ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

দুই দশকের অভিযানের ইতি ঘটছে আজ

  • কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে রকেট হামলা
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুই দশকের অভিযানের ইতি ঘটছে আজ

আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক ইতি ঘটতে যাচ্ছে আজ। দীর্ঘ দুই দশকের এই যুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি ডলার খরচ করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। আর সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে প্রতিদিন প্রাণ দিতে হয়েছে গড়ে ৩৩ জনকে। এত অর্থ আর প্রাণক্ষয়ের পর মার্কিন সেনারা দেশটিকে যে অবস্থায় এবং যে শক্তির হাতে রেখে যাচ্ছে, তাতে আফগানদের ‘রক্তাক্ত ভাগ্য’ বদলানোর সম্ভাবনা খুব একটা নেই।

এদিকে গতকাল বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দর  লক্ষ্য করে একাধিক রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুযায়ী, তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী কাবুল দখলের পর গত দুই সপ্তাহে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছেড়েছে। গতকাল দেশে ফেরেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

আজ শেষ দিনে ফিরবেন সামরিক লোকজন।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ৩১ আগস্টের মধ্যেই সব লোকবল প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে না। আবার অনেকেই আছে, যারা পরে যেতে ইচ্ছুক। তালেবান জানিয়েছে, ৩১ আগস্টের পরও স্বাভাবিক ফ্লাইটে বিদেশি নাগরিকরা আফগানিস্তান ছাড়তে পারবে।

বিদেশি সেনারা যেতে না যেতেই তালেবানের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখা (আইএস-কে)। গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে আইএস-কে জঙ্গির আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ এবং যুক্তরাজ্যের দুই সামরিক সদস্য রয়েছেন। এরপর গত রবিবারও বিস্ফোরক পদার্থবোঝাই গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল আইএস-কে জঙ্গিরা। তবে মার্কিন ড্রোন হামলায় তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

এরপর গতকাল সকালে রকেট হামলা চালানো হয় কাবুল বিমানবন্দরে। তবে রকেট হামলা কারা চালিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রকেট হামলার পরও তাদের আফগানিস্তান ছাড়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। তালেবানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানবন্দর লক্ষ্য করে মোট পাঁচটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও রকেট হামলার কারণে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আব্দুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘মার্কিন সেনারা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আমরা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারিনি। গুলির শব্দ, সাইরেন, রকেট হামলা কিংবা বিমান ওঠানামার শব্দ লেগেই আছে।’

এদিকে আফগানিস্তানের স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম দাবি করেছে, গত রবিবার গাড়িবোমা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে ড্রোন হামলা চালিয়েছে, তাতে বেসামরিক ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে চারটি শিশুও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিহতরা একই পরিবারের সদস্য।

এ ব্যাপারে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যে গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, তাতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ ছিল। এ কারণে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণের ফলে জঙ্গিদের বাইরে আরো প্রাণহানি ঘটে থাকতে পারে।

তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর আইএস-কে সদস্যরা আর হামলা চালাবে না। এ ছাড়া আইএস-কে জঙ্গিদের দমন করার সক্ষমতা তালেবানের রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে আফগানিস্তান ইস্যুতে গত রাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা। বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেকটি বৈঠকে বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য।

কাবুলে নেমেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিমান

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের চালান নিয়ে সেখানে নেমেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) একটি বিমান। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

মন্তব্য

ফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে তারা সাক্ষাৎ করবেন বলে শনিবার ইসরায়েলি ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই সফরে তারা সম্প্রতি ঘোষিত ব্যাপক শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনা করবেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি নেতানিয়াহুর চতুর্থ ও ট্রাম্পের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র সফর। এই সফরে নেতানিয়াহু প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে নতুন শুল্কনীতির ওপর ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবেন। ট্রাম্পের নীতির আওতায় ইসরায়েলি পণ্যের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

শনিবার রাতে নেতানিয়াহু নিজেও সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার কার্যালয় জানায়, দুই নেতা ‘জিম্মিদের মুক্তির জন্য চুক্তিতে পৌঁছানো, ইসরায়েল-তুরস্ক সম্পর্ক, ইরানি হুমকি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর বিষয়’ নিয়েও আলোচনা করবেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও উষ্ণ সম্পর্ককে মূল্যায়ন করেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানান যে তিনি বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের পর প্রথম নেতা হিসেবে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন; যেমন তিনি হোয়াইট হাউসে যোগদানের পরও প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

আরো পড়ুন
গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার পর ভুল স্বীকার করল ইসরায়েল

গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার পর ভুল স্বীকার করল ইসরায়েল

 

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নেতানিয়াহু সম্ভবত মঙ্গলবার সকালে ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েলে ফিরবেন বলে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়। 

