<p>করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাজধানীর কুড়িলে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চারটি কনভেনশন সিটি ও একটি ট্রেড সেন্টারকে হাসপাতালে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারকে সহায়তার অংশ হিসেবে সেখানে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হবে। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগ মানবতার কল্যাণে বড় উদাহরণ হতে চলেছে।</p> <p>গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের এসংক্রান্ত লিখিত প্রস্তাবটি দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি তুলে ধরেছিলেন।</p> <p>এ প্রসঙ্গে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আমাদের বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি যেটা আছে, সেটাকে আমরা অস্থায়ী হাসপাতাল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছি। তিনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। এতে আমরা খুশি। আমরা চাই জরুরিভাবে কাজটা শুরু হোক। বাংলাদেশে খুব দুঃসময় যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের পর এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি দেশ। এটা একটা জাতীয় দুর্যোগ বলে মনে করি। তাই বসুন্ধরা গ্রুপ হিসেবে আমরা এগিয়ে এসেছি। কারণটা হলো দেশের এখন দরকার এটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে এটা আমরা দিতে চেয়েছি। এটা আপনারা ব্যবহার করুন।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘স্পেসের জন্য যে বিদ্যুৎ, পানি, টয়লেট, জরুরি ফায়ার ফাইটিং ছাড়াও কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ (সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং) সব সুবিধা আছে সেখানে। এটাকে আইসিইউ করা সম্ভব। এয়ার লিফট করা সম্ভব। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যদি এয়ার লিফট করে কাউকে আনতে হয়, তাহলে সেখানে হেলিকপ্টার নামার ব্যবস্থা আছে। দরকার হবে চিকিৎসক আর শয্যাগুলো; আর ইউনিটগুলো দরকার, যেগুলো সরকারের অলরেডি আছে। প্রয়োজনে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে এটা করা যাবে। আমাদের স্পেস অনুযায়ী আমরা পাঁচ হাজার শয্যা তৈরি করার বিষয়টি হিসাব করেছি। যদিও লোকজন মাসের পর মাস থাকবে না। তাদের চিকিৎসা হবে, তারা চিকিৎসার পর চলে যাবে। একটি দলের পর আরো একটি দল আসবে। কিন্তু আমরা চাই না, আল্লাহ না করুন; দেশের যেন এই অবস্থা না হয়।’ </p> <p>প্রসঙ্গত, এর আগে সায়েম সোবহান আনভীর প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবেলার তহবিলে ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে গত বুধবার রাজধানীর দুই হাজার নিম্নবিত্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।</p> <p> </p>