ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট ছুড়েছে হামাস। ইসরায়েলের আশদাদ শহর লক্ষ্য করে এ রকেট ছোড়া হয়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট ছুড়েছে হামাস। ইসরায়েলের আশদাদ শহর লক্ষ্য করে এ রকেট ছোড়া হয়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।
হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার জবাবে রকেট ছোড়া হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলের শহর লক্ষ্য করে ছোড়া ১০টি রকেট শনাক্ত করেছে তারা। তবে বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশকেলন ও গান ইয়াভনি শহরে রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখা গেছে। এতে বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস।
এর জবাবে গাজায় সেদিন থেকেই হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
ডোনাল্ড ট্রাম্প বারাক ওবামার সঙ্গে তার শত্রুতাকে হোয়াইট হাউজের দেয়াল পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে সেখানে নিজের একটি ছবি টাঙিয়ে দিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি এক হত্যাচেষ্টায় বেঁচে গেছেন।
২০২২ সালে যখন ওবামার ছবিটি উন্মোচন করা হয়েছিল, তখন সেটি হোয়াইট হাউসের স্টেট ফ্লোরে রাষ্ট্রপতি নিবাসের সিঁড়ির কাছে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু এখন ওবামার ছবি হোয়াইট হাউজের ঐতিহাসিক প্রবেশদ্বারের হলঘরের বিপরীত পাশে সরিয়ে দিয়েছেন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ব্যতিক্রমী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক ভবনে তাদের প্রতিকৃতি টাঙানোর আগে প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসের অফিস ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
হোয়াইট হাউজ এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ‘হোয়াইট হাউজে নতুন কিছু শিল্পকর্ম’, এমন একটি ক্যাপশনসহ একটি ভিডিও শেয়ার করেছে।
গত বছর জুলাই মাসে পেনসিলভেনিয়ার বাটলার কাউন্টিতে আয়োজিত একটি সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। এই হামলায় একটি গুলি তার কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনার পর ট্রাম্পের একটি ছবি সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে তাকে আহত অবস্থায় মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে লড়াইয়ের বার্তা দিতে দেখা যায়।
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই চিত্রকর্মটি কে এঁকেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এটি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর তোলা ঐ মুহূর্তের একটি ছবির সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে। এরপর হোয়াইট হাউজের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাম্পের নতুন আরো একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের পাশে ওবামার প্রতিকৃতিও কাছাকাছি একটি জায়গায় রয়েছে। হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং এক্স-এ লিখেছেন, ‘ওবামার ছবিটি মাত্র কয়েক ফুট দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা সাধারণত নিজেদের পূর্বসূরিদের প্রতিকৃতি স্থানান্তর করে থাকেন, তবে সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্টদের ছবি সাধারণত প্রবেশপথের প্রধান হলঘরেই থাকে। ২০২২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওবামার প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন। এতে ওবামাকে দেখা যায় সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো স্যুট ও ধূসর টাই পরে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু হোয়াইট হাউজে এই অদলবদলের তা ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের তিক্ত ও ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণাত্মক ওবামা-বিরোধিতারই প্রতিচ্ছবি।
ধনকুবের ট্রাম্প তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন বর্ণবাদী ও মিথ্যা ‘বার্থার’ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে—যাতে বলা হয় ওবামা প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মাননি। ওবামা বহুবার ট্রাম্পকে বিদ্রুপ করেছেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প ওভাল অফিসের বাইরে নিজের একটি সোনালি ফ্রেমে বাঁধানো মাগশট ঝুলিয়েছেন—যেটি ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেষ্টার এক মামলার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো আবাসে বাটলার হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তার সাহসী প্রতিক্রিয়ার একটি বড় ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যও রাখা হয়েছে।
সূত্র : এএফপি
পাপুয়া নিউ গিনির নিউ আয়ারল্যান্ড প্রদেশের উপকূলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। কোকোপো শহর থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ৭২ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
কোকোপো বিচ বাংলো রিসোর্টের রিসেপশনিস্ট ইমোনক অ্যাবেলিস বলেন, ‘ভূমিকম্পটি প্রায় এক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, তবে এলাকায় কোনো ক্ষতি হয়নি।’ পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিকম্প প্রায়শই ঘটে।
সূত্র : এএফপি