মন্তব্য

গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার পর ভুল স্বীকার করল ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার পর ভুল স্বীকার করল ইসরায়েল
সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় তাদের সৈন্যরা ভুল করেছিল বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। গত ২৩ মার্চ প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অ্যাম্বুল্যান্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ির সমন্বয়ে গঠিত বহর রাফাহর কাছে এই হামলার শিকার হয়েছিল। 

রবিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে ইসরায়েল দাবি করেছিল যে সৈন্যরা গুলি চালায়, কারণ ওই গাড়ির বহরটি ‘সন্দেহজনকভাবে’ অন্ধকারে হেডলাইট না জ্বালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া ওই যানবাহনগুলোর চলাচলের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগে থেকে সমন্বয় করা হয়নি বা কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

কিন্তু নিহত এক প্যারামেডিকের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, গাড়িগুলোর লাইট জ্বালানো ছিল এবং তারা আহত মানুষকে সাহায্য করতে সাড়া দিয়েছিল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে যে নিহত চিকিৎসাকর্মীর অন্তত ছয়জন হামাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে ইসরায়েলি বাহিনী স্বীকার করেছে, গুলি চালানোর সময় তারা নিরস্ত্র ছিল।

নিউ ইয়র্ক টাইমস শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, ভোরের আগে রাস্তায় গাড়িগুলো দাঁড়ানো মাত্র গুলি চালানো শুরু হয়।

ভিডিওটি পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে, যেখানে চিকিৎসাকর্মী রিফাত রাদওয়ানকে তার শেষ প্রার্থনা পড়তে শোনা যায়, এরপর ইসরায়েলি সৈন্যদের কণ্ঠ শোনা যায়, যারা গাড়িগুলোর দিকে এগিয়ে আসে।

শনিবার সন্ধ্যায় এক আইডিএফ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, এর আগে সৈন্যরা তিনজন হামাস সদস্য থাকা একটি গাড়িতে গুলি চালায়। 

যখন অ্যাম্বুল্যান্সগুলো সাড়া দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে এগোয়, তখন আকাশ থেকে নজরদারি চালানো পর্যবেক্ষকরা মাটিতে থাকা সৈন্যদের জানান যে কনভয়টি ‘সন্দেহজনকভাবে অগ্রসর হচ্ছে’।

ভিডিওটি পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলে, যেখানে প্যারামেডিক রেফাত রাদওয়ানকে শেষ প্রার্থনা করতে শোনা যায়, এরপর ইসরায়েলি সৈন্যদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়, যারা গাড়িগুলোর দিকে এগিয়ে আসছিল।

শনিবার সন্ধ্যায় এক আইডিএফ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, সৈন্যরা এর আগে এক গাড়িতে থাকা তিনজন হামাস সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। পরে অ্যাম্বুল্যান্সের বহরটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আকাশপথ থেকে নজরদারি চালানো পর্যবেক্ষকরা সৈন্যদের সতর্ক করেন যে ‘সন্দেহজনকভাবে’ কিছু গাড়ি এগিয়ে আসছে। যখন অ্যাম্বুল্যান্সগুলো হামাস সদস্যদের গাড়ির পাশে দাঁড়ায়, সৈন্যরা মনে করে তাদের ওপর হামলা হতে পারে এবং গুলি চালায়। যদিও জরুরি সহায়তাকারীদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।

ইসরায়েল স্বীকার করেছে, তারা আগে যে বলেছিল গাড়িগুলোতে লাইট ছিল না সেটি ভুল ছিল এবং এ জন্য ঘটনায় জড়িত সৈন্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছে জানিয়ে তাদের দায়ী করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়িগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত ছিল এবং চিকিৎসাকর্মীরা দূর থেকে দৃশ্যমান ক্ষমতাসম্পন্ন পোশাক পরে ছিলেন।

আইডিএফ কর্মকর্তা বলেন, ১৫ জন নিহত কর্মীর মৃতদেহ বন্য প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সৈন্যরা বালুর নিচে পুঁতে রাখে। পরদিন রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য গাড়িগুলো সরিয়ে কবর দেওয়া হয়।

ঘটনার এক সপ্তাহ পরও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা করতে না পারায় এবং ঘটনাস্থলের অবস্থান নির্ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা যায়নি। পরে একটি ত্রাণদল মরদেহগুলো খুঁজে পেলে রেফাত রাদওয়ানের মোবাইল ফোনও তারা পায়, যাতে ওই হামলার ভিডিও ছিল।

নিহতদের কারো হাত বাঁধা ছিল বা তাদের কাছ থেকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বলে কিছু প্রতিবেদনে বলা হলেও তা অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা।

আইডিএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা এ ঘটনার একটি ‘বিশদ তদন্ত’ চালাবে, যাতে ঘটনাপ্রবাহ এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার পদ্ধতি বোঝা যায়। রেড ক্রিসেন্টসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

