একটি আফগান সামরিক জেট উজবেকিস্তানে সীমান্ত অতিক্রম করার পর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্ত হলেও এর পাইলট বেঁচে আছেন। তিনি জেট থেকে সফলভাবে বের হয়ে যান। এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
উজবেকিস্তানে আফগান সামরিক জেট বিধ্বস্ত : রিপোর্ট
অনলাইন ডেস্ক

আলজাজিরা বলছে, রবিবার গভীর রাতে আফগানিস্তানসংলগ্ন উজবেকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সারক্সান্ডারিও প্রদেশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার আরআইএ সংবাদ সংস্থা উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, পাইলট বের হয়ে গেছে এবং আহত হয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবান দখলে নেওয়ার পর দেশ ছাড়তে বিমানবন্দরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে বিমানে ওঠার চেষ্টারত সাধারণ মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মার্কিন সেনারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের একটি উড়োজাহাজকে ঘিরে লোকে লোকারণ্য। আফগানিস্তানের চরম রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশ ছাড়তে অসংখ্য মানুষ সেখানে ভিড় করছেন।
সম্পর্কিত খবর

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়াল
অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নতুন করে হামলা শুরুর পর গাজায় ১ হাজার ৬৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০২ জন। বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপে এখনও ১০ হাজারের বেশি মরদেহ পড়ে আছে। ভারী উদ্ধার সরঞ্জামের অভাব এবং রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ও অব্যাহত হামলার কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে না পারায় এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে ১১ জিম্মির মুক্তির বিনিমিয়ে গাজায় ৪৫ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জবাবে বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যেতে এখনো নিজেদের মূল দাবিতে অটল রয়েছে হামাস। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ হতে হবে এবং সেখান থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এর আগে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলকে শত্রুতা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে, হামাসের এই দাবি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পূরণ হয়নি। এ ছাড়া নতুন প্রস্তাবে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনায় হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে।

শিগগিরই ডোর টু ডোর কুরিয়ার সেবা চালু করবে এমিরেটস
অনলাইন ডেস্ক

আগামী বছর থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে কুরিয়ার সেবা চালু করতে চায় এমিরেটস। এমিরেটস স্কাইকার্গোর পণ্য ও উদ্ভাবন বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেনিস লিস্টার মঙ্গলবার খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লিস্টার বলেন, ‘ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক বিধিনিষেধ থাকে, তাই বিষয়টা কিছুটা জটিল। আমরা এখনই শুরু করছি না, তবে আশা করছি আগামী বছর চালু করতে পারব।
তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু পরিচিত প্রেরণকারীদের দিয়ে সেবা চালু করা হচ্ছে, যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চালানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
‘আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া ও নীতিমালা তৈরি করছি। আমরা সম্ভবত প্রথমে সেবাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু করব।’
এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেস
এ মাসের শুরুতে দুবাই ক্যারিয়ার ‘এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেস’ চালু করেছে, যা ব্যক্তি পর্যায়ে পণ্য সরবরাহের নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।
‘এই সেবার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি যেকোনো গন্তব্য বিমানবন্দরে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারে। ফলে গ্রাহকের কাছাকাছি পৌঁছানো, গন্তব্যে ইনভেন্টরি খরচ কমানো এবং দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব,’ বলে জানিয়েছে লিস্টার।
লিস্টার বলেন, ‘শুরুর আগ্রহ ছিল অবিশ্বাস্য।
তিনি আরো জানান, এটি গ্রাহকদের প্রিমিয়াম সেবা দেবে। তাই যারা দ্রুত ডেলিভারি চান তাদের জন্যই এটি উপযুক্ত।
‘মানুষ দ্রুত পণ্য ডেলিভারি চায়। যখন তারা অনলাইনে কিছু অর্ডার করেন, তখন তারা জানতে চান যে আপনি কত দ্রুত তাদের পণ্য ডেলিভারি করতে পারবেন। তাই আমরা খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করব এবং তাদের মাধ্যমেই ডোর-টু-ডোর সমাধান সরবরাহ করব। যার ফলে গ্রাহকের কাছে কম সময়ে পণ্য পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া আমাদের অনেক ফ্লাইট রয়েছে, ফলে দ্রুত ডেলিভারি সম্ভব হবে।’
ভারত, চীন ও অস্ট্রেলিয়াকে যুক্ত করার পরিকল্পনা
লিস্টার জানান, এমিরেটস বর্তমানে শুধু যুক্তরাজ্য থেকেই প্রতি সপ্তাহে ১৩৮টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেহেতু পেসেঞ্জার ফ্লাইট ব্যবহার করছি, তাই দ্রুত ও দক্ষভাবে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ করতে পারছি। কারণ এটি ১৪৮টিরও বেশি গন্তব্যে উড়ে যায়।’
তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা চালু করা হয়নি, কারণ এটি অংশীদারি মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
লিস্টার বলেন, ‘প্রতিটি দেশে আমরা স্থানীয় পার্টনারদের ব্যবহার করব যারা সংগ্রহ, পিকআপ, ডেলিভারি, ক্লিয়ারেন্সসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
বর্তমানে এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেস ৭টি দেশে সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের ব্যাবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব এবং ওমান।
লিস্টার বলেন, ‘আমরা প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো থেকে শুরু করছি। ধাপে ধাপে বিস্তৃত করব। পরবর্তী বড় বাজার হবে ভারত। এরপর চীন এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্র।’
ভবিষ্যতে কী কী সরবরাহ করবে
এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেস ভবিষ্যতে শুধু ই-কমার্স পণ্যই নয়, বরং প্রযুক্তি পণ্য, ওষুধ, রক্ত, টিকা ও অন্যান্য নমুনাও সরবরাহ করবে।
লিস্টার বলেন, ‘নানা ধরনের খাত ও পণ্যে আমরা কাজ করব। এটা হবে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ, প্রিমিয়াম কুরিয়ার সল্যুশন ‘
কিছু কিছু বাজারে এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেস একই দিনে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। কারণ তাদের বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে।

