<p>ইতিহাসের ঝাঁপি খুলে দেখা যাক। সালটা ২০০১। এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার দুই আর্কিওলজিস্ট দল জোট বেঁধেছেন। মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটার রহস্য উন্মোচন করা হবে। আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্যাপিয়েন্সের অভিযাত্রার পদাঙ্ক অনুসরণের চেষ্টা করবেন তারা।<br />  <br /> প্রস্তুতিপর্ব সমাপ্ত হলো ২০০৩ সালের দিকে। অসম্ভব এক গল্পের সূত্র ধরতে তারা চলে গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়। ফ্লোরস দ্বীপের গভীর অরণ্যে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এমন দ্বীপপুঞ্জগুলি ছিল খানিকটা নৌঘাঁটির মতো। এসব জায়গা থেকেই গাঁথা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া অভিযানের সূচনা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্যাপিয়েন্সের সমুদ্র অভিযান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/08/1733664973-a269962fe1424e1ca3e68c328b9fed61.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্যাপিয়েন্সের সমুদ্র অভিযান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/08/1455291" target="_blank"> </a></div> </div> <p> <br /> অন্ধকারে আচ্ছন্ন লিয়াং বুয়া গুহার সামনে যখন তারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, ঠাহর করা বেশ কঠিনই ছিল—কিসের কাছাকাছি তারা চলে এসেছেন।<br />  <br /> লিয়াং বুয়ার হিমশীতল পরিবেশে যখন খোঁজ চলছিল, তখন তাদের নজরে আসে অদ্ভুত ধরনের এক মানুষের কঙ্কাল। আকারে বড়জোর সাড়ে ৩ ফুটের মতো হবে। গবেষকদল প্রথমে ভেবেছিলেন, কোন বাচ্চার দেহাবশেষ হয়তো। কিন্তু বিশ্লেষণে বেরিয়ে এলো, নাহ! এটা একটা পূর্ণাঙ্গ মানুষেরই কঙ্কাল। কারা এরা?</p> <figure class="image"><img alt="লিয়াং বুয়া গুহা" height="402" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/12/15/my1182/55.1.jpg" width="600" /> <figcaption>লিয়াং বুয়া গুহা</figcaption> </figure> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কিছু মানুষ বামহাতি কেন হয়?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/14/1734171292-799bad5a3b514f096e69bbc4a7896cd9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কিছু মানুষ বামহাতি কেন হয়?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/14/1457378" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> বামন বুড়ি এবু গোগোর রূপকথা ফ্লোরসের ছেলে-বুড়ো সবার জানা। রূপকথা কি তাহলে রূপকথার পাতা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে?  নাকি কোন এলিয়েন ভুল করে এখানে নেমে এসেছে? <br />  <br /> সেখান থেকে উদ্ধার করা হলো আরো কিছু কঙ্কাল। সাথে প্রায় ১০ হাজার পাথরের অস্ত্র। গবেষকদের কাজ বেড়ে গেল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে হাত-পা কাঁপে কেন?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/12/1733999037-32a03ccfe376e30cb0a7f869918353e8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে হাত-পা কাঁপে কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/12/1456701" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> দৈহিক আকারের তুলনায় সামরিক সক্ষমতায় শক্তিশালী এই জনপদের অরিজিন কি? ডিএনএ স্যাম্পল তো স্যাপিয়েন্সের সাথে মেলে না। পরিচিত অন্য কোনো মানবপ্রজাতির সাথেও পুরোপুরি মিলছিল না। ইরেক্টাস, হ্যাবিলিস, নিয়ান্ডারথাল না হলে কারা হতে পারে?</p> <figure class="image"><img alt="হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিসের কঙ্কাল" height="900" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/12/15/my1182/55.2.jpg" width="600" /> <figcaption>হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিসের কঙ্কাল</figcaption> </figure> <p><br /> বিজ্ঞানীরা নতুন আবিষ্কৃত এই প্রজাতির নাম দিলেন ফ্লোরেসিয়েনসিস। টলকিনের ভাষায় ছোট্ট করে হবিট। ডেটিং করে দেখা গেছে, গুহায় পাওয়া সবচেয়ে তরুণ কঙ্কালটার বয়স প্রায় ৬০ হাজার বছর। পাথর সরঞ্জামগুলোর বয়স ১ লাখ ৯০ হাজার বছর পর্যন্তও ছুঁয়ে গেছে কয়েকটা।