পাসওভারের ছুটির সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন দখলকৃত সিরিয়ার ভূখণ্ডে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হাইকিং ট্যুরের আয়োজন করছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। গোলান হাইটসে আগামী রবিবার শুরু হবে এই পর্যটন। চলবে এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে প্রায় সব টিকিট কিনে নিয়েছেন পর্যটকেরা।
বুলেটপ্রুফ বাসে সামরিক পাহারায় ছোট ছোট দল সিরিয়ার ভূখণ্ডে ২.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণ করানো হবে। ১৯৬৭ সালে আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের সময় গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর মালভূমির ‘বাফার জোন’ দখলে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে সিরিয়ার বেশ কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই ভ্রমণপথে দামেস্কের দিকে অবস্থিত হারমন পর্বতের সিরিয়ান অংশ এবং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত লেবাননের শেবা খামারও দেখা যাবে। এ ছাড়া অটোমান সাম্রাজ্যের পরিত্যক্ত হেজাজ রেলপথের অংশ ঘুরে দেখতে পারবেন তারা। এই রেলপথ অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ইস্তাম্বুলকে হাফিয়া, নাবলুস ও সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোর সঙ্গে যুক্ত করেছিল। পর্যটকরা রাদান নদীতে সাঁতার কাটতে পারবেন এবং নদীর তীরে ভ্রমণ করতে পারবেন।
ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর ২১০তম ডিভিশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও সংস্থা এই পর্যটনের আয়োজন করেছে। ‘নিরাপদে উত্তরে ফেরা’ নামে ইসরায়েলের একটি বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই পর্যটন চালু করা হয়েছে। ইয়েদিওথ আহরোনোথ সংবাদপত্র জানিয়েছে, আইডিএফের ২১০তম ডিভিশন, গোলান আঞ্চলিক কাউন্সিল, কেশেত ইয়েহোনাতান ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র, পরিবেশবাদী গোলান ফিল্ড স্কুল এবং ইসরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান কর্তৃপক্ষ এই ভ্রমণের আয়োজন করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের জন্য ওই অঞ্চলের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং যুদ্ধের সময়ের কাহিনিগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন।
পর্যটকরা নিজেরাই ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাবেন এবং নিরাপত্তার সমস্যা থাকলে স্বল্প নোটিশে ভ্রমণ বাতিল করতে পারবেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাহিনী সীমান্ত এলাকা থেকে দূরে থাকবে এবং বিকল্প ব্যবস্থা না পাওয়া পর্যন্ত আইডিএফ সেখানে অবস্থান করবে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ রাজধানী এল-ফাশার এবং নিকটবর্তী দুর্ভিক্ষপীড়িত একটি শিবিরে ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শুক্রবার কর্মীরা এই খবর জানিয়েছেন। সুদানের পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধ তীব্রতর হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ভারী কামান, স্নাইপার এবং আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে এল-ফাশারে একটি বড় আক্রমণ শুরু করেছে।
স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটি, একটি স্বেচ্ছাসেবক সহায়তা গোষ্ঠী জানিয়েছে, ‘স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ শহরে ৩২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী এবং এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী ১০ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, আরএসএফ যোদ্ধারা এল-ফাশারের আশপাশে জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা চালিয়ে ২৫ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। যার মধ্যে নারী, শিশু এবং বয়স্ক বাসিন্দারাও রয়েছেন বলে স্থানীয় একটি কমিটি জানিয়েছে।
দারফুরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশার। প্রত্যক্ষদর্শীরা ভারী গুলি চালাতে চালাতে আরএসএফের যুদ্ধযান জমজম শিবিরে প্রবেশ করতে দেখেছেন বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনজন এল-ফাশার বাসিন্দা এএফপিকে জানিয়েছেন, আরএসএফ শুক্রবার পূর্ব, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক থেকে ভারী কামান এবং রকেট নিয়ে শহরটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মধ্য এল-ফাশারে ড্রোন আক্রমণও দেখা গেছে। গত মাসে রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে আধাসামরিক বাহিনী দারফুর জয়ের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি আরএসএফের কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে যুদ্ধ ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হয়েছিল। এই সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি লোককে উৎখাত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী গত মাসের শেষের দিকে খার্তুম পুনরুদ্ধার করলেও, আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশটি এখনো বিভক্ত।
সেনাবাহিনী পূর্ব এবং উত্তরে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। অন্যদিকে আরএসএফ দারফুরের বেশির ভাগ অংশ এবং দক্ষিণের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
সূত্র : এএফপি