জলবায়ু সংকটে সমুদ্রের তাপপ্রবাহ তিন গুণ বেড়েছে : গবেষণা
অনলাইন ডেস্ক

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকটে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা তিন গুণ বেড়েছে। এতে তীব্র ঝড়ের সৃষ্টি হয় ফলে কেল্প বন এবং প্রবাল প্রাচীরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০০০ সাল থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপপ্রবাহের অর্ধেকই বৈশ্বিক তাপপ্রবাহ ছাড়া হত না, যা জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে ঘটে। তাপপ্রবাহ দিন দিন আরো তীব্র হয়ে উঠছে।
এ গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী স্পেনের ম্যালোর্কার মেডিটেরেনিয়ান ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের ড. মার্টা মার্কোস বলেন, ভূমধ্যসাগরে কিছু স্থানে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ রয়েছে যা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেশি। সাতার কাঁটতে গেলে মনে হয় পানি নয় যেন স্যুপ।
মার্কোস বলেন, উষ্ণ সমুদ্রের পানি নিচের তৃণভূমির মতো বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করার পাশাপাশি, উপকূল এবং অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের মানুষের উপর প্রভাব ফেলে।
মার্কোস বলেন আরো বলেন, এর একমাত্র সমাধান হল জীবাশ্ম জ্বালানি কম পোড়ানো। অতিরিক্ত তাপের ৯০ শতাংশেরও বেশি সমুদ্রে সঞ্চিত থাকে। যদি বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করা বন্ধ হয়, তাহলে সমুদ্রও উষ্ণ হওয়া বন্ধ হবে।
সাম্প্রতিক সমুদ্রের তাপপ্রবাহের মধ্যে ২০১৪-১৫ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা রয়েছে যার ফলে সামুদ্রিক প্রাণীর ব্যাপক মৃত্যু ঘটে। ২০১৫-১৬ সালে তাসমান সাগরে তীব্র তাপপ্রবাহ আঘাত হানে এবং ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য এবং ভূমধ্যসাগরে সমুদ্রের তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সমুদ্রবিজ্ঞান কেন্দ্রের ড. জো জ্যাকবস বলেন, ‘সমুদ্রের তাপপ্রবাহ দেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। এছাড়া মাছ, জলজ প্রাণী এবং পর্যটন শিল্পের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার কারণে লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হয়।
প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে প্রকাশিত এই গবেষণাটি ১৯৪০ সাল থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার মডেল তৈরি করছে যা জলবায়ু সংকটের ফলে সৃষ্ট উত্তাপ দূর করছে। এরপর তারা সমুদ্রের প্রকৃত পরিমাপের সাথে তুলনা করে ওই মডেলে দেখায়, কীভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৯৪০ এর দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠে বছরে প্রায় ১৫ দিন বেশি তাপ ছিল। কিন্তু এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী গড়ে বছরে প্রায় ৫০ দিনে পৌঁছেছে। ভারত মহাসাগর, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আটলান্টিক এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরসহ কিছু অঞ্চলে বছরে ৮০ দিনের মতোও তাপপ্রবাহ থাকে।
গবেষণা দলের আরেকজন রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জিয়াংবো ফেং বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ তীব্র হয়ে উঠবে। মানুষের কর্মকাণ্ড আমাদের মহাসাগরগুলোকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করছে। সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার জন্য জরুরি জলবায়ু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