<br />  <br />  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/12/1734017576-baaf94542a40d7deb9a8a917acb1b150.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/12/1456791" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> <strong>অরিজিন</strong><br /> ফ্লোরসে এই হবিটদের আগমন কিভাবে ঘটলো, সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের দুটো অনুমান ছিল।</p> <p>একটা হচ্ছে, হোমো হাবিলিসের বিবর্তন। হাবিলিস প্রজাতির এনাটমির সাথে অনেকখানি মিল থাকায় ধরা হচ্ছিলো, হবিটরা বোধহয় এদেরই বংশধর। কিন্তু আফ্রিকার বাইরে ১.৫ মিলিয়ন বছর আগ পর্যন্ত  হাবিলিসের অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। সুতরাং, ওদের পক্ষে এশিয়া থেকে রাফটিং করে ফ্লোরসে পৌঁছানোর তেমন সম্ভাবনা নেই।<br />  <br /> দ্বিতীয় অনুমান হচ্ছে, এরা হোমো ইরেক্টাসের বংশধর, যারা কালের বিবর্তনে ইনসুলার ডোয়ার্ফিজমের মাধ্যমে খাটো হয়ে গেছে। এই অনুমানের পেছনে বেশ কিছু শক্ত কারণ ছিল।</p> <p>ঘটনা খুলে বলি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ই-সিগারেট কতটা ক্ষতিকর?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/12/1734013354-3571adc2900d18ca7bbb29ffef49e706.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ই-সিগারেট কতটা ক্ষতিকর?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/12/1456775" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু দ্বীপপুঞ্জ থেকে হোমো ইরেক্টাসের ছোট্ট একটা দল কোনভাবে ফ্লোরসে এসে পৌঁছায়। তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কম থাকার দরুণ তেমন ঝক্কি পোহাতে হয় নি। কিন্তু সেখানে গিয়ে আরেক বিপদ। জলবায়ুর পরিবর্তন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়িয়ে দিল। আটকা পড়ে গেল তারা।<br />  <br /> দ্বীপে বিচ্ছিন্ন থাকা অবস্থায় সব প্রাণীর শরীরেই কিছু বিবর্তনীয় পরিবর্তন দেখা যায়। যাদের উচ্চতা বেশি অপেক্ষাকৃত ওজন বেশি, তাদের টিকে থাকার জন্য দরকার বেশি খাবার। কিন্তু দ্বীপে তো প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত।<br />  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দিগন্তে আকাশ ও মাটি মিশে যায় কেন?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/14/1734173459-d0096ec6c83575373e3a21d129ff8fef.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দিগন্তে আকাশ ও মাটি মিশে যায় কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/14/1457391" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> মৎস্য সম্পদও নাগালের বাইরে। মানুষ তখনো জাল, মাছ ধরার হুক বানাতে শেখেনি। বিবর্তন হাত বাড়িয়ে দিল অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতাবিশিষ্ট প্রাণীদের দিকে। কম উচ্চতার মিউটেশন টিকে থাকল, অধিক উচ্চতার প্রাণীরা টিকে থাকার দৌড়ে কাটা পড়লো।</p> <figure class="image"><img alt="শিল্পীর কল্পনায় এক শিকারী হবিট" height="1025" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/12/15/my1182/55.3.jpg" width="600" /> <figcaption>শিল্পীর কল্পনায় এক শিকারী হবিট</figcaption> </figure> <p><br />  <br /> একসময় শারীরিক পার্থক্য এতটাই বেড়ে গেল যে তারা হোমো ইরেক্টাস প্রজাতি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো। যাকে জীববিজ্ঞানীরা ইনসুলার ডোয়ার্ফিজম বলে। বামন মানুষের সেই প্রজাতিকে বলা হচ্ছে হোমো ফ্লোরেসিয়েনসিস। এখনো অব্দি পাওয়া এটাই সবচেয়ে যৌক্তিক ব্যাখা।<br />  <br /> কিন্তু এতটা নিশ্চিত কিভাবে হওয়া গেল?</p> <p>সেটা বোঝার জন্য আমাদের নজর ফেরাতে হবে ফ্লোরসের পূবদিকে মেতে মাঙ্গে অঞ্চলে। ফিরে যেতে হবে ১৯৯৪ সালের দিকে। গবেষক দল সেখানেও হাজির হয়েছিল।<br />  <br /> আমাদের জন্য দ্বিতীয় চমক। মেতে মাঙ্গেতে সন্ধান মেলে এমন কিছু মানুষের জীবাশ্ম, যেগুলো প্রায় ৭ লক্ষ বছর আগেকার। বেশি উচ্চতার জীবাশ্মগুলো ছিল আসলে হোমো ইরেক্টাসের।<br />  <br /> হবিটদের অস্পষ্ট ছবিটা এবার একটু একটু করে পরিষ্কার হতে শুরু করলো। আরো স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেল, কোথা থেকে এসেছে সেই হোমো ফ্লোরেসিয়েনসিসরা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিশ্বের সবচেয়ে দামি বই" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/10/1733840514-1f9ffafcc4c0bbc70331f044b842b7fc.