দরিদ্র নারীদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলল

শেয়ার
দরিদ্র নারীদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলল
উচ্ছ্বাস রায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নীলফামারী জেলা প্রশাসন

বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণের এই মহতী আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে নীলফামারী জেলার প্রত্যন্ত এলাকার অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এই আয়োজনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের নারীদের সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীও রয়েছে। এটি শুধু একটি অনুদান নয়, শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথে তাদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে এই সেলাই মেশিন।

প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেয়ে তারা নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান দিয়ে নিজেকে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে নিতে পারবে। সেলাই মেশিনের আয়ে দরিদ্র পরিবারের নারীদের সংসারে সচ্ছলতার চাকা সচল হবে। তাদের পরিবারের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি তাদের এই আয় দেশের মূল অর্থনীতিতে যোগ হবে।
শক্ত হবে আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতি। সরকারিভাবে সারা দেশেই এমন নানা কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে অনেকে এগিয়ে আসছে। বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের এই কাজের মাধ্যমে সরকারকে সহায়তা করছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের এই মহতী উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু আর্থিক সচ্ছলতাই নয়, নারীদের কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ

শেয়ার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ
মনিরুজ্জামান মন্টু, কর্মপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখা

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমি খুবই আনন্দিত। দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করতে এটি তাদের মহৎ একটি উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগ খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক এবং প্রশংসার দাবিদার। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করতে সহায়তা করবে এই সেলাই মেশিন।

সুদূর ঢাকা থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিনিধিদল আমাদের নীলফামারীর খোকসাবাড়ীতে এসে অসহায় ও দুস্থ মানুষকে খুঁজে বের করে তাদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি মানবিক ও মহৎ উদ্যোগ, যা অসচ্ছল পরিবারগুলোকে আর্থিক সচ্ছলতার পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। আমরা দেখছি, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু ব্যবসার সাফল্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তারা সমাজের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজকের এই উদ্যোগ তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে তাদের দক্ষ করে মেশিন বিতরণের মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বসুন্ধরা গ্রুপ, তা নিঃসন্দেহে গরিব ও অসহায় মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালাবে। আমরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে তারা আরো ব্যাপক পরিসরে এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যাতে আরো বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারে। দরিদ্র নারীরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
তাদের এই মহান উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে এবং আরো বিস্তৃত হয়, সেই প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা তাদের আরো সমৃদ্ধ করুন। তাদের হৃদয়কে আরো উদার করুন এবং তাদের এই মহতী উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে বেশি বেশি দাঁড়ানোর তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য

পিংকির স্বপ্ন পূরণ হবে

শেয়ার
পিংকির স্বপ্ন পূরণ হবে

হিসাববিজ্ঞানে অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন পিংকি রানী রায়। নীলফামারী জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের রামনগর বাবুপাড়া গ্রামে তাঁদের বাড়ি। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। দরিদ্র পরিবারের পিংকির স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শিখে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর।

নিজের সঙ্গে ছোট বোন ও ভাইকে প্রতিষ্ঠিত করবেন সমাজে। কিন্তু ২০২২ সালে মা চন্দনা রানী রায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে বিপদে পড়েছেন তিনি। এ সময়ে পরিবারের সহায়-সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা করেও মৃত্যু ঠেকাতে পারেননি মায়ের। এখন তাঁর বাবা শংকর রায় অনেকটাই হয়ে পড়েছেন দিশাহারা।
পিংকি বলেন, ভালোই চলছিল আমাদের সংসার। হঠাৎ মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এ সময় সহায়-সম্বল যা ছিল বিক্রি করে মায়ের চিকিৎসা চালান আমার বাবা। তার পরও মাকে বাঁচানো যায়নি।
মায়ের অবর্তমানে ছোট বোন ও ভাইয়ের দায়িত্ব পড়ে আমার ঘাড়ে। পরিবারে চলছে চরম অর্থকষ্ট। এমন সমস্যায় আমারসহ ভাই-বোনদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে চলে যায়। চোখের সামনে যখন আমার ঘোর অন্ধকার, তখনই আশার আলো দেখায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমাকে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয় তারা।
আমি সেলাই শিখলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের বিনামূল্যের সেলাই মেশিন পেলাম। এখন আমার চিন্তা নেই। কাপড় কাটা ও সেলাইয়ের কাজ পারি। এই মেশিনে সেলাইয়ের কাজ করে আমার স্বপ্ন পূরণ করব। পাশপাশি ভাই-বোনদের স্বপ্নও পূরণ করব। দিশাহারা বাবাকে পথের দিশা দেখাতে পারব। আমাকে এমন সহযোগিতা করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

