অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে জার্মানিতে প্রস্তাব পাস, বিক্ষোভে হাজারো মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে জার্মানিতে প্রস্তাব পাস, বিক্ষোভে হাজারো মানুষ
সিডিইউর সদর দপ্তরের সামনে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ছবি : এএফপি

অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে জার্মানির রাজনৈতিক দল সিডিইউর এক প্রস্তাবনা দেশটির সংসদে পাস হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আলোচনার মাঝেই পাস হলো এই প্রস্তাব।

সংসদে রক্ষণশীল দল সিডিইউর আনা প্রস্তাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে, বিশেষ করে অনিয়মতে পথে জার্মানিতে প্রবেশ ঠেকাতে এবং যাদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হযেছে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

বুধবার সংসদের প্রস্তাবটির পক্ষে ৩৪৮টি এবং বিপক্ষে ৩৪৫টি ভোট পড়ে। ১০ জন সংসদ সদস্য ভোট দানে বিরত থাকেন।

চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের এসপিডি ও গ্রিন পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও কট্টর ডানপন্থী দল এএফডি ও এফডিপির সমর্থন থাকা সংসদে পাশ হয় আইনটি।

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরে হামলার ঘটনার জেরে এমন প্রস্তাবনা দিয়েছে দলটি।

গত কয়েক মাসে বিভিন্ন শহরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়ছে। এসব ঘটনায় অভিবাসীদের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে আসছে নির্বাচনে জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে করা জনমত জরিপে প্রথম স্থানে রয়েছে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সিডিইউ/সিএসইউ।

প্রস্তাবনায় দেশটির সীমান্ত সুরক্ষিত করতে ও বেআইনি প্রবেশ ঠেকাতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সীমান্তে স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ আরোপ, শেঙেন জোনে মুক্ত চলাচল বন্ধ করা এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা জার্মানিতে প্রবেশ করেছে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাবাসন। 

প্রস্তাবনায় আরো রয়েছে, আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর যাদের দেশত্যাগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাদের আটক করা এবং যেসব অভিবাসী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের বসবাসের অনুমতি সীমিতকরণ। 

কট্টর ডানপন্থী দল এএফডির সমালোচনা করেছে সিডিউ/সিএসইউ। দলটি বলছে, ‘জেনোফোবিয়া ও ষড়যন্ত্র উসকে দিতে গণহারে অভিবাসনের জন্য তৈরি হওয়া সমস্যাটির অপব্যবহার করছে এএফডি।

বিক্ষোভ
এদিকে প্রস্তাব পাসের পর সিডিইউ সদর দপ্তরের বাইরে প্রতিবাদ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার দলটির সদর দপ্তরের সামনে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অতি ডানপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজের অভিযোগে সিডিইউর বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ তাদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ১৩ হাজার মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল। অন্যদিকে পুলিশ জানায়, ছয় হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ
এএফডির সাহায্য নিয়ে খসড়া বিল পাস করানোর পর সিডিইউয়ের প্রবল সমালোচনা করেন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। গ্রিন পার্টি ও অনেকগুলো মানবাধিকার সংগঠন ও চার্চও এর সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমঝোতা হয়েছিল, অতি ডানপন্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কেউ চলবে না। সেই সমঝোতা ভেঙেছেন ম্যার্ৎস।

এখনো পর্যন্ত জার্মানির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই সমঝোতা মেনে চলেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে নাৎসিদের উত্থানের কথা মাথায় রেখে তারা এই সমঝোতা করে।

‘ডাপন্থীবিরোধী জোট’ বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল। তাদের দাবি, এএফডির সঙ্গে কোনো সহযোগিতা নয়।

এই বিক্ষোভের সংগঠক ক্যারোলিন মোসার ম্যার্ৎসকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, তিনিই এএফডির অতি ডানপন্থাকে সামাজিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্য করে দিচ্ছেন।

