<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে গতকাল শনিবার ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েই যাচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৫৯ জন নিহত এবং ১৮২ জন আহত হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২০ জন আহত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এএফপিটিভি ভিডিওতে ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে লেবাননের বৈরুতের শহরতলির ভবনগুলো থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যায়। গতকাল হামলার কিছুক্ষণ আগেই ইসরায়েলি বাহিনী একটি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অন্ততপক্ষে ৫০০ মিটার দূরে সরে যেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বার্তা দেয়। লেবাননের রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানায়, বৈরুতের ওই এলাকার কাছে অন্তত তিন দফা বিমান হামলা হয়েছে। এতে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী গতকাল উত্তর ইসরায়েলে পদাতিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানোর দাবি করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের যুদ্ধবিরতি সিদ্ধান্তে সমর্থন দেবে ইরান : </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিতে লেবাননের যেকোনো প্রচেষ্টায় ইরান সমর্থন দেবে। গত শুক্রবার বৈরুত সফরে এই মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী লারিজানি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের দুই রাজনৈতিক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বৃহস্পতিবার লেবানন পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির কাছে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া প্রস্তাব দেন লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বেরিকে আলোচনা চালাতে এরই মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাঁর সঙ্গে গত শুক্রবার ইরানের খামেনির উপদেষ্টা লারিজানিও সাক্ষাৎ করেছেন। এই পরিস্থিতি তেহরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে তাদের আগ্রহের ইশারা দেওয়া হলো। লারিজানি বলেন, তিনি আশা করেন লেবাননের জনগণের দুর্দশা লাঘবের দ্রুত সমাধান আসবে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরবর্তী সময়ে তারা সেখানে স্থল সেনা পাঠায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজা সিটি, রাফাহ, খান ইউনিস শহরসহ বিভিন্ন স্থানে গতকাল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তহীন দুঃখ-দুর্দশায় পড়েছে গাজার বাসিন্দারা। সেখানে বাড়ছে মৃত্যু আর ধ্বংসলীলা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানি সরবরাহ আর পয়োনিষ্কাশন সুবিধা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি মজুদ ফুরিয়ে গেছে। শহরের বর্জ্য অপসারণের মতো পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে শহরে বাসিন্দাদের মধ্যে রোগব্যাধিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরো বাড়ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে গাজায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল আকসা হাসপাতালে রোগীর ভিড় উপচে পড়ছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধপত্রের আকাল চলছে। সীমিত লোকবল ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়ে হাসপাতালে প্রতিদিন আসা শত শত রোগী সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের মতো সংগঠনগুলো আল আকসা হাসপাতালসহ গাজার অন্য হাসপাতালগুলোকে সহায়তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু গাজার সংকটের তুলনায় সে সহায়তার মাত্রা অত্যন্ত কম। এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর ধ্বংসাত্মক হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৭৯৯ জন নিহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ৬০১ জন। গাজার ধ্বংসস্তূপে অন্তত ১০ হাজার লাশ চাপা পড়েছে বলে অনুমান করা হয়। এই সংখ্যা যোগ হলে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।<br /> সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>