<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেনে মানববিধ্বংসী ল্যান্ডমাইন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্রবাহী গাড়িবহরের পরিবর্তে পদাতিক বাহিনীর নেতৃত্বে অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার কৌশলগত পরিবর্তনের কারণেই ইউক্রেনে ল্যান্ডমাইন পাঠাতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে অধিকার গোষ্ঠীগুলো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাওস সফরকালে গত বুধবার লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের বলেন, তারা (রুশ বাহিনী) আর অস্ত্রসজ্জিত গাড়িবহর নিয়ে এগোচ্ছে না। তারা পদাতিক বাহিনীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। এই বাহিনী শত্রুদের কাছাকাছি যেতে এবং অস্ত্রসজ্জিত গাড়িবহরের পথ প্রশস্ত করতে সক্ষম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর এমন কিছু প্রয়োজন, যা দিয়ে তারা রুশ পদাতিক বাহিনীর গতি কমিয়ে দিতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র রুশ ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়ার কয়েক দিন পর কিয়েভকে ল্যান্ডমাইন সরবরাহে সম্মতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিদায়ি বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থানে রেখে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করেছিল, তখন বাইডেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজস্ব ল্যান্ডমাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জাতিসংঘ মাইন নিষিদ্ধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। তবে অতীতে বিভিন্ন সময় এসব মাইন ব্যবহারের কারণে সমালোচিত হয়েছে। তবে ইউক্রেন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে যেসব মাইন পাঠানো হবে, চার্জ শেষ হয়ে গেলে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে। এতে বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি কমবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, এসব মাইন দুই সপ্তাহের মধ্যে বিস্ফোরিত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে অধিকার গোষ্ঠীগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপপরিচালক ম্যারি ওয়ারহাম বলেন, ইউক্রেন মাইন ব্যবহার করলে মাইন নিষিদ্ধের চুক্তি লঙ্ঘিত হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তকে গভীর হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এমনকি অস্থায়ী মাইনও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সূত্র : এএফপি</span></span></span></span></span></p>