মন্তব্য

শোভার অন্ধকার জগতে আলো জ্বলল

শেয়ার
শোভার অন্ধকার জগতে আলো জ্বলল

প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে আবেগ আপ্লুত এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোভা রায়। নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের নরেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে সে। বাবার দিনমজুরির আয়ে ঠিকমতো সংসারই চলছিল না। অনেক কষ্ট করেও বাবা চালাতে পারছিলেন না শোভার কলেজে পড়ার খরচ।

অর্থাভাবে লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে চলে গিয়েছিল। অন্ধকার নেমে এসেছিল স্বপ্ন দেখা শোভার জীবনে। তার সেই অন্ধকার স্বপ্নের জগত্টাকে আলোকিত করল বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনামূল্যে তিন মাস সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে কাপড় কাটা ও সেলাই শিখেছে সে।
হাতে পেয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া বিনামূল্যের সেলাই মেশিন। সেই মেশিনে এখন শোভা দেখতে শুরু করেছে আশার আলো। শোভা বলে, বাড়ির ভিটা ছাড়া অন্য কোনো সম্পদ নেই বাবার। তাঁর দিনমজুরির সামান্য আয়ই আমাদের একমাত্র ভরসা।
সেই আয়ে ঠিকমতো খাওয়া জোটে না পরিবারে। এর ওপর আমার লেখাপড়ার খরচ। অভাব-অনটনে নিয়মিত কলেজে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এখন কাপড় কাটতে ও সেলাই করতে পারি।
আজকে সেলাই মেশিন পেলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি এখন সেলাই কাজের আয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারব, পাশাপাশি বাবাকেও সহযোগিতা করতে পারব। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যারকে। আমার মতো অসহায় দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গড়েছেন।

মন্তব্য
নীলফামারীতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন বিতরণ

সংসারে সুখ ফেরাতে চান দরিদ্র নারীরা

ভুবন রায় নিখিল
ভুবন রায় নিখিল
শেয়ার
সংসারে সুখ ফেরাতে চান দরিদ্র নারীরা
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় নীলফামারী সদরের দরিদ্র পরিবারের ২০ নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। ছবি : কালের কণ্ঠ

স্বামীর দিনমজুরির আয় পরিবারের একমাত্র ভরসা। সামান্য আয়ে অর্ধাহার-অনাহার নিত্যদিনের সঙ্গী। সংসারের এমন দুরবস্থায় স্বামীকে সহযোগিতার প্রবল ইচ্ছা স্ত্রীর। এ জন্য কাজের সন্ধান করেছিলেন বিভিন্ন স্থানে।

কাজ জুটিয়েছিলেন পাশের গ্রামের একটি কারখানায়, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই সন্তান। শারীরিক অক্ষমতায় (প্রতিবন্ধী) সন্তান দুটি চলাফেরা করতে পারে না। খেতেও পারে না নিজ হাতে। মুখে তুলে খাইয়ে দিতে হয়।
এই কাজে একমাত্র ভরসা তাদের মা। এ জন্য ওই নারী ভাবতে শুরু করেন বাড়িতেই কী করে অর্থ উর্পাজনের ব্যবস্থা করা যায়। তাহলে সন্তান দেখভালের সঙ্গে সঙ্গে চলবে কাজও। সেই কাজের আয়ে পরিবারে ফেরাতে পারবেন সচ্ছলতা।
কিছুটা হলেও সুখ আসবে সংসারে। দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও পূরণ হচ্ছিল না তাঁর সে স্বপ্ন। অসহায় নারীর সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ করল বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বিনামূল্যে কাপড় কাটা ও সেলাই প্রশিক্ষণের পর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন। গল্পটি নীলফামারী সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী গ্রামের মনিরা আক্তারের (২৭)।