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিশ্বের সবচেয়ে দামি বই</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/10/1456028" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> <strong>বিচ্ছিন্ন জীবন</strong><br /> একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ফ্লোরস কিন্তু কখনোই স্থলপথের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল না। সেখানে যেতে হলে কিছুটা জলপথ পাড়ি দেওয়া লাগতোই। তাহলে হবিটরা অমন করে আটকা পড়ল কেন? একটু চিন্তাভাবনা করা যাক।</p> <p>১. ইরেক্টাসরা দুইভাবে জলপথ অতিক্রম করতে পারে। হয় তারা নৌকা বা ভেলার মতো বানিয়েছিল। অথবা স্রোতের অনুকূলে গাছের গুঁড়ি ধরে ভেসে ভেসে গিয়েছিল। </p> <p>যদি দ্বিতীয় ঘটনা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা একটা কারণ হতে পারে। তারা যেহেতু দ্বীপে অনেকটা সময় কাটিয়ে দিয়েছিল, এই বিচ্ছিন্নতা তাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতিকেও থামিয়ে দিতে পারে। মেরিন প্রযুক্তি চর্চা বাদ দিয়ে তাদেরকে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে বেশি মনযোগ দিতে হচ্ছিল। ফলস্বরূপ, একসময় নৌকা বানাতে জানলেও পরবর্তীতে হয়তো বিশাল সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার দক্ষতা তৈরি হয়নি।</p> <p> </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে ১২টি কারণে এখনো এলিয়েনের খোঁজ পাননি বিজ্ঞানীরা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/09/1733750908-648b9906a614a4bb30c20591243c65ec.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যে ১২টি কারণে এখনো এলিয়েনের খোঁজ পাননি বিজ্ঞানীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/09/1455653" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> ২. সবচেয়ে বড় কারণ যেটা হতে পারে, হবিটরা হয়তো দ্বীপ ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কোন চেষ্টাই করেনি। শুরুতে ফ্লোরসে পর্যাপ্ত খাবার এবং শিকারী প্রানীর হাত থেকে নিরাপত্তা ছিল। এই পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় অন্য কোথাও অভিযান করার কোন প্রয়োজন পড়ে নি।<br />  <br /> আবার, দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের জনসংখ্যা কমে যায়। সামাজিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় স্রোতের মুখোমুখি হওয়ার মতো নৌকা বানানোর জন্য পর্যাপ্ত জনবল ছিল কিনা, সেটা একটা চিন্তার বিষয়।<br />  <br /> বিলুপ্তি<br /> ধারণা করা হয়, ফ্লোরসের অরণ্য থেকে প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে হবিটদের বিলুপ্তি ঘটে। পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যায় সবচেয়ে অদ্ভুত প্রজাতির মানুষ।<br />  <br /> সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বৈরি পরিবেশগত পরিবর্তনকেই বেশি দায়ী করা হয়। ফ্লোরসের ওই অঞ্চলটি খুবি ভূমিকম্পপ্রবণ। ভূমিকম্প কিংবা অগ্নুৎপাতের ফলে তাদের বিলুপ্ত হওয়াই—এটাই সবচেয়ে যৌক্তিক ব্যাখা।<br />  <br /> আরও একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। খেয়াল করলে দেখবেন, হবিটদের বিলুপ্তি আর ফ্লোরসে হোমো সেপিয়েন্সের আগমনের সময়রেখাটা বেশ কাছাকাছি।<br />  <br /> এক রাজ্যে নাকি দুই রাজা থাকতে পারে না। সীমিত সম্পদ এবং চাহিদার আধিক্য থাকলেই দেখা যায় প্রতিযোগিতা। অস্ত্র চালনায় দক্ষ হলেও হবিটরা শারীরিক সক্ষমতা কিংবা সাংগঠনিক দক্ষতায় স্যাপিয়েন্সের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কথা। তারপর?</p> <p>কফিনে শেষ পেরেকটা কে ঠুকেছিল?</p> <p>তা জানি না। আপনারা অনুমান করুন। আমি বরং কবিতা শোনাই,<br />  <br /> ‘আমি দেখেছি যে-সব সুখের নীড়,<br /> সেসব নীড় গিয়াছে হারায়ে।<br /> তাহাদের পরে রবে ধূলার স্মৃতি<br /> জীবনের তপোবনে...’<br />  <br /> – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর</p> <p><strong>লেখক : </strong>শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, সেলজুক ইউনিভার্সিটি, কোনিয়া, তুরস্ক</p>