ম্যার্ৎসের জনসভায় বিক্ষোভ
অন্যদিকে ড্রেসডেনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ম্যার্ৎসের জনসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ম্যার্ৎস সেখানে নির্বাচনী প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা ড্রেসডেনের রাস্তায় স্লোগান দেন, ম্যার্ৎস হলেন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ, তার লজ্জিত হওয়া উচিত।

সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস, ডয়চে ভেলে

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চীনে তীব্র ঝোড়ো হাওয়ায় সতর্কতা জারি, শত শত ফ্লাইট বাতিল

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
চীনে তীব্র ঝোড়ো হাওয়ায় সতর্কতা জারি, শত শত ফ্লাইট বাতিল
১২ এপ্রিল বেইজিংয়ে ঝোড়ো হাওয়ায় উল্টে পড়া সাইকেলের পাশ দিয়ে লোকজন সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। ছবি : এএফপি

বেইজিং ও উত্তর চীনের বিভিন্ন অংশে শনিবার প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। ঝড়ের কারণে শত শত ফ্লাইট বাতিল ও রেল চলাচল স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

চীন আবহাওয়া প্রশাসন (সিএমএ) জানায়, এই সম্ভাব্য রেকর্ড ভাঙা বাতাস মূলত একটি ‘ঠাণ্ডা ঘূর্ণিঝড় ব্যবস্থা’ থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যা মঙ্গোলিয়ার ওপর গঠিত হয়ে শুক্রবার থেকে সপ্তাহান্তজুড়ে উত্তর চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।

এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের ‘অত্যাবশ্যক না হলে’ বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রশাসনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘১২ এপ্রিল দিনের বেলা সবচেয়ে শক্তিশালী বাতাস বইতে পারে, কিছু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ১৯৫১ সালের পর একই সময়কালের জন্য রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বেইজিং ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরের কমলা সতর্কতা জারি করেছে এই ঝোড়ো বাতাসের কারণে। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর নাগাদ বেইজিংয়ের দুটি প্রধান বিমানবন্দরে ৬৯৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি। একাধিক উচ্চগতির রেললাইনসহ বিভিন্ন ট্রেন চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।

বেইজিংয়ের সামার প্যালেস, টেম্পল অব হেভেন, বেইজিং চিড়িয়াখানা, ইউনিভার্সাল স্টুডিওস থিম পার্কসহ বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া রবিবার যেসব অর্ধ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় মানবসদৃশ রোবট প্রতিযোগী থাকার কথা ছিল, সেগুলোর সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিসিটিভি আরো জানায়, বেইজিংয়ে প্রায় ৩০০টি গাছ উপড়ে পড়েছে এবং ১৯টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রাজধানীতে এখন পর্যন্ত ঝোড়ো বাতাসের কারণে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

চীন বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ, যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে এবং চরম আবহাওয়ার ঘটনাকে আরো ঘন ঘন ও তীব্র করে তোলে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন।

গত বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়, যাতে বহু মানুষ নিহত ও হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়। এপ্রিলের টানা বৃষ্টির পর মে মাসে দক্ষিণ চীনে একটি মহাসড়ক ধসে পড়ে, যাতে ৪৮ জন নিহত হয়।

মন্তব্য

২৮ লাখ জার্মান কখনো ইন্টারনেটই ব্যবহার করেনি

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
২৮ লাখ জার্মান কখনো ইন্টারনেটই ব্যবহার করেনি
প্রতীকী ছবি : এএফপি

অনেক মানুষের কাছেই ইন্টারনেট ব্যবহার এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবার মতো। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে দৈনন্দিন জীবনে ইটারনেট ব্যবহার না করে চলাফেরা করাও মুশকিল। প্রযুক্তির এই যুগে ঠিকানা খুঁজে পাওয়া, কারো বিষয়ে সন্ধান করা, কোনো বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া, বিমানের টিকিট কেনা কিংবা দৈনন্দিন কেনাকাটা, অর্থাৎ দিনের প্রয়োজনীয় সব কিছুতেই দরকার ইন্টারনেট। কিন্তু ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে ৪ শতাংশ মানুষ জীবনে কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি—এমন তথ্য সামনে এলে ভ্রু কুঁচকাতে হয় বৈকি।