গত ১৬ মার্চ (রবিবার) সকাল ১১টার দিকে জেলা সদরের খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খোকসাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মনিরার মতো সেলাই মেশিন পান অসচ্ছল পরিবারের ২০ জন দরিদ্র নারী। সবারই প্রবল ইচ্ছা সেলাই মেশিন চালানোর আয়ে সুখ ফেরাবেন সংসারে।

https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/03.March/29-03-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg

মনিরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে খোকসাবাড়ী গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এরপর ঘরে আসে বেবী আক্তার (১০) ও বাবু মোজাহিদ নামের দুই সন্তান। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধিতা নিয়ে তারা আসে মনিরার কোলে। এর পর থেকে নানা হতাশায় কাটতে থাকে মনিরা-মনিরুজ্জামান দম্পতির জীবন। তাঁদের দুই সন্তানই কথা বলতে পারে না, একা একা চলাফেরা করতে পারে না, খেতে পারে না নিজের হাতে। এ জন্য সার্বক্ষণিক তাদের তদারকির কাজে বাড়িইে থাকতে হয় মা মনিরাকে। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপূরণে সেলাই মেশিন পেয়ে খুবই আনন্দিত মনিরা। স্বপ্নপূরণের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংসারোত খুব কষ্ট। স্বামীর কিষান খাটার কামাই দিয়া ছয়টা মানসির খাবার জুটে না। কষ্টের কারণে মনটা চায় কোন কামকাজ করি কামাই করিবার, কিন্তু ছাওয়া দুইটাক থুইয়া বাড়ি থাকি কোনঠে যাবার পারো না। এলা বসুন্ধরার মেশিন দিয়া বাড়িত বসি সেলাইর কাজ করি কামাই করির পারিম। ওইলা কামাই দিয়া হামার (আমাদের) সংসারোত সুখ ফিরিবে। মনিরার মতো একই অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন পেয়েছেন আঁখি আক্তার (১৯)। খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের খলিশাপচা গ্রামের অলিয়ার রহমানের মেয়ে আঁখি আক্তার পড়েন দ্বাদশ শ্রেণিতে। তাঁর দিনমজুর বাবার গতর খাটার আয়ে চলে সাত সদস্যের পরিবার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আঁখি সবার বড়। অভাব-অনটনের সংসারে এসএসসি পাসের আগেই আঁখির বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল পরিবার, কিন্তু আঁখি তাতে রাজি না হয়ে লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত করতে চান নিজেকে। এমন প্রবল ইচ্ছা নিয়ে এসএসসি পাসের পর ভর্তি হয়েছেন কলেজে, কিন্তু অর্থাভাবে লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে। সেই সঙ্গে বন্ধের উপক্রম ছোট ভাই-বোনদের লেখাপড়া। গ্রামে টিউশনি করে লেখাপড়া চালানোর উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউই টাকা দিতে চায় না। এ জন্য খুঁজতে শুরু করেন এমন একটি কাজ, যা করে নিজেরসহ ভাই-বোনদের লেখাপড়া চালাতে পারেন। আঁখি আক্তারকে সেলাই মেশিন দিয়ে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। স্বপ্নপূরণের আনন্দে আঁখি আক্তার বলেন, বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে লেখাপড়া চালানোর আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল, কিন্তু দিনমজুর বাবার আয়ে সেলাই মেশিন কেনার সাধ্য হয়ে ওঠেনি। বসুন্ধরা গ্রুপ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন বাড়িতে সেলাই কাজের আয়ে আমার ও ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারব। পাশাপাশি বাবাকে সহযোগিতা করতে পারব। সেলাই মেশিন পেয়ে মনিরা ও আঁখির মতো অনুভূতি প্রকাশ করেন সবাই। তাঁদের প্রবল ইচ্ছা সেলাই কাজের আয় দিয়ে পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাবেন। দেখা মিলবে একটুখানি সুখের। সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছ্বাস রায় ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মন্টু। পূর্ব খোকসাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মামুন, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, সদস্য ফরিদ মিয়া, আমিনুর রহমান, মো. গোলাম হোসেন, নিউজটোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক গিরেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক দীপু রায়, সদস্য বেবী, মনি প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