<p>সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) গোলাবর্ষণে অন্তত ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন।</p> <p>সুদানের সেনাবাহিনী গত শুক্রবার জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের ইচ্ছাকৃত গোলাবর্ষণের ফলে এল ফাশের শহরের আশপাশের এলাকা ও শরণার্থী শিবিরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গণহত্যা প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। এতে শিশু ও নারীসহ ৪৫ জন নিহত এবং আহত ২৮ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। এল ফাশেরের দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক এলাকা, শহরের দক্ষিণে অবস্থিত জমজম শরণার্থী শিবির ও উত্তরের আবু শৌক শিবির ও হাসপাতাল লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।</p> <p>উত্তর দারফুর রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির জানান, আরএসএফ একটি ড্রোন থেকে চারটি নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সৌদি হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গীদের অবস্থান লক্ষ্য করে। ফলে রোগীর স্বজনদের মধ্যে ৯ জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। সৌদি হাসপাতাল হলো আল-ফাশিরে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাওয়া একমাত্র হাসপাতাল।</p> <p>তবে হামলার বিষয়ে আরএসএফের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। ২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশেরে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। গত ১০ মে থেকে এই সংঘাত আরো তীব্র হয়েছে।</p> <p>আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, সুদানের ভেতরে বা বাইরে প্রাণঘাতী এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু এবং এক কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সূত্র : সিনহুয়া, চায়না ডেইলি, হিন্দুস্তান টাইমস</p> <p> </p> <p> </p>