<p>ভারতের দিল্লির উপশহর রোহিণীতে সিআরপিএফ স্কুলের সামনে রবিবার ভোরে একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সেটি ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অর্থাৎ বিস্ফোরণের প্রভাব যাতে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, সেই কৌশলই ব্যবহার করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক এমনভাবে রাখা হয়েছিল, যাতে ১০ ফুট দূর পর্যন্ত একটি ‘শকওয়েভ’ সৃষ্টি হয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে। বিস্ফোরকে ‘রিফ্লেকটিভ প্রেসারের’ মাধ্যমে বিশাল এলাকাজুড়ে কম্পন সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল।</p> <p>গণমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, এ রকম ঘটনায় কঠিন ও তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস দ্রুতগতিতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর তার জেরে শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়। যা আশপাশের এলাকায় শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে পৌঁছয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। আর সে কারণেই বিস্ফোরণের পর পরই বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি সিআরপিএফ স্কুলের দেয়ালেও ফাটল ধরে যায়।</p> <p>বিস্ফোরণের প্রকৃতি দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরো পরিকল্পনা করেই ‘ডায়রেকশনাল’ বিস্ফোরণ করানো হয়েছে। এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লি পুলিশের কাছে প্রতিবেদন তলব করেছে। বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। দ্রুত এই মামলাকে বিশেষ দলের (স্পেশাল সেল) হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এই বিস্ফোরের ঘটনায় তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)।</p> <p>এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকার ওই স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্কুলের আশপাশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর বিকট একটি গন্ধে ভরে যায় এলাকা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে এই বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি দোকানের কাচ, রাস্তায় দাঁড় করানোর কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।</p>