 

সর্বশেষ এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই তথ্য। জার্মানির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের ২০২৪ সালের হিসাবে দেখা গেছে, দেশটির ২৮ লাখ মানুষ জীবনে কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। এই সংখ্যা জার্মানির মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ। সরকারের হিসাবে অনুযায়ী, জার্মানির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে আট কোটি।

ইউরোপজুড়ে পরিচালিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক গবেষণা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সরকারি দপ্তরের তথ্য মতে, ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সীরা এই তালিকায় রয়েছে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে না তাদের অফলাইনার বলে অভিহিত করেছে সরকার।

পরিসংখ্যান আরো বলছে, ৬৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার না করার প্রবণতা বেশি।

দেখা গেছে, বয়স যত কম, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা তত বেশি।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপের ৫ শতাংশ লোক জীবনে কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশ দুটিতে অফলাইনারদের সংখ্যা ১ শতাংশের কম।

ইন্টারনেট ব্যবহরা না করার দিক থেকে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ক্রোয়েশিয়।

দ্বিতীয় অবস্থানে গ্রিস। ক্রোয়েশিয়াতে এই সংখ্যা ১৪ শতাংশ এবং গ্রিসে ১১ শতাংশ।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বলছে, ২০২৪ সালে বিশজুড়ে ৩২ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি।

মন্তব্য

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্মাণ করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্মাণ করল চীন
সংগৃহীত ছবি

ভ্রমণের সময় এক ঘণ্টা থেকে মাত্র এক মিনিটে কমিয়ে আনবে এমনই এক সেতু নির্মাণ করে তাক লাগিয়েছে চীন। দেশটির গুইঝো-তে হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নামে এই সেতুটি উদ্বোধন হবে জুন মাসে। ২১৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ২০০ মিটারেরও বেশি উঁচু। গুইঝোর বিশাল গিরিখাতজুড়ে দুই মাইল বিস্তৃত রেকর্ড গড়া এই সেতুটি নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা।

 

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, সেতুটির স্টিলের ট্রাসগুলোর ওজন প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন, যা তিনটি আইফেল টাওয়ারের সমতুল্য। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। 

সেতুটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধান প্রকৌশলী লি ঝাও। তিনি বলেন, ‘আমার কাজটিকে বাস্তবে রূপ নিতে দেখা, সেতুটির দিন দিন বিস্তৃত হওয়া এবং অবশেষে গিরিখাতের ওপরে দৃশ্যমান হওয়া।

এটি আমাকে গর্বিত করে।’

চীনের অন্য গ্রামীণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগ তৈরির পাশাপাশি নতুন সেতুটি একটি প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। চীনা রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিনের মতে, অসাধারণ এই প্রকল্পটি চীনের প্রকৌশলগত সক্ষমতা প্রদর্শন করবে এবং গুইঝোর বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠার লক্ষ্যকে আরো জোরদার করবে। 

পর্যটকদের  আকর্ষণ করতে পরিকল্পনাকারীরা এরইমধ্যে সেতুটিতে বসবাসের জায়গা, কাচের হাঁটার পথ এবং বিশ্বের ‘সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্প’-এর পরিকল্পনাও উন্মোচন করেছেন।

চীনের যে অঞ্চলে এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে, সেখানে বিশ্বের ১০০টি উঁচু সেতুর প্রায় অর্ধেকই রয়েছে যা গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।  

এর আগে ২০১৬ সালে চীনের সর্বোচ্চ সেতুটি বেইপানজিয়াংয়ে নির্মিত হয়েছিল, যার উচ্চতা ছিল ১,৮৫৪ ফুট।

মন্তব্য

পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রতীকী ছবি

পাকিস্তানে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। আজ শনিবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব, খাইবারপাখতুনখোয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

পাকিস্তানের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূমি থেকে ১২ মিটার গভীরে, যা পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। 

ভূমিকম্পের সময়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বড় ধরনের ভবনধস কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও জানা যায়নি।

এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।

সূত্র : জিও নিউজ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