খরগোশকে লাথি মারার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জাপানি পুলিশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের হিরোশিমা প্রিফেকচারের ওকুনোশিমা দ্বীপে। দ্বীপটি খরগোশের বিশাল সংখ্যার জন্য সুপরিচিত।
খরগোশকে লাথি মারায় এক জাপানি গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্বীপটিতে ৭৭টিরও বেশি খরগোশের মৃত্যুর তদন্ত করছে পুলিশ। তখনই ওই ব্যক্তিকে এ ঘটনার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বীপটির ওয়েবসাইট অনুসারে, ওকুনোশিমা দ্বীপে এক হাজারের বেশি খরগোশ অবাধে বসবাস করে এবং এখানে আসা পর্যটকরা তাদের খাবার খাওয়ায়।
রিকু হোত্তাকে নামের ওই ব্যক্তিকে গত মঙ্গলবার খরগোশকে লাথি মারার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাকি ৭৭টি খরগোশের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, ‘খরগোশগুলোর মৃত্যুর কারণ সংক্রামক রোগ, ঠাণ্ডা আবহাওয়া বা মানব-সম্পর্কিত হতে পারে, তবে এই মুহূর্তে তা পরিষ্কার নয়।’
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ‘মৃত্যুর কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।’ ওকুনোশিমা দ্বীপটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি বিষ তৈরির কারখানা ছিল। এখন সেখানে একটি জাদুঘর রয়েছে।
সূত্র : এএফপি
সম্পর্কিত খবর

গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই
অনলাইন ডেস্ক

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে গাজায় গত মঙ্গলবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ প্রায় ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানাচ্ছে, তিন দিনে ২০০ শিশুসহ ৫৯১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ১০৪২ জন।
শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে নবজাতকসহ অন্তত ৯১ জন।
ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসে বেশ কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর দক্ষিণ গাজায় অন্তত ২০ জন নিহত হন।
গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া শহরের পশ্চিমে আস-সুলতান এলাকায় একটি পরিবারের বাড়িতে হামলা চালানো হলে অন্তত সাতজন নিহত হন।
আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম গাজা শহরের কেন্দ্র থেকে জানান, ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র হয়েছে, বিশেষ করে ভোরের দিকে।
কয়েক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব।
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।

তেল আবিবে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ
অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলি বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের নতুন করে স্থল ও আকাশপথে হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি বৃদ্ধির প্রতিশোধে বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানোর দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
ইসরায়েল বলেছে, গাজা উপত্যকায় পুনরায় শুরু করা স্থল অভিযান আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বুধবার ওই অঞ্চলের উত্তর-দক্ষিণের প্রধান পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে শুরু করা হামলায় গাজায় দুদিনে ১৯০ জনেরও বেশি শিশুসহ ৯৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডস বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি ‘গণহত্যার’ প্রতিশোধে তারা তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি প্রোজাক্টাইল আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি প্রোজেক্টাইল জনবসতিহীন উন্মুক্ত একটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।
কয়েক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব। গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।
গাজার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসেইন এএফপিকে বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাই। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার প্রধান ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের মাঝে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এএফপি বলেছে, গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছের সালাহেদ্দিন রোড ধরে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনিদের।

হামাসের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গবেষক আটক
এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় এক গবেষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। তার নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। নিয়োগকর্তা ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল ফেলো বদর খান সুরির গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পর বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর আগে বুধবার এক ফরাসি মহাকাশ বিজ্ঞানীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফ্রান্সের সরকার নিন্দা জানিয়েছে। ওই বিজ্ঞানী হিউস্টনে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কর্মকর্তারা তার স্মার্টফোন তল্লাশি করে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বার্তা পান।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ড. খান সুরি একজন ভারতীয় নাগরিক, যিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ে তার ডক্টরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছিলেন। আমরা তার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবগত নই এবং তার আটকের কোনো কারণও পাইনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সুরি জর্জটাউনের আলওয়ালিদ বিন তালাল মুসলিম-খ্রিস্টান বোঝাপড়া কেন্দ্রের একজন ফেলো।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলফলিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছেন, ‘সুরি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশি শিক্ষার্থী, যিনি হামাসের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইহুদিবিদ্বেষী মতামত ছড়াচ্ছিলেন।’
তিনি আরো অভিযোগ করেন, সুরির ‘একজন পরিচিত বা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যিনি হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।’
তিনি জানান, পররাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন অভিবাসন আইনের একটি ধারা অনুযায়ী সুরিকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো ভিসাধারীর উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠলে তাকে নির্বাসিত করা যেতে পারে।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্ত ও উন্মুক্ত অনুসন্ধান, আলোচনার অধিকার রয়েছে, এমনকি যদি সেই ভাবনাগুলো কঠিন, বিতর্কিত বা আপত্তিকর হয় তাও।’
সুরির আইনজীবীর দাখিল করা আবেদনের বরাত দিয়ে পলিটিকো জানিয়েছে, সুরির স্ত্রী একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এই দম্পতি বিশ্বাস করেন, তাদের লক্ষ্যবস্তু করার কারণ, সরকার সন্দেহ করে, তারা ইসরায়েল সম্পর্কে মার্কিন নীতির বিরোধিতা করেন।

সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেনাবাহিনী
এএফপি

সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে অগ্রসর হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রাসাদটি আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এক সামরিক সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে অগ্রসর হওয়ার সময় সেনারা দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০টি যানবাহনের একটি বহর ধ্বংস করেছেন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের চারপাশে এই সংঘর্ষ এমন সময় হচ্ছে, যখন সেনাবাহিনী বৃহত্তর খার্তুমের সেই অঞ্চলগুলো পুনর্দখলে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে, যা যুদ্ধের শুরুর দিকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আরএসএফ দখল করে নিয়েছিল।
দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হওয়া সেনারা সোমবার শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়, যা আধাসামরিক বাহিনীর ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করে। এএফপির সাংবাদিকরা জানান, তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে পুরো শহরজুড়ে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধু বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল থেকেই ৩৫ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা যুদ্ধের আগের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।
এই সংঘাত সুদানকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর ও পূর্ব অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর পশ্চিম ও দক্ষিণের বেশির ভাগ এলাকা আরএসএফের দখলে।