<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌদি আরবের পুরো রেমিট্যান্স এখন সরাসরি বাংলাদেশে আসছে না। দুবাই হয়ে বাংলাদেশে আসছে। একটি অসাধুচক্র সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স কিনে মজুদ করছে এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। সেখানে বসেই তারা বাংলাদেশের ডলার বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে। দায় পরিশোধের চাপে অনেক সময় ব্যাংকগুলো উচ্চমূল্য দিতেও রাজি হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দেশের ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের সঙ্গে আপনারা (ব্যাংক) এই কাজটি করবেন না। যদি বড় কোনো দায় পরিশোধের প্রয়োজন হয় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আসুন। আমরা ডলারের ব্যবস্থা করে দিব। তার পরও বিদেশি চক্রের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে ডলার কিনবেন না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপনারা প্যানিকড (আতঙ্কিত) হবেন না। আপনারা সাত দিন ডলার না কিনলে ওরা সোজা হয়ে যাবে। এখন চার মাসেরও বেশি আমদানি দায় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে বাংলাদেশের। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। একতাবদ্ধ থাকুন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি ব্যাংকের উদাহরণ টেনে গভর্নর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই তো গত মাসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সকালবেলা ১২০ টাকায় ডলার কিনেছে। কিন্তু বিকেলবেলা একই উৎস থেকে ১২৭ টাকায় ডলার কিনেছে। কারণ সেদিন ওই ব্যাংকের আমদানি দায় পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ডলার ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে একই উৎস থেকে সকালের চেয়ে বিকেলে ৭ টাকা বেশি দিয়ে ডলার কিনেছে ব্যাংকটি। কিন্তু সেই সংকট এখন সমাধান হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে বড় পেমেন্টের চাপ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানাবেন। আমরা জোগাড় করে দিব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি মিলে অতিরিক্ত সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রেমিট্যান্স বেড়েছে। একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এখানে প্রবাসীদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। এতে চলতি হিসাবের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, সেটি আর নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান সময়ে দেশ থেকে অর্থপাচার কমে গেছে। আগে দুবাই থেকেই ডলার পাচার হয়ে যেত। এটা কমেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে গুড-গভর্নেন্স ফিরে আসায় অর্থপাচার ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন এসেছে। এতে অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রবাসীদের উদ্দেশে গভর্নর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বিদেশিদের ব্যাপক সহায়তা পাচ্ছি। আমরা আইনজীবী নিয়োগ করছি। টাকা পাচারকারীদের বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য দিয়ে প্রবাসীরা সহায়তা করতে পারেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে দিনে-দুপুরে এমনভাবে চুরি হয়েছে, যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। শুধু চট্টগ্রামভিত্তিক একটি  গ্রুপই ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এখন আমরা টাস্কফোর্স গঠন করেছি। বিদেশিরা কাজ করছে। আমরা পাচারকারীদের অর্থ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে আনব। আমাদের দেশের বাইরের আদালতেও জিততে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি প্রবাসীরা পাচারকারীদের সম্পদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তাহলে অনুসন্ধানে সুবিধা হবে, অর্থ ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে দুই ক্যাটাগরিতে মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে টিসিবিএল গ্রুপ, ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও এমটিবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেমিট্যান্স সংগ্রহে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক (গোল্ড), অগ্রণী ব্যাংক (সিলভার), জনতা ব্যাংক (ব্রঞ্জ), ব্র্যাক ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক।</span></span></span></span></p>