসোরা মন খারাপ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মিনিট দশেক পর এক এক করে বের হয়ে এলেন শেখ মোরসালিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজীরা। যার জন্য অপেক্ষা সেই হামজা এলেন একদম শেষে।

তাকে পেয়েই গণমাধ্যমকর্মীররা একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়লেন।

হামজাও হাসি-মুখে প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকলেন। চার-পাঁচটি সহজ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগিয়ে গোল পাওয়া হয়নি।

হামজার এ নিয়ে আক্ষেপ আছে কিনা? ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের সহজ সরল উত্তর, ‘আমরা আজ জিততে পারতাম। কিন্তু ফুটবলে এরকম মিস হয়েই থাকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও হয় এরকম। আমাদের এটা বাজে দিন ছিল।
’ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে শুরু করেছিল তাতে জয় পেতে পারত কয়েক গোলের ব্যবধানে। কিন্তু মজিবুর রহমান জনি, মোহাম্মদ হৃদয়, শাহরিয়ার ইমনরা সুযোগ নষ্টের মিছিলে নামেন এদিন। হামজার তাই জয় না পাওয়ার আক্ষেপ করে গেলেন।

তবে ব্যক্তিগতভাবে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন হামজা। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই হৃদয় জয় করে নিয়েছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ফুটবলার।

ম্যাচ না জিতলেও হামজা যেন ‘জিতে’ গেছেন এদিন। নিখুঁত পাসিং, কড়া ট্যাকেল করে ভারতীয় ফরোয়ার্ডদের আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। প্রতিটা ট্যাকেলের পর সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছেন। হামজা বলেছেন, ‘খেলায় আমাদের খুব ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। আমি আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’ প্রথমবার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপাতে পেরে গর্বিত হামজা, ‘আমি খুবই গর্বিত। গত পাঁচদিন এই দলের সঙ্গে খুবই ভালো সময় কেটেছে।’

মন্তব্য

২০২৭ সাল পর্যন্ত সিমন্সই বাংলাদেশের কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
২০২৭ সাল পর্যন্ত সিমন্সই বাংলাদেশের কোচ
বাংলাদেশের সঙ্গে মেয়াদ বাড়ার পর এমনই খুশি হয়েছেন সিমন্স। ফাইল ছবি

গুঞ্জনটা আগে থেকেই ছিল মেয়াদ বাড়ছে ফিল সিমন্সের। আজ সেই গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

চন্দিকা হাতুরাসিংহ চাকরিচ্যুত হওয়ার পর স্বপ্ল সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন সিমন্স। নির্দিষ্ট করে বললে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া ‘হাইব্রিড মডেলের’ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ভালো না করলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই ৬১ বছর বয়সী কোচকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হবে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

আরো পড়ুন
সুযোগ পেয়েও ২২ বছরের জয়খরা কাটানো হলো না বাংলাদেশের

সুযোগ পেয়েও ২২ বছরের জয়খরা কাটানো হলো না বাংলাদেশের

 

মেয়াদ বাড়ায় খুশি হয়েছেন সিমন্স। তিনি বলেছন, ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। দলে দারুণ সব প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। বিশ্বাস করি এক সঙ্গে দারুণ কিছু অর্জনের সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে।

নতুন যাত্রায় এগিয়ে যেতে মুখিয়ে আছি।’

আরো পড়ুন
‘আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না’

‘আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না’

 

২০০০ সালে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া সিমন্স জিম্বাবুয়ের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের কোচ হওয়ার পর পরে আয়ারল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাফল্য পেয়েছে নিজ দেশের হয়েই। ২০১৬ সালে তার অধীনেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

পরে আফগানিস্তান, ক্যারিবিয়ান হয়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন ২৬ টেস্ট ও ১৪৩ ওয়ানডে খেলা সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার।

মন্তব্য

সুযোগ পেয়েও ২২ বছরের জয়খরা কাটানো হলো না বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
সুযোগ পেয়েও ২২ বছরের জয়খরা কাটানো হলো না বাংলাদেশের
ভারতের জালে বল জড়ানোর দারুণ সুযোগ মিস করেন জনি। ছবি : মীর ফরিদ, শিলং থেকে

হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচ জয় দিয়েই রাঙাতে চেয়েছিলেন সতীর্থরা। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছরের জয়খরাও কাটাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে সব ইচ্ছাই পূরণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মুজিবর রহমান জনি-মোহাম্মদ হৃদয়রা।

কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা একের পর এক গোল যেভাবে মিস করলেন তাতে নিজেদের ওপর বিরক্তিই হওয়ার কথা তাদের।

কারণ, তাদের মিসের কারণেই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এতে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২২ বছরের জয়খরা আর কাটানো হলো না বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
 

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল নিয়ে অবশ্য মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ। তবে বাঁ প্রান্ত থেকে ৮৯ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের মাটি কামড়ানো শটটা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতকে গোল হজম থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে রাকিব হোসেন আরেকটা সুযোগ পেলেন, কিন্তু তা-ও কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি।

৮৪ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতের ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রীও।

বাংলাদেশের বক্সে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে তার সামনে শুধু বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাই ছিলেন। বলকে যেকোনো এক প্রান্তের জালে রাখতে পারলেই গোলটা পেতে পারতেন তিনি। এই মিসের পর পরেই তাকে বদলি করেন ভারতীয় কোচ মানালো মার্কেস। 

এর আগে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ফিনিশিংয়ের অভাবে লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

কিক অফের পর পরেই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই অবিশ্বাস্য সুযোগ মিস করে বসেন মুজিবুর রহমান জনি। ম্যাচের প্রথম মিনিটে ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ভুল করে জনিকে পাস দেন। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে শট মারেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার।

এমন সুবর্ণ মিসের পরে আরো কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তার মধ্যে দুটি হেডের সুযোগ মিস করেন শাহরিয়ার ইমন। প্রথমটা ৯ মিনিটে ভারতের বক্সে ফ্রি হেডের সুযোগ পেয়েও পোস্টের পাশে নেন। আর ১৮ মিনিটেও জাল বরাবর হেডটা নিতে পারেনি প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া ইমন।

তারও আগে ১২ মিনিটে মিস করেন হৃদয়। শটন অবশ্য নিয়েছিলেন কিন্তু পাওয়ার না থাকায় শেষ মূহূর্তে গোললাইন থেকে বলকে কর্নারের বিনিময়ে ভারতকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার শুভাশীষ রায়। হৃদয়কে গোলের সুযোগ এনে দেওয়া ভুলটি করেছিলেন ৭ বছর পর ভারতের গোলবারে দাঁড়ানো গোলরক্ষক বিশাল। তার নেওয়া গোলকিক তপুর পেছনে লেগে বাঁ প্রান্তে বল পান হৃদয়। ফাঁকা পোস্টে মাটি কামড়ানো শটটা না নিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে মারলেই বাংলাদেশের নামের পাশে এক গোল থাকতে পারত।

ভারত প্রথম কোনো ভালো সুযোগ পায় ৩০ মিনিটের সময়। বাঁ প্রান্ত থেকে লিস্টোন কোলোসোর এরিয়াল বলে উদান্তা সিং হেড নিলে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার কোনো রকমে প্রতিহত করেন। তবে ফিরতি বল শট নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পায় ফারুক চৌধুরী। শটটা নিলেন কিন্তু পাওয়ার কম থাকায় তা তালুবন্দি করতে সমস্যা হয়নি গোলরক্ষক মিতুল মারমার।

বিরতিতে যাওয়ার ৪ মিনিট আগে বাংলাদেশকে লিড এনে দেওয়া সুযোগ পেয়েছিলেন জনি। কিন্তু সতীর্থের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে ডান প্রান্ত থেকে ভারতের বক্সে ঢোকার সময় শেষ স্পর্শ জোরে করায় গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে গোলরক্ষক বিশাল দলকে রক্ষা করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