ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

রুশ-মার্কিন আলোচনায় ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি, যা বললেন ট্রাম্প

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
রুশ-মার্কিন আলোচনায় ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি, যা বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সৌদি আরবে ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় তিনি অবাক হয়েছেন। ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো আলোচনা না করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। 

জেলেনস্কি মন্তেব্যের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের উচিত ছিল  যুদ্ধ বন্ধ করতে আগেই চুক্তি করে ফেলা।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি শুনেছি, আলোচনায় ডাক না পেয়ে ইউক্রেন ক্ষুব্ধ। তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলেছে। তারা আলোচনার জন্য এতখানি সময় পেয়েছে। তারা তো অনেক আগেই বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পারতো।

ট্রাম্পের দাবি, ‘সৌদির আলোচনার পর আমি এখন অনেক বেশি আত্মবিস্বাসী। রাশিয়া কিছু করতে চাইছে। তারা আক্রমণ বন্ধ করতে চাইছে। আমার মনে হয়, এই যুদ্ধ বন্ধের ক্ষমতা আমার আছে।

’ ইউরোপের দেশগুলোর ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘যদি তারা এটা করতে চায় তো খুব ভালো। আমার এতে কোনো আপত্তি নেই।’

সৌদি আরবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। আলোচনার পর ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে কোনো ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না। রাশিয়া ও আমেরিকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিদল যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করবে।

আরো পড়ুন
জার্মান নির্বাচন: পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার লড়াইয়ে ৪ জন

জার্মান নির্বাচন: পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার লড়াইয়ে ৪ জন

 

ল্যাভরভের বক্তব্য

ল্যাভরভ জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা শীঘ্রই আলোচনা শুরু করবেন। মার্কো রুবিওর সঙ্গে তার খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা একে অন্যের কথা শুনেছেন। ল্যাভরভ আরো জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া আগেই বলেছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে সেটা রাশিয়ার কাছে সরাসরি হুমকির মতো বিষয় হবে।’

রুবিও বলেছেন, ‘রাশিয়া যে যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে, এই বিষয়ে আমার মনে কোনো সংশয় নেই। সব পক্ষকেই কিছু বিষয় মেনে নিতে হবে। তবে সেই বিষয়গুলি কী তা নিয়ে আগে থেকে আলোচনা করতে চাই না। সামনে দীর্ঘ পথ রয়েছে। এই আলোচনার মাধ্যমে সেই পথ চলা শুরু হলো মাত্র।’
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১
২২ মার্চ মায়ানমারের মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে জান্তার বিমান হামলার পর ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মেডিক্যাল ক্লিনিকে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই বিমান হামলাটি হয় মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে, যা বর্তমানে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার এক বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে, যেখানে জান্তা, অভ্যুত্থানবিরোধী গেরিলা বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে রবিবার এক গ্রামবাসী এএফপিকে বলেন, ‘এটি (বিমান) খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আমরা যখন লুকিয়ে ছিলাম, তখন আমি একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। যখন আমি এলাকা পরিষ্কার করতে গেলাম, তখন শুধু মানবদেহের ছিন্নভিন্ন অংশ দেখতে পেলাম।

এটা দেখে ভয়ানক অনুভূতি হচ্ছিল, আর এখনো আমার মন থেকে সেই দৃশ্য মুছতে পারছি না।’

এই প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। হামলায় একটি বাড়ির ভেতরে খোলা অস্থায়ী ক্লিনিকটি বিধ্বস্ত হয়।

পরিচয় না প্রকাশের শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোমবার বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সব বেসামরিক লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তারা সব সময় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনছে এবং যেকোনো সময় লুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকছে।’

যদিও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ভূখণ্ড হারিয়েছে, তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় চালিত শক্তিশালী বিমানবাহিনীই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বাহিনীকে প্রতিহত করার মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। সশস্ত্র সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা (এসিএলইডি) জানিয়েছে, মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবছর বেসামরিক জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ৮০০টি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি।

 

এ ছাড়া এসিএলইডি পূর্বাভাস দিয়েছে, জান্তা ভবিষ্যতেও বিমান হামলার ওপর আরো বেশি নির্ভর করবে, কারণ তারা ভূমিতে ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপে রয়েছে।

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইরান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইরান
ফাইল ছবি : এএফপি

ইরান সোমবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন পারমাণবিক চুক্তির জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘পরোক্ষ আলোচনার পথ খোলা আছে।’ তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতি অপর পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত’ তেহরান কোনো সরাসরি আলোচনায় যাবে না।

 

এই শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির মধ্যে ইরান কোনো সরাসরি আলোচনায় যাবে না।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় ইরানকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।  

পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করে আসছে।

তবে তেহরান দাবি করে, তাদের সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ৭ মার্চ ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তেহরান রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  