আরো পড়ুন
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচারের অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচারের অভিযোগ

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৫০ হাজার ৬০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

মন্তব্য

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচারের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচারের অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক ৬ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাংলাদেশি ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল শনিবার (৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নিজের নামে থাকা ফ্ল্যাট তিনি তার বোনের বলে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। 

কারণ ডেইলি মেইল গত সপ্তাহে ঢাকা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পেরেছে যে তার প্রকৃত মালিক এখনো টিউলিপ। তবে ৪২ বছর বয়সী সিদ্দিক যেকোনো ধরনের অন্যায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

তিনি ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, ২০০২ সালে ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে উপহার দেন এবং ২০১৫ সালের মে মাসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ‘আইনগত ও বৈধভাবে’ তার বোন আজমিনার (৩৪) নামে হস্তান্তর করেন।

তবে দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের (দুদক) অনুরোধে ছয় লাখ পাউন্ড সমমূল্যের ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশ সরকার জব্দ করেছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে।

যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিনস্টার রেজিস্টারে এমপিদের সম্পর্কে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এই সম্পদটি পরিবারের সদস্যের সঙ্গে টিউলিপের যৌথ মালিকানাধীন ছিল।

পরের মাসে তিনি এটি হস্তান্তর করে দেন। তবে ডেইলি মেইল গত সপ্তাহে ঢাকা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, টিউলিপ সিদ্দিক এখনো ফ্ল্যাটটির মালিক। যেমনটা বাংলাদেশের দুদক দাবি করছে। এখন বাংলাদেশের আদালত সিদ্ধান্ত নেবে ফ্ল্যাটটির মালিক কে।

গত মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন জানায় যে ২০১৫ সালে ফ্ল্যাটটি আজমিনার নামে হস্তান্তর করার জন্য টিউলিপ ‘হেবা’ নামক একটি ইসলামিক দলিল ব্যবহার করেন, যা একজন ব্যক্তি ভালোবাসা বা স্নেহের কারণে নিজের সম্পদ অন্যকে হস্তান্তর করতে ব্যবহার করে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশি আইনে ফ্ল্যাট হস্তান্তর তখনই বৈধ হিসেবে গণ্য হয় যখন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মালিকানা পরিবর্তনের নথিভুক্তি সম্পন্ন হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন দাবি করেছে, হেবা দলিলটি ছিল ‘জাল’, কারণ যে ব্যারিস্টার এটি সত্যায়িত করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে, তিনি এতে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, তার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে।

তবে টিউলিপের আইনজীবীরা বলছেন, হেবা যথাযথভাবে সম্পাদিত হয়েছে এবং ফ্ল্যাটটি ‘একজন পরিবারের সদস্যের সঙ্গে যৌথ মালিকানায়’ ছিল, কারণ এর সমস্ত ভাড়ার অর্থ তার বোন আজমিনা পেতেন।

আরো পড়ুন
প্রেস সচিবের বক্তব্যকে ‘ক্ষতিকর’ বলছে ভারতীয় মিডিয়া

প্রেসসচিবের বক্তব্যকে ‘ক্ষতিকর’ বলছে ভারতীয় মিডিয়া

 

গত শুক্রবার রাতে টিউলিপের আইনজীবী পল থোয়েট বলেন, একজন বাংলাদেশি আইন বিশেষজ্ঞ তাকে জানিয়েছেন যে হেবা দলিলটি মালিকানা হস্তান্তরের জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন, সংসদে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগটি ‘অযৌক্তিক’।

মন্তব্য

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একত্র হন বিক্ষোভকারীরা। খবর এএফপি ও দ্য গার্ডিয়ানের।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ হয়।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে একদিনে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ওয়াশিংটনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদে অংশ নেয় বেশ কিছু সংগঠন। ওয়াশিংটন ছাড়াও নিউইয়র্কে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় অসংখ্য মানুষ।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ শুল্কনীতির আড়ালে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের কর্তৃত্ববাদী রূপের বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন বিজ্ঞানী, শিল্পী, শিক্ষক, এমনকি সাধারণ গৃহিণীও। তাদের মতে, এই শুল্কনীতি শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নয়, খাদ্য, প্রযুক্তি ও জ্বালানির দামকেও প্রভাবিত করছে।

শনিবারের এই বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’।

এর একটি অর্থ হতে পারে,‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও’। এসব বিক্ষোভে ১৫০টির মতো গোষ্ঠী অংশ নিয়েছে।

আরো পড়ুন
সরকারি সফরে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান

সরকারি সফরে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান

 

ট্রাম্পবিরোধী এ বিক্ষোভের জোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মেক্সিকো ও পর্তুগালেও ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্যানার হাতে জড়ো হয়েছেন প্রায় ২০০ প্রতিবাদকারী, যাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি, যা বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর একতরফা হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন তারা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