<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফিলিস্তিনের গাজায় শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তার মধ্যে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় শিশু ও পাঁচজন নারী রয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছে। হাসপাতালটি কামাল আদওয়ান হাসপাতালের নিকটবর্তী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৪২ জন আহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৬৬৪ জন নিহত এবং এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৭৬ জন আহত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বাইরে দাঁড়ানো একটি অ্যাম্বুল্যান্সে ইসরায়েলি বিমান হামলা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলি ট্যাংক এবং ড্রোন দিয়ে কামাল আদওয়ানের চারপাশে হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে বা এর কাছাকাছি যেকোনো চলন্ত বস্তু দেখলেই গুলি করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করা হয়। সংস্থাটি জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি ও প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং কয়েক মাসের তদন্ত ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে দাবি করেছে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের নিষিদ্ধ পাঁচটি কাজের মধ্যে অন্তত তিনটি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের জীবনযাত্রাকে মানবেতর করে তুলেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা</span></span></span></span></span></p>