ইরানি সংবাদ সংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ চিঠিটি তেহরানে হস্তান্তর করেন। পরে শুক্রবার খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ‘তাদের কোথাও নিয়ে যাবে না’।

পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেন, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো অকল্যাণকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের চিঠি তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন : ইরান

ট্রাম্পের চিঠি তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন : ইরান

 

আরাগচি বৃহস্পতিবার বলেন, ট্রাম্পের চিঠিটির ‘বেশির ভাগই হুমকি’, তবে এটি কিছু সুযোগও সৃষ্টি করতে পারে এবং তেহরান শিগগিরই এর জবাব দেবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভেন উইটকফ শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো সামরিক সংঘাত এড়ানো এবং ইরানের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চিঠিটি হুমকি হিসেবে দেওয়া হয়নি।  

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে পশ্চিমা সমর্থিত শাহের পতনের পর থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে।

তার পর থেকে তেহরানে সুইস দূতাবাস দুই দেশের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্র ওমান এর আগে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে তথাকথিত ‘মাসকাট প্রক্রিয়া’র মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতা করেছিল, যা ‘এই মুহূর্তে স্থগিত রয়েছে’ বলে আরাগচি গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তুরস্কে ১০ সাংবাদিক আটক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তুরস্কে ১০ সাংবাদিক আটক
ছবিসূত্র : এএফপি

ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নেমেছে হাজার গাজার মানুষ। সোমবার তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, রাতভর বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহের কারণে ১০ জন সাংবাদিককে আটক করেছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ।
সাংবাদিকদের কেন আটক করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ইউনিয়নটি এক্সের একটি পোস্টে জানিয়েছে, আটক সাংবাদিকদের মধ্যে একজন এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের (এএফপি) আলোকচিত্রীও রয়েছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি এনজিও জানিয়েছে সোমবার তুরস্কের পুলিশ শহরের মেয়র একরেম ইমামোগলুর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করার সময় একজন এএফপি ফটোগ্রাফারসহ ১০ জন সাংবাদিককে আটক করেছে।

অধিকার গোষ্ঠী এমএলএসএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইস্তাম্বুল এবং অন্যান্য শহরে বিক্ষোভের খবর সংগ্রহরের জন্য পুলিশি অভিযানে আজ সকালে বিভিন্ন শহরে ১০ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে’।

আরো পড়ুন
এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে : মেয়র ইমামোলুর স্ত্রী

এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে : মেয়র ইমামোগলুর স্ত্রী

 

রবিবার দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে। প্রথমে তাকে আটক করা হয়।

পরে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে মারমারা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পরেই ইস্তাম্বুলে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে।

গত পাঁচ দিন ধরে তারা রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মানুষ। বিক্ষোভ দমনে এরই মধ্যে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জলকামান ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে। এ সময় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সিটি হল এলাকা।

প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ইমামোগলুর ওপর আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।

একে তারা রাজনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক বলে অভিহিত করেছে। তবে সরকার তা অস্বীকার করছে।

ইমামোগলু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘অকল্পনীয় এবং অপবাদ’ বলে অভিযোগ করেছেন এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। ইস্তাম্বুলে সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল রবিবার বলেছেন, ইমামোগলু মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।

সূত্র : রয়টার্স, এএফপি

মন্তব্য

ওয়াশিং মেশিনের ঢাকনায় ধর্ষণের দৃশ্য, জেলে যুবক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওয়াশিং মেশিনের ঢাকনায় ধর্ষণের দৃশ্য, জেলে যুবক
প্রতীকী ছবি : এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি উচ্চ আদালত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক যৌন অপরাধের সাজা বহাল রেখেছেন। একটি ওয়াশিং মেশিনের ঢাকনায় প্রতিফলিত চিত্র থেকে তার অপরাধ ধরা পড়ে এবং নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে তা দেখা যায় বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে প্রথমে অপরাধের কোনো দৃশ্য ধরা পড়েনি। তবে তদন্তকারীরা ওয়াশিং মেশিনের ঢাকনার প্রতিফলনে হামলার দৃশ্য দেখতে পান।

প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তি এর আগেও অন্যান্য অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে তার সাবেক প্রেমিকাকে ধর্ষণের সন্দেহ ও এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ ছিল।

গত বছরের নভেম্বর মাসে তাকে প্রথমে দোষী সাব্যস্ত করে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। উচ্চ আদালত এরপর সাজা এক বছর কমিয়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

কারণ তিনি ভুক্তভোগীদের একজনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন।

এ ছাড়া রায় অনুসারে ওই ব্যক্তিকে মুক্তির পর সাত বছর ইলেকট্রনিক নজরদারির জন্য গোড়ালিতে ট্র্যাকার পরতে হবে এবং একই মেয়াদে শিশু, কিশোর ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