সিঙ্গাপুরে ৩ মে সাধারণ নির্বাচন
অনলাইন ডেস্ক

সিঙ্গাপুরে আগামী ৩ মে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের জন্য এই নির্বাচন প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ কয়েক দশক লি পরিবার সিঙ্গাপুরের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ভূমিকা রেখে আসছে। গত বছর লরেন্স ওং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৩ এপ্রিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।
ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসছে ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। ভোটাররা এবারও ক্ষমতায় ফিরিয়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালে সিঙ্গাপুরে সর্বশেষ নির্বাচনে দেখা গেছে, বিরোধী দল ‘ওয়ার্কার্স পার্টি’ ১০টি আসনে জয় পেয়ে ইতিহাস গড়ে। ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার পর এটিই ছিল বিরোধীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
এবারের নির্বাচনে ৯৭টি আসনের জন্য লড়াই হবে। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পিএপি ৯৩ আসনের ভেতর ৮৩টি আসনে জয় পেলেও সেই ফলকে আংশিক ধাক্কা হিসেবেই বিবেচনা করে দলটি। ফলে এবারের নির্বাচনে আরো শক্তিশালী জয়ের লক্ষ্যে তারা মাঠে নামবে এতে সন্দেহ নেই।
আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে ইউগভ পরিচালিত এক জরিপে ৪৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তারা কাকে ভোট দেবেন ঠিক করে ফেলেছেন। তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই ভোট দেবেন পিএপিকে, আর ১৫ শতাংশ ভোট দেবেন প্রধান বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টিকে।
গত বছর দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের জায়গায় দায়িত্ব নেওয়া লরেন্স ওংয়ের জন্য এটি হবে প্রথম বড় নির্বাচনী পরীক্ষা।
ফেব্রুয়ারিতে নিজের প্রথম বাজেট পেশ করে তিনি যেসব করছাড়, নগদ সহায়তা এবং খাতভিত্তিক প্রণোদনা ঘোষণা করেন, অনেকেই তা দেখছেন নির্বাচনের আগে ভোটারদের খুশি রাখতে ‘ফিল-গুড বাজেট’ হিসেবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। তাদের সবাই পিএপির। প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লি কুয়ান ইউ, যাকে আধুনিক সিঙ্গাপুরের রূপকার বলা হয়। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন দীর্ঘ ২৫ বছর। ২০১৫ সালে প্রয়াত লি কুয়ান ইউয়ের ছেলে লি সিয়েন লুং ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব ছাড়েন।
সিঙ্গাপুরে ২৭ লাখ ৫০ হাজার যোগ্য ভোটারের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। দেশটিতে যুক্তরাজ্যের মত ‘ফার্স্ট-পাস-দ্য-পোস্ট’-এর মতো ভোটদানের নিয়ম থাকলেও সেখানে বিরোধীদের জন্য কিছু বাড়তি চ্যালেঞ্জ আছে।