ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

আটকে গেল নেতানিয়াহুকে রক্ষায় আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আটকে গেল নেতানিয়াহুকে রক্ষায় আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিল
ছবিসূত্র : এএফপি

গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর জেরে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি বিল পাস করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে এ বিল পাস হলেও আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে বিলটি ৫৪-৪৫ ভোটে অনুমোদন পেলেও চূড়ান্ত পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট অতিক্রম করতে পারেনি।

 

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ, ইউরোপীয় কর্মকর্তা এবং আইসিসির ব্যবস্থাপনা সংস্থার বর্তমান ও সাবেক সভাপতিরা সবাই বিলটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থার জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের সময়ে এটি একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে।

আরো পড়ুন
যে শর্ত সাপেক্ষে নারীদের পাকিস্তানে পড়ার অনুমতি দিল আফগানিস্তান

যে শর্ত সাপেক্ষে নারীদের পাকিস্তানে পড়ার অনুমতি দিল আফগানিস্তান

 

তবে অনেক ডেমোক্র্যাট এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও তারা আইসিসিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযুক্ত করেছেন, কারণ আদালত নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত একই সঙ্গে ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে দক্ষিণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় ভূমিকা রাখার জন্য হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিষেধাজ্ঞা বিল পাসের পক্ষে ভোট দেন মার্কিন আইন প্রণেতারা।

‘অবৈধ আদালত প্রতিক্রিয়া’ আইন নামে এ বিল পাস হয়। তবে সিনেটে বিলটি আটকে যাওয়ায় সেটি আইনে পরিণত হওয়া আপাতত অনিশ্চিত।

ভোটের আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমার বলেন, ‘আমি এই নিষেধাজ্ঞা বিলকে সমর্থন করি এবং এটিকে আইন হিসেবে দেখতে চাই। যদিও আমি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির পক্ষপাতিত্বের বিরোধিতা করি।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান বিলটি খারাপভাবে খসড়া করা হয়েছে এবং এতে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। এই বিল মিত্র দেশগুলো ও আইসিসির সঙ্গে কাজ করা ব্যবসাগুলোর ক্ষতি করতে পারে।’ তিনি বিলের ভাষা সংশোধনের জন্য নতুন করে আলোচনায় বসতে রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানান।

সিনেটে বিলের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ও রিপাবলিকান সিনেটর জন থুন বলেন, ‘আজ আইসিসি ইসরায়েলিদের লক্ষ্যবস্তু করছে, কিন্তু এটি সহজেই আগামীতে আমেরিকানদের দিকেও নজর দিতে পারে।’

এদিকে ডেমোক্রেটিক দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে সিনেটর জন ফেটারম্যান বিলটির পক্ষে ভোট দেন।

এর জন্য তাকে প্রশংসা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থী লবিগোষ্ঠী আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি।

সূত্র : আলজাজিরা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অস্ট্রেলিয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন : গবেষণা

    বাকি বিশ্বের জন্য কতটা প্রযোজ্য এই গবেষণা
ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
অস্ট্রেলিয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন : গবেষণা
প্রতীকী ছবি : এএফপি

পরিবর্তনশীল জলবায়ুর প্রভাব শুধু প্রকৃতিতে নয়, পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও। অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা বলছে, সেই দেশের লাখো মানুষ এর ফলে হৃদরোগের বাড়তি ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউরোপিয়ান জার্নাল অব কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান একটি গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা তাপমাত্রার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের জন্য।

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মারণ রোগের কারণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কার্ডিওভাসকুলার বা হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের রোগ।

সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে করোনারি হার্ট ডিজিজ, যার ফলে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাক ও এট্রিয়াল ফিব্রিলেশনও হতে পারে। এই রোগগুলোর কারণ হিসেবে গবেষকরা একাধিকবার বলেছেন উচ্চ রক্তচাপ, বাড়তি কোরেস্টেরল, জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও মানসিক চাপের কথা। কিন্তু পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার দিকটি সেভাবে আলোচিত হয়নি। এই গবেষণাটি সেদিক থেকে যুগান্তকারী।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পেংবি। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৫ বছরের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে উষ্ণ আবহাওয়ার ফলে কার্ডিওভাসকুলার বা হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ হবে। এই প্রবণতা একই সঙ্গে আমাদের সমাজ, সার্ভিস প্রভাইডার ও দেশের নীতি নির্ধারকদের জন্য সতর্কবাণী।’

যা বলছে এই গবেষণা
২০০৩ থেকে ২০১৮ সালের স্বাস্থ্য পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণা করা হয়েছে।

ডিএএলওয়াই পদ্ধতি ব্যবহার করে এই গবেষণা করা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি বিশেষ রোগের কারণে কোনো ব্যক্তি কত বছরের আয়ু হারাচ্ছেন, তার হিসেব করা হয়।

বাড়তি তাপমাত্রার ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকির ফলে এই বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ হারিয়েছেন ৫০ হাজার বছরের আয়ু, জানায় গবেষণাটি। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মানুষ, যেখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি থাকে।

কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে নতুন নীতি প্রণয়ণ করে ঝুঁকিতে থাকা জনসংখ্যাকে উষ্ণ আবহাওয়া সম্পর্কিত রোগ থেকে সুরক্ষা দেওয়া—পেং বির মতে এই গবেষণার পরামর্শ এটাই।

তিনি বলেন, ‘ক্রনিক রোগের রোগী, বয়স্ক মানুষ ও আর্থসামাজিক দিক থেকে দুর্বল ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।’

বাকি বিশ্বের জন্য কতটা প্রযোজ্য এই গবেষণা
ইতালির সেকেড হার্ট ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ফিলিপো ক্রিয়ার মতে, এই গবেষণাটি শুধু অস্ট্রেলিয়ার জনগণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে তা কতটা বাকি বিশ্বের মানুষের জন্য প্রযোজ্য, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই ধারা যে কিছুটা হলেও অন্যান্য জায়গার জন্যেও সত্য, তা মানেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপের চেয়েও অস্ট্রেলিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চরম।’

এই গবেষণার কাছাকাছি ধারণা দিচ্ছে আরো কয়েকটি গবেষণাও। ২০১৭ সালে একটি গবেষণা বলে, ২১০০ সাল পর্যন্ত ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষ অসম্ভব গরমের ভুক্তভোগী হবে। মেক্সিকোর একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ২১০০ সালের মধ্যে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উষ্ণ তাপমাত্রাজনিত মৃত্যুর হার বাড়বে ৩২ শতাংশ।

মন্তব্য

৬৬ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে দশম সন্তানের মা হলেন জার্মান নারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬৬ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে দশম সন্তানের মা হলেন জার্মান নারী
৬৬ বছর বয়সী আলেকজান্দ্রা হিল্ডেব্রান্ট ১৯ মার্চ ছেলে ফিলিপের জন্ম দেন। ছবি : টুডে

জার্মানির এক নারী সম্প্রতি ৬৬ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে দশম সন্তানের মা হয়েছেন। তিনি কোনো ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) ছাড়াই গর্ভধারণ করেছিলেন। 

আলেকজান্দ্রা হিল্ডেব্রান্ট নামের এই নারী ১৯ মার্চ বার্লিনের চারিতে হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ফিলিপ নামের এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির ওজন ছিল সাত পাউন্ড ১৩ আউন্স।

 

বার্লিনের চেকপয়েন্ট চারলির ওয়াল মিউজিয়ামের মালিক ও ব্যবস্থাপক হিল্ডেব্রান্ট সত্তরের দশকের শেষের দিকে তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ৫০ বছর বয়সের পর আরো আট সন্তান জন্ম দেন, যাদের সবাই সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে।

সংবাদমাধ্যম টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিল্ডেব্রান্ট বলেন, ‘একটি বড় পরিবার শুধু চমৎকারই নয়, বরং এটি শিশুদের যথাযথভাবে লালন-পালনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’

তার সন্তানরা হলো স্ভেতলানা (৪৬), আর্তিওম (৩৬), যমজ এলিজাবেথ ও ম্যাক্সিমিলিয়ান (১২), আলেকজান্দ্রা (১০), লেওপোল্ড (৮), আন্না (৭), মারিয়া (৪) ও ক্যাথারিনা (২)।

আরো পড়ুন
ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় রাস্তায় সন্তানের জন্ম : ভিডিও

ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় রাস্তায় সন্তানের জন্ম : ভিডিও

 

হিল্ডেব্রান্টের চিকিৎসক প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. উলফগ্যাং হেনরিশ জানিয়েছেন, তার রোগীর গর্ভাবস্থা মোটামুটি জটিলতামুক্ত ছিল। তিনি বলেন,  ‘তার চমৎকার শারীরিক অবস্থা ও মানসিক দৃঢ়তার কারণে তিনি গর্ভধারণ ভালোভাবেই সামলেছেন।’

নিজের বয়সে এভাবে গর্ভধারণের রহস্য জানতে চাইলে হিল্ডেব্রান্ট জানান, তিনি সব সময় সক্রিয় জীবনযাপন করেন এবং কখনোই জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় গ্রহণ করেননি। তিনি আরো বলেন, ‘আমি খুব স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, নিয়মিত এক ঘণ্টা সাঁতার কাটি, দুই ঘণ্টা দৌড়াই, ধূমপান বা মদ্যপান করি না এবং কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘শিশুদের প্রতি সমাজে এক ধরনের বিরূপ মনোভাব দেখা যায়। কিন্তু যারা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান, তারা তাদের মতো বদলাতে বাধ্য। আমাদের আরো বেশি সন্তান নিতে মানুষকে উৎসাহিত করা উচিত!’

কোনো নারীর এত বেশি বয়সে মা হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে উগান্ডার সাফিনা নামুকওয়া ৭০ বছর বয়সে যমজ সন্তানের জন্ম দেন, যদিও তিনি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ করেছিলেন। এর আগে ২০২০ সালে তিনি একটি মেয়েসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

সোমালিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সোমালিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান
ছবিসূত্র : এএফপি

মার্কিন সামরিক বাহিনী শনিবার সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে।এ হামলায় বেশ কয়েকজন আইএস সদস্য নিহত হয়েছে। আফ্রিকা কমান্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। 

এক বিবৃতিতে, ইউরোপ-ভিত্তিক কমান্ড আরো জানিয়েছে, সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বশেষ এ হামলা চালানো হয়।

হামলায় আইএসআইএস-এর একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। 

আফ্রিকমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমান হামলাটি উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের বোসাসোর দক্ষিণ-পূর্বে চালানো হয়েছে। আফ্রিকান বাহিনী জানিয়েছে, সর্বশেষ এই হামলার দুই দিন আগে একই ধরণের আরো একটি অভিযান চালানো হয়েছিল।

এতে আরো বলা হয়েছে, আফ্রিকমের প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে একাধিক আইএসআইএস-সোমালিয়া কর্মী নিহত হয়েছেন এবং কোনো বেসামরিক লোক আহত হয়নি।

 আফ্রিকান বলেছে, সোমালিয়ায় একটি বৃহত্তর সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ এটি।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রধান খলিল আল-হায়্যা। ছবি : এএফপি

হামাস দুই দিন আগে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে পাওয়া গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রধান খলিল আল-হায়্যা টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে শনিবার বলেছেন, ‘দুই দিন আগে আমরা মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছি। আমরা এটি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরোক্ষ আলোচনায় হামাসের আলোচক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খলিল আল-হায়্যা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি (ইসরায়েলি) দখলদাররা (ইসরায়েলিদের) ক্ষতি করবে না।’

বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের কাছ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে মিসর ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে, যার মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পর্যায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রস্তাবে হামাসকে প্রতি সপ্তাহে তাদের আটকে থাকা পাঁচজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাব অনুসারে তারা একাধিক পরামর্শ দিয়েছে এবং ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয় করে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি পাল্টা প্রস্তাব পৌঁছে দিয়েছে।’ রয়টার্স প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল যে তারা কি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে কি না, কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয় এবং এর মধ্যে ছিল যুদ্ধ বন্ধ, হামাস কর্তৃক বন্দি কিছু ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি এবং কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া। এর পর থেকে প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল, কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

তিন পর্যায়ের চুক্তির দ্বিতীয় ধাপটি অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের চুক্তির ওপর আলোকপাত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। হামাস বলেছে, যেকোনো প্রস্তাবের জন্য দ্বিতীয় ধাপের সূচনাকে অনুমোদন দিতে হবে, অন্যদিকে ইসরায়েল প্রথম ৪২ দিনের ধাপ সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বানের জবাবে হায়া বলেন, গোষ্ঠীটির অস্ত্রাগার একটি লাল রেখা এবং যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদারত্ব থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিরস্ত্রীকরণ করবে না।